ব্যবসায়ে বাঙালী כשל যেই চুকিল অমনি চায়ের নেশায় তাহদের পাইয়া বসে। পল্লীগ্রামে থাকিয়া যাহারা নিজের কাপড় নিজে কাচিত, কলিকাতায় হোষ্টেলে চুকিয়া তাহাদের সে অভ্যাসও যায়। তারপর অচিরেই তাহারা এমন অলস বাৰু হইয়া পড়ে যে, ভবিষ্যৎ-জীবনে তাহাদের দ্বারা শ্রমসাধ্য আর কোন কাজ হইবার উপায় থাকে না। কবি রবীন্দ্রনাথ এক সময় বলিয়াছিলেন, “পরের দ্বারে ধর্ণ দিলে স্বরাজ হয় না—আত্মশক্তি, আত্ম-নির্ভরতা থাক চাই।” কিন্তু আত্ম-শক্তি, আত্ম-নির্ভরতা কোথায় ? উচ্চ-শিক্ষিত হইতে গিয়া যুবকেরা ঐ সকল শক্তি এমন ভাবে হারাইয়া ফেলে যে, একমাত্র কেরাণীগিরি ছাড়া তাহাদের দ্বারা আর কোন কাজ চলে না। স্বাস্থ্যতে অনেকেরই নাই—চা-পান অভ্যাসের ফলে অল্পবিস্তর সকলেরই অজীর্ণ রোগ। পরিশ্রমের অভ্যাস না থাকার দরুণ প্রায় সকলেই অলস। নিজেদের অবস্থা গোপন করিয়া ধনী সস্তানদের সহিত সমান তালে চলিতে গিয়া অনেকেই অমিতব্যয়ী। কিন্তু অভিভাবকগণ তাহীদের মানুষ করার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া কি কষ্টে যে তাহাদের টাকা যোগাইয়া থাকেন, এ চিন্তা তাহাদের মনেও আসে না । আমাদের ছেলেদের যদি মানুষ করিতে হয়, তবে বর্তমান জীবন-যাত্রার প্রণালী আমূল পরিবর্তন করিতে হইবে। ংলার আশা-ভরসা তরুণ বন্ধুদের তাই আমার বলিতে ইচ্ছা হয়— “বন্ধুগণ, চা ছাড়। তাহার পরিবর্তে বরং গরম জলে থানিক পাতিলেবুর রস মিশাইয়া খাও। কিংবা ঘোলের সহিত বিট, লবণের গুড়া মিশাইয়া খাইতে পার, অজীর্ণ দূরীভূত হইবে। উহার সঙ্গে কৃষ্ণতিল দিলে আরও ভাল হয়। বিস্তুটের পরিবর্তে চিড়া, মুড়ি, গুড়, আদা, ছোলা প্রভৃতি জলখাবার খাও। তাহাতে ‘ডাইটামিন’ অাছে।” কলিকাতায় টমেট্রো স্থলভ উহাতে ভাইটামিনও যথেষ্ট । ইহার ২৪টা প্রত্যহ কাচ খাওয়া উচিত। পল্লীগ্রামে প্রত্যেক গৃহস্থের বাড়ীতেই
পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৫১
অবয়ব