পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 45 উপরোক্ত গুণত্রর ক্ষোভিত হইলে, প্রকৃতি পরিণাম প্রাপ্ত হয়। ধেমন জড়বিজ্ঞানের মতে প্রকৃতিজগতে পরমাণু ও জীবাণু ক্ষোভিত হইয়া পরিবর্তিত ও রূপান্তরিত হয়, সেইরূপ স্বক্ষয় জগতেও উপরোক্ত ত্রিগুণ ক্ষোভিত হষ্টলে সূক্ষ্ম মূল প্রকৃতি পরিণাম ও বিকার প্রাপ্ত হয় এবং পরিবর্তনের পর পরিবর্তন সহ করতঃ বিভিন্ন অবস্থায় পরিণত হয়। এখন জিজ্ঞাস্য, যখন ত্রিগুণ হুক্ষ্যু বস্তু বা বস্তুর মনোগ্রাহ্য অবস্থা বা সংজ্ঞা ও প্রকৃত পদার্থ নহে, তখন উহার কি প্রকারে ক্ষোভিত বা আন্দোলিত হয় ? দুগ্ধের ক্ষোভনে বা মন্থনে নবনীত উৎপন্ন, ইহা প্রত্যক্ষ প্রমাণসিদ্ধ । কিন্তু গুণক্ষোভ শব্দের অর্থ অন্য রূপ । যেমন কোন বিষয় পুনঃ পুনঃ মনে আন্দোলিত হইলে, উহা হইতে কোন সারবস্তু বাহির করা যায়, সেইরূপ সুক্ষয়জগৎব্যাপী মূল প্রকৃতির স্বাক্ষা ত্রি 한에 ক্ষোভিত বা পুনঃ পুনঃ আন্দোলিত হক্টলে, মূল প্রকৃতি পরিণাম প্রাপ্ত হইয়। ৰিভিন্ন অবস্থা প্রাপ্ত হয় । এই প্রকারে উহা সাম্যfবস্থা হষ্টতে ক্রমশঃ বিভিন্ন ও বিষম হটতে আরম্ভ হয়। মহাপ্রলয়ে মূল প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপ নিশ্চেষ্ট থাকে এবং উছার গুণত্রয় কিছুমাত্র ক্ষোভ প্রকাশ করে না। তৎকালে উহার স্পন্দরহিত হইয়া মৃতবৎ থাকে। কিন্তু স্বষ্টির প্রাক্কালে পুরুষের তেজ মূলপ্রকৃত্তিতে সংক্রামিত হইলে, উহার গুণক্রিয়া আরম্ভ হয় এবং উহাও এক অবস্থা হষ্টতে অবস্থান্তর প্রাপ্ত হয়। এস্থলে মনের ক্রিয়ার সহিত গুণের ক্রিয়ার তুলনা করা হয় । এখন সাংখ্যকারদিগের মতে স্বষ্টিপ্রক্রিয়া বর্ণন করা যাউক । গুণক্ষোভ বশতঃ মূল প্রকৃতির প্রথম পরিণামে মহত্তৰ উৎপন্ন। মহত্তত্ব আর কিছুই নয়, কেবল বিশ্বব্যাপিনী বুদ্ধিশক্তির বীজস্বরূপ মূলীভুত কারণ বা সমষ্টি। ইহা স্বারা মিগুণ ও অব্যক্ত পরব্রহ্ম সগুণ ও ব্যক্ত হইয়া মানবমনের ভাবা হন স্থাবরজঙ্গমাত্মক বিশ্ব গ্রপঞ্চের প্রত্যেক বস্তুতে যে অলৌকিক বুদ্ধিশক্তি অস্তনিৰ্হিত এবং যাহার বলে সমগ্র জগৎ একোন্ধেশ্যসাধনের জন্য ক্রমশঃ অগ্রসর, সেই অসীম বুদ্ধিশক্তি মহত্তত্ব হইতে যাবতীয় পদার্থে প্রতিভাত ; যেমন একমাত্র স্বৰ্য্যদেব বিশ্বের তমোনাশ করতঃ যাবতীয় পদার্থকে আলোক প্রদান করে, সেইরূপ মহত্তত্ত্বও বিশ্বের যাবতীয় পদার্থকে অল্পাধিক বুদ্ধিশক্তি প্রদান করে। গুণভেদে মহত্তত্ব ত্ৰিবিধ সাৰিক, রাজসিক ও তামসিক । ইছারাই