যতো ভাত আছে সব নিয়ে এসো—তােমরা সব চিঁড়ে আন্তে দাও— পুকুর থেকে গঙ্গাজল এনে ভিজিয়ে খেয়ো! কী ক’র্বাে বলো! দূর থেকে নাম শুনে প্রসাদ নিতে এসেচে তাদের ফেরাতে পার্বো না! কী ব’ল্লে? আমার হাতে পড়ে তােমার হাড় জ্বালাতন হ’য়ে গেল? কী ব’ল্বো তুমি মূর্খু মেয়েমানুষ; ঐ কথাটা একবার দেশের ভালো ভালো পণ্ডিতদের কাছে বলো দেখি! তা’রা তখনি মুখের উপর শুনিয়ে দেবে, ষাটহাজার সগরসন্তান জ্ব’লে ভস্ম হয়ে গিয়েছিলো, সেই ভস্মে যিনি প্রাণ দিয়েচেন, তিনি যে তােমার হাড় জ্বালাবেন একথা কোনো শাস্ত্রের সঙ্গেই মিল্চে না! তুমি গাল দাও, আমি আমার ভক্তদের কাছে চল্লুম! (বাহিরে আসিয়া) দেরি হ’য়ে গেল। বাড়ির মধ্যে এঁয়ারা সব আবার কিছুতেই ছাড়েন না, পায়ের ধূলাে নিয়ে পূজো ক’রে বেলা ক’রে দিলেন। আমি বলি, থাক্ থাক্ আর কাজ নেই—তা’রা কি ছাড়ে!—এসাে, তােমরা একে একে এসো—যার যার ধূলো নেবার আছে নিয়ে বাড়ি যাও!-কিহে বিপিন? আজ মকদ্দমার দিন? তা তো যেতে পার্চিনে। দর্শন ক’র্তে সব লােকজন আস্চে। একতরফা ডিক্রি হবে? কী ক’র্বাে বলো! আমি উপস্থিত না থাক্লে এখানেও যে একতরফা হয়। বিপ্নে-! তুই যাবার সময় প্রণাম ক’রে গেলিনে? এম্নি করেই অধঃপাতে যাবে! আয়, এইখানে গড় কর্, এই নে, ধূলাে নে! যা!
তৃতীয় অঙ্ক
ওহে মুখুয্যে, মা গঙ্গা ঠিক আমার এই খিড়কির কাছটায় না এসে আর রসি দুয়েক তফাতে এলেই ভালাে ক’র্তেন। তুমি তাে দাদা স্বপ্ন দেখেই সার্লে, আমাকে যে দিনরাত্তির অসহ্য ভােগ ভুগ্তে হ’চ্ছে। এক তাে, পুকুরের জল দুধে বাতাসায় ডাবে আর পদ্মের পাতায় প’চে