পাতা:ব্যানরজী ভায়া.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २१ ) তৎপরে, গ্রন্থকার, অগত্যা প্রাচীন মতানুসারে তিনটী গ্রাম বিভাগ করিয়া, তাহার নামকরণ করিয়াছেন যথ},--উদার বা খরজ--গ্রাম, মুদার বা মধ্যম--গ্রাম, এবং ভারা বা গন্ধারগ্রাম । প্রাচীন সঙ্গ।তশাস্ত্রেও এইরূপ নাম নির্দিষ্ট আছে , কিন্তু বোধ সুগমার্থে, সবিস্তারে, গ্রন্থকারের লেখা উচিত ছিল যে, মধ্যম গ্রামীপেক্ষ উচ্চ গ্রামকে কিরূপে গান্ধীরগ্রাম বলা যাইতে পারে ? যেহেতু, মধ্যমাপেক্ষা গান্ধীর নীচু সুর,--অপেক্ষাকৃত উচ্চগ্রামে কিরূপে তাহার অধিকার কণিপত হয় : তদন্তে, গ্রন্থকার কহেন, পুৰুষের কণ্ঠে খরজ ও মধ্যম--গ্রাম, এবং স্ত্রীলোকের কণ্ঠে মধ্যম ও গান্ধার--গ্রাম নির্গত হয়, ইহার তাৎপৰ্য্য কি এই, যে পুরুষের কণ্ঠে তারাগ্রাম, ও স্ত্রীলোকের কণ্ঠে খরজ.-গ্রাম নির্গত হয় না ? আমরা ইহার বিপরীভ ভূfর ভুরি প্রমাণ দেখিয়াছি । তবে কি স্ত্রী কি পুৰুষ কোন এক ব্যক্তির কণ্ঠে তিন গ্রামের সমুদয় সুর নিগত হইতে সচরাচর দেখা যায় না বটে । মুদারার খরজ স্থাপনার গুৰুত্ব লযুত্বের ব্যতিক্রম বশতঃ,এক ব্যক্তিকেই, পৃথক পৃথক গ্রামের স্বর প্রকাশে অক্ষম হইতে হয় ; অর্থাৎ মুদারার খরজ, নিতান্তু মৃদ্ধরূপে গৃহীত হইলে, অনায়াসে তারাগ্রামের সমুদয় সুর আয়ত্ত হয়, কিন্তু উদারার হয় না, এবং তদ্বিপরীতে উদারার সমুদয় সুর নির্গত হয়, তারার হয় না। কিন্তু পুৰুষের কণ্ঠে, যে ভারাগ্রামের স্বর নিগত হয় না, ইহা যদি সত্য হয়, তবে সে ভারতবর্ষের পুৰুষের নহে, কারণ, আমরা অনেক বাঙ্গালী ও হিন্দুস্থানী গায়কের কণ্ঠ হইতে, ভারার সুমধুর সুরসমূহের জাস্বাদন পাইয়াছি, পক্ষান্তরে, হিন্দুস্থানী গায়িকাগণের কণ্ঠে উদারার পরিচয়ও প্রাপ্ত হইয়াছি। পুরুবের ক্ষও অপেক্ষাঙ্কণ্ড