পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম । δ δδ কাণ্ড বুদ্ধদেব ভিক্ষু-সঙ্ঘে প্ৰরিষ্ট হইতে দেন নাই। বিদ্যার তিনি নিজে প্ৰবুদ্ধ হইয়া যে মহাসত্য উপাৰ্জন করিয়াছিলেন, তাহা বেদেরও অনধিগম্য, বেদবাক্য হইতেও উচ্চতর। সে সত্য বিশ্বজনীন, দেশবিশেষে অথবা জাতিবিশেষে বন্ধ নহে। তিনি সেই সত্য, ব্ৰাহ্মণ শূদ্র, উচ্চ নীচ সকলেরই মধ্যে প্রচার করিতে ব্ৰতী হইলেন, তঁহার সঙ্ঘের দ্বারও সকলেরই জন্য উন্মুক্ত হইল। জাতিভেদ সম্বন্ধে বুদ্ধদেবের মতামত সমালোচনা করিয়া, Rhys-Davids ऊँीशन অম্বষ্ঠ A (Dialogues of the Buddha গ্রন্থে )। যাহা বলিয়াছেন, তাহার ভূমিকার কিয়দংশ এই স্থলে উদ্ধৃত করিয়া দিলাম - বুদ্ধের সময়ে জাতিভেদ প্রথা প্রথম গড়িয়া উঠিতে আরম্ভ হয়। আমরা দেখিতে পাই, সেকালে জনসঙ্ঘ সাধারণতঃ চার ভাগে বিভক্ত ছিল। কিন্তু এই প্ৰভেদের সীমা সুস্পষ্টরূপে নির্দিষ্ট ছিল না। এক প্রান্তে সমাজবহির্ভূত অস্পৃশ্য অনাৰ্য্যগণঅপর প্রান্তে ব্ৰাহ্মণবংশ-সস্তুত জনপদ। এই ব্ৰাহ্মণগণের পৌরোহিত্য ব্যতীত অন্য ব্যবসায়ও ছিল। শৌচাশোচের নিয়ম রক্ষা করিয়া সামাজিক বিধিসকল গঠিত হইয়াছিল। সভ্যতার সমান অবস্থায় এই একই বিধান অন্যান্য দেশেও প্ৰচলিত দেখা যায়। ব্ৰাহ্মণগণের আধিপত্যস্বরূপ ভারতের সমাজ-মগুপের যে বিশিষ্ট স্তম্ভ, তখনও তাহার সুদৃঢ় স্থাপনা হয় নাই। অধুনা জাতিভেদ বলিতে আমরা যাহা বুঝি, তখনও তাহার অস্তিত্ব ছিল