পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম হীনযান ত্রিশরণগমনের ব্যবস্থা করিয়াছেন। মহাযানেরও ত্রিশরণগমনের ব্যবস্থা আছে । ত্রিশরণগমনের মন্ত্র দুই যানেই এক, তবে DDDDD DBDBSBDDB BB D DBB DDBDS BB DB D BB SS DDBB BKKK श्शंन হইতে নামাইয়া দ্বিতীয় স্থানে দিবার অর্থ এই যে মহাযান বুদ্ধ হইতে ধৰ্ম্মকে প্রধান বলিয়া মনে করেন। মঙ্গাযানে শাক্যমুনির অবস্থা একটু শোচনীয়,-তিনি একটি ‘মানুষী’ বুদ্ধ। মানুষীবুদ্ধদেব মধ্যেও তাহার স্থান সাতের দাগে । এখনকার মহাযানেরা বলেন যে হিন্দুদের ব্যাস যেমন সব জিনিস কলমবিন্দী করিয়া গিয়াছেন, আমাদের শাক্যসিংহও তেমনি মাত্র কলমবিন্দী করিয়া গিয়ছেন । আমাদের মত, আমাদের ধৰ্ম্ম আদিকাল হইতে চলিয়া আসিতেছে। র্যাহারা মত চালাইয়াছেন, তাহারা ‘ধ্যানীবুদ্ধ’। “অমিতাভ” একজন ‘ধ্যানীবুদ্ধ’ । মহাযানে তঁহার প্রভাব খুব অধিক । জাপানে তাহার খুব উপাসনা হয়। বৈরোচন আর একজন বড় ধ্যানীবুদ্ধ’। ক্ৰমে মহাযানের শেষ অবস্থায় পাচজন ধ্যানীবুদ্ধ মানিত । নেপালের স্বয়ম্বুক্ষেত্রে স্বংস্তুচৈত্যের চারিদিকে এই পাঁচজন ধ্যানীবুদ্ধের মন্দির আছে। সেখানে শাক্যসিংহের স্থান নাই দেখিয়া, আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “তিনি কোথায়” ? আমার সঙ্গে বজাচাৰ্য্য ছিলেন, তিনি আমাকে চৈত্য হইতে কিছুদূরে লইয়া গিয়া, পূর্বে নীচু হইতে পাহাড়ে উঠিলার যে পথ ছিল, তাহারই উপরে শাক্যসিংহের প্রতিমা দেখাইয়া দিয়া বলিলেন, “তিনি এইখানে আছেন, তিনি পঞ্চাধ্যানীবুদ্ধের একপ্রকার দ্বারপাল । আমরা তঁহকে মানি, যেহেতু তিনি আমাদের সব জিনিস কলমবিন্দী করিয়া দিয়াছেন ।” বুদ্ধ অপেক্ষা ধৰ্ম্ম মহাযানে বড়। ভূপ বা চৈত্যই ধৰ্ম্ম। সেই চৈত্যের গায়ে পঞ্চাধ্যানী বুদ্ধের মন্দির, সুতরাং ধৰ্ম্মের সঙ্গে বুদ্ধের কি সম্পর্ক তাহা এইখানেই বুঝা গেল। নেপালের মহাযানদিগের মধ্যে সঙ্ঘ বলিতে গেলে একবিহারে যতগুলি ভিক্ষু থাকে তাহাদিগকে বুঝায় ; কিন্তু উহারা বলে সঙ্ঘ ক্ৰমে বোধিসত্ত্বে পরিণত হইয়াছে। পূৰ্ব্বে যাহা ধৰ্ম্ম বুদ্ধ ও সঙ্ঘ ছিল, মহাযান খুব বাড়িয়া উঠিলে তাঁহাই হইল প্ৰজ্ঞ উপায় ও বোধিসত্ত্ব । ধৰ্ম্ম হইলেন প্ৰজ্ঞ, একথা বুঝান কঠিন Wr *