বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১
ভবিষ্যতের বাঙালী

হ’য়ে ওঠাই স্বাভাবিক; আর হ’চ্ছে ও তাই। দৈনন্দিন রাজনীতির প্রয়োজনের তাগিদে জোর ক’রে ঐক্যের অনুভূতি আনা যায় না। তার জন্য দরকার অন্তরের ভালবাসা, অন্তরের সহানুভূতি, অন্তরোধ আকর্ষণআর দরকার স্বার্থ এবং আদর্শের ঐক্যানুভূতি।

 তবে নিরাশ হওয়ার প্রয়োজন নেই। অতীত ইতিহাসের আলোচনা করলে দেখতে পাব―দুদিনে ভারতবর্ষে মোটামুটিভাবে এবং সাধারণতঃ এমন কতকগুলি খণ্ড রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকের মধ্যে জাতীয় (national) জীবনের প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি প্রত্যক্ষভাবে অথবা সুপ্তাবস্থায় বিরাজ করেছে। “মোটামাটিভাবে” এবং “সাধারণতঃ” বলার তাৎপর্য্য এই যে, রাষ্ট্রেের ইতিহাসে কোন জিনিষই ঠিক যৌক্তিকতার নিক্তির উপর নির্ভর ক'রে বণ্টিত বা নিরূপিত হয় না। তবে বিভিন্ন প্রভাবের, বিভিন্ন গতির একটা মোটামুটি ফল জাতির জীবনের খাতায় তার অঙ্ক ক’ষে যায়।

 ভূগোল, ইতিহাস, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, ভাষাতত্ত্ব প্রভৃতি বিভিন্ন দৃষ্টিকেন্দ্র থেকে বিচার করলে, ভারতবর্ষে স্বাভাবিক কয়েকটি ভৌগোলিকা বিভাগ দেখতে পাওয়া ধায়। যথা―বঙ্গদেশ, হিন্দুস্থান, পাঞ্জাব, সীমান্ত প্রদেশ এবং বেলুচিস্থান, সিন্ধাদেশ, মহারাষ্ট্রদেশ ইত্যাদি। এই সব ভূখণ্ডগুলির নিজ নিজ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সমস্যা আছে। এই ভূখণ্ডগুলির নিজ নিজ বিশেষত্বের দিকে লক্ষ্য করলে, এদের পদেশ না ব’লে এক একটি রাষ্ট্র বা উপরাষ্ট্র বললেই সঙ্গত হয়। ভারতের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রতন্ত্রে এই বিভিন্ন উপরাষ্ট্রগুলির বিশেষত্রে দিকে লক্ষ্য রেখে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণশীল এক একটি রাজ্যের (Dominion) অধিকার দেওয়া দরকার―অবশ্য তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়সমূহের সম্পর্কে!