পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(V) বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম BDD BBBuDS DDD DS DD BDDDg gD D BD DD z তাহার পর ভিক্ষু ক্ৰমে ‘স্রোতাপন্ন ‘সকৃতাগামী’ ও ‘অনাগামী হইয়া OD BB DDD S DD DBB BDK DDDSLD BB BBD DiKL KSD0SDBD DDD DDL DBBBDB BD D0 KBD DDSDL SDBDS ধ্যান ও সমাধি লইয়া তাহদের অনেক পুস্তক আছে। স্রোতাপন্ন, সকৃতাগামী, অনাগামী ও অৰ্হৎ এসকল শব্দ মহাযানে পাওয়া যায় না । ইহার বদলে পাওয়া যায় “দশবোধি সত্ত্বভূমি” অর্থাৎ বোধিসত্ত্ব যেমন ধ্যান, ধারণা, দান, শীল, ক্ষান্তি ইত্যাদিতে ক্ৰমে দক্ষ হইতে থাকেন, তঁহার মনোবৃত্তি সকলও সেইরূপ ক্রমে উচ্চে উঠিতে থাকে। মানুষের মনোবৃত্তি অনন্ত। প্রথম ভূমিতে কতকগুলি থাকে, কতকগুলি ত্যাগ করা হয়। এবং কতকগুলি প্রবল হইয়া উঠে। দ্বিতীয় ভূমিতে আবার কতকগুলি আসে, প্ৰথমের কতকগুলি, হয় একেবারে চলিয়া যায়, নয় তা হীনবীৰ্য্য হইয় পড়ে। এইরূপে ক্রমে ক্ৰমে বোধিসত্ত্ব দশটি ভূমি অতিক্ৰম করিলে তবে তিনি নির্বাণপথের যথার্থ পথিক হইতে পারেন । যে করুণার নাম পৰ্য্যন্ত শ্ৰাবকব্যানে দেখা যায় না, সেটি বোধিসত্ত্বের চিরসহচর, যতই উচ্চ ভূমিতে উঠিবেন ততই করুণা প্ৰবল হইতে থাকিবে। পাচটি পারমিতায় দক্ষতা লাভ করিলে তাহার পর “প্রজ্ঞাপারমিতা' । “প্ৰজ্ঞাপারমিতাই” আসল পারমিত । একজন গ্ৰন্থকার বলিয়াছেন, প্ৰজ্ঞাপারমিত ছাড়িয়া দিলে অন্যান্য পারমিতা সকল পারমিতানামই লাভ করিতে পারে না। কিন্তু শুধু প্ৰজ্ঞাপারমিতাও ঠিক নহে। অপর পাচের সহিত প্ৰজ্ঞাপারমিত মিলিত হইলে পূর্ণ পারমিত হয়। প্ৰজ্ঞাপারমিতার মোট কথা এই যে সত্য দুই প্রকার,-সাংবৃত সত্য ও পরমার্থ সত্য। সাংবৃত সত্য,-ব্যবহারিক সত্য। আমরা চারিদিকে যেসকল জিনিস দেখিতে পাই সেগুলিকে সত্য বলিয়া ধরিয়া না লইলে ব্যবহার চলে না ; তাই সেগুলিকে সত্য বলিয়া ধরিয়া লইতে হয় । কিন্তু বিশেষরূপ পরীক্ষা করিয়া দেখিলে আমরা দেখিতে পাই, যে তাহার একটিও সত্য নহে। পরমার্থ সত্য কখনই অন্যথা হয় না, সে চিরকালই সত্য থাকে, সেটিকে মহাযানের শূন্য বলেন।