হঠাৎ কুণ্ঠিত হয়, কিন্তু আপনাদের সঙ্গে অতি অল্পক্ষণের আলাপেই যে আপনারা এতােটা বেশি ঘনিষ্ঠতা আত্মীয়তা ক’র্চেন সে জন্যে আমি মনে মনে কিছু লজ্জাবােধ ক’র্চি! জান্বেন আপনাদের প্রতি আমার আন্তরিক কোনাে রকম অসদ্ভাব নেই কিন্তু আপনারা আমার কাছে যতােটা প্রত্যাশা ক’র্চেন আমি ততােটা দিতে একেবারে অক্ষম!
মশায়রা আর বাড়াবাড়ি ক’র্বেন না। আপনারা বােধ হয় দু-বেলা নিয়মিত আহার ক’রে থাকেন, ক্ষিদে পেলে মানুষের মেজাজটা কী রকম হয় ঠিক জানেন না, তাই আমাকে এমন অবস্থায় ঘেঁটাতে সাহস ক’র্চেন!
আবার! ফের! দেখাে বাপু, আমার সঙ্গে পার্বে না। শরীরটা দেখেই বুঝ্তে পারচো না! বহু কষ্টে রাগ চেপে আছি, পাছে একটা খুনােখুনি কাণ্ড ক’রে বসি! আচ্ছা, আমাকে রাগাও দেখি! দেখি তােমাদের কতাে ক্ষমতা! কিছুতেই রাগাতে পার্বে না। এই দেখাে আমি খুব গম্ভীর হ’য়ে ঠাণ্ডা হয়ে ব’স্লুম। ও বাবা! এরা যে সবাই মিলে মারধাের কর্বার জোগাড় করে! খালিপেটে ক্ষিদের উপর মারটা সয় না দেখ্চি! আচ্ছা বাপু, তােমরা সবাই বােসো! তােমাদের কার কতো পাওনা আছে বলো। ভাগ্যি মাইনের টাকাটা পকেটে ছিল, নইলে আজ নিতান্তই ধনঞ্জয়কে স্মরণ ক’রে একপেট ক্ষিদে সুদ্ধ দৌড় মার্তে হ’তো! আপাতত প্রাণটা বাঁচাই, তা’রপর টাকাটা উদয়ের কাছ থেকে আদায় ক’রে নিলেই হবে!
তােমার পাঁচ টাকা বই পাওনা নয় কিন্তু তুমি পঞ্চান্ন টাকার গাল পেড়ে নিয়েচো বাপু—এই লও তােমার টাকা!
ওহে বাপু, তােমার হােটেলের বিল এই শুধে দিচ্চি, যদি কখনাে অসময়ে তোমাদের শরণাগত হ’তে হয় তা হ’লে স্মরণ রেখো।
তােমার তিনমাসের বাড়িভাড়া পাওনা? একমাসের টাকাটা আজ