পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ १७ ] হয় । এইরূপে অহং তত্ত্বের তামসিক অংশ হইতে জগতের পঞ্চতন্মাত্র ও পঞ্চমহাভূত স্ব2 । ইহাতেই জানা যায়, তমো গুণের আধিক্য হইয়৷ কি প্রকারে স্বক্ষয়ু ক্রমশঃ স্থলে পরিণত। অহং তত্ত্বের রাজসিক অংশ ক্ষোভিত হইলে, ইস্ক্রিয়গণ উৎপন্ন। ইক্রিয গুলি দুই প্রকার, জ্ঞানেক্রিয় ও কৰ্ম্মে দেয়। চক্ষু, কর্ণ, নাসিক, জিহবা, ও ত্বক, এ পাচট জ্ঞানেন্দ্রিয় এবং পায়ু, উপস্থ, হস্ত, পদ ও বাক্ এই পাচটা কৰ্ম্মেন্দ্রিয়। জ্ঞানেন্দ্রিয় দ্বারা মন বাহা জগতের জ্ঞানলাভ করে এবং কৰ্ম্মে দেয় দ্বারা মন বাহা জগতের নানাবিধ কৰ্ম্ম সম্পাদন করে। এ স্থলে জিজ্ঞাস্য স্বাক্ট বিষয় লিখিতে গিয়া জীবদেহের ইন্দ্রিয়োৎপত্তির বিষয় কেন লিখিত হইল ? শাস্ত্রকারের অণ্ডের আদর্শে বিশ্বরূপ ব্রহ্মের অণ্ডের স্বষ্টি বর্ণন করেন বলিয়া, অও হইতে একটা জীপ বিপিকেন্দ্রিয়বিশিষ্ট হইয়া জন্মগ্রহণ করিবার পূৰ্ব্বে BBBBSBBB B BBSBBBBB BBB BBBBB BBBB BBB BB BBS ক্তাবস্থায় থাকে, তাহাই তাহার এস্থলে দেখান । তাহারা ব্যষ্টি ভাবে ইন্দ্রিয়োং পত্তি বর্ণন করিয়া সমষ্টিভাবে জগতের ইন্দ্রিয়োৎপত্তি বর্ণন করেন মাত্র। ইন্দ্রিয়গুলি জঙ্গমে যতোধিক ফুরিত, স্থাবরে তেমনি অস্ফরিত। অহাতত্ত্বের সাত্ত্বিক অংশ ক্ষোভিত হইলে, মন ও ইন্দ্রিয়াধিষ্ঠাতৃ দেবগণ উৎপন্ন। ইহাতে বোধ হয়, মন মস্তিষ্ক হইতে উৎপন্ন হইলে ও বস্তুতঃ ইহা কেবল এ স্থূল জগতের বস্তু নয়, ইহা অধ্যাত্মজগতের বস্তু । ইন্দ্রিয়গুলির অধিষ্ঠাতৃ দেবগণু যথা, স্বৰ্য্য চক্ষুর, দিকপাল কর্ণের, পবন ত্বকের, প্রচেত। জিহবার, অশ্বিণীকুমার নাসার, মিত্র পায়র, প্রজাপতি উপস্থের, ইন্দ্র করের, বিষ্ণু পদের এবং বহ্লি বাক্যের দেবতা। এই সকল দেবগণ স্ব স্ব অধিকারে থাকিয়া যাবতীয় জীবের ইন্দ্রিয়গুলি চালান এবং এক উদ্দেশ্যসাধন করিয়া জগতে বিশ্বজনীন সামঞ্জস্ত স্থাপন করেন। এখন ত্রিগুণাত্মক অহংতত্ত্ব একদিকে সত্ত্ব গুণসংযোগে মন, অন্যদিকে তমোগুণসংযোগে তন্মাত্রগুলি এবং মধ্যে রজোগুণসংযোগে ইন্দ্রিয়গুলি উৎপাদন করায়, স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, ইন্দ্রিয়গণ কি প্রকারে তন্মাত্ররূপ উহাদের বিষয়গুলি গ্রহণ করতঃ মনের বিধয়ীভূত করে এধং কি প্রকারে মনের সহিত বাহ্যজগতের অশেষ সামঞ্জস্য স্থপিত ।