পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ w8 মন্বস্তর বলা যায়। সেজন্য এখন সপ্তম বৈবস্বত মনুর অধিকার সত্বেও চতুর্থ জীবপ্রবাহ প্রবর্তিত। গীতায় উল্লিখিত— মহৰ্ষয়ঃ সপ্ত পূৰ্ব্বে চত্বারো মনবস্তথা মদ্ভাবী মানসা জাতা যেষাং লোক ইমাঃপ্রজাঃ । ‘স্বষ্টির আদিতে ভৃগু আদি সপ্ত ঋষিগণ ও চারি মমু আমারই প্রভাবে এবং আমার মানসপুত্র হইয়৷ এই লোক এবং সকল প্রজা স্বষ্টি করেন।’ এস্থলে যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ কেন সাত জন মকুর পরিবর্তে চারি জন মজুর উল্লেখ করেন ? এ পৃথিবীতে চতুর্থ জীবপ্রবাহ এখন প্রবর্তিত ; সেজন্য শ্ৰীকৃষ্ণের মুখরাবিন্দ হইতে চারি জন মনুর কথাও উল্লিখিত। এস্থলে কল্প ও মন্বন্তর এই দুইটী বাক্য লইয়। হিন্দুশাস্ত্রের সহিত তত্ত্ববিদ্যার বিস্তর মত-ভেদ দেখা যায়। সে বিষয় এখানে আলোচনা করিবার প্রয়োজন নাই। প্রত্যেক মন্বন্তরে যে এক এক মূলজাতি আবিভূত, তাহ আবার সপ্ত শাখাজাতিতে বিভক্ত। এখন চতুর্থ জীবপ্রবাহের ভিতর (Fourth round ) পঞ্চম মূলজাতি বর্তমান । যে আর্য্যজাতি পৃথিবীর অনেক স্থলে বিস্তীর্ণ, সেই আর্য্যজাত্বিই পঞ্চম মুলজাতি। এই জাতিই জগতে অনেক দিন একাধিপত্য করিবে। ইহার বৈবস্বত মন্ত্র বংশীয় বা আদম জাতীয় (Adamic Race)। ইহাদের বুদ্ধিশক্তি সম্যক স্ফরিত। সকলেই জানেন, আধুনিক পৃথিবী দুই মহাদ্বীপে বিভক্ত, পূৰ্ব্ব মহাদ্বীপ ও পশ্চিম মহাদ্বীপ। তন্মধ্যে পূৰ্ব্ব মহাদ্বীপ এসিয়া, ইউরোপ, ও আফ্রিকায় এবং পশ্চিম মহাদ্বীপ,উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় বিভক্ত। হয়ত কেহ কেহ শুনিয়া থাকিবেন, এই সকল মহাদেশ লক্ষ লক্ষ বৎসর পূৰ্ব্বে গভীর সমুদ্রে নিমগ্ন থাকে এবং যে স্থলে আজ মহাসমুদ্র মহাশব্দে উত্তালতরঙ্গে তরঙ্গায়িত, সে স্থলে বিস্তৃত ভূভাগ থাকে। আধুনিক অবস্থা প্রাপ্ত হইবার পূৰ্ব্বে পৃথিৰী কৃত ভৌতত্বিক পরিধৰ্বন দ্বারা পরিবর্তিত, তাহ অসম্পূর্ণ ভূতত্ব এখনও নির্দেশ কঞ্জিজ্ঞেসক্ষম হয় নাই, কেবল উহার আভাস মাত্র পায়। তত্ত্ববিদ্যামতে এক এক মন্বন্তরে এক এক মুলজাতি লইয়া পৃথিবী নব নব মহাদ্বীপে পরিণত । যথা – (১) দেবভূমি—সুমেরু ।