বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዄr$ . ভবিষ্যতের বাঙালী প্রাধান্য দেখতে পাই । বিজ্ঞানে ডারউইন, স্পেন্সার প্রভৃতির প্রাধান্য দেখতে পাই। দর্শন গ্ৰীণ, ব্রাডলে প্ৰভৃতির এক দিকে প্রাধান্য দেখতে পাই, অন্য দিকে প্রাধান্য দেখতে পাই যুক্তিবাদের (Rationalism)-যার প্রধান প্রতিনিধি হচ্ছেন জেমস মিল এবং তার প্ৰতিভাবান পুত্ৰ জন ষ্টয়ার্ট মিল। সাহিত্যে বিদ্রোহমূলক রাসাকিন, কার্লাইল প্ৰভৃতির, রক্ষণশীল আর্ণন্ড, টেনিসন, থ্যাকারে প্রভৃতির আর আদর্শমূলক #fffRSJI If”, cafCGs (Morris, Rossette) প্ৰভৃতির প্রাধান্য দেখতে পাই । এ যুগ ইংলণ্ডের সত্যই স্বর্ণযুগ। এ যুগের চিন্তাধারায় যুগের ছাপু ਏ | তারপর এল। এই বৰ্ত্তমান জর্জিয়ান (Georgian) “যুগ-মহাযুদ্ধোত্তর যুগ। এ যুগের সাহিত্যেও যুগের ছাপষ্ট পড়েছে। সাহিত্যিক এবং কবিদের বৈশিষ্ট্য হ’চ্ছে জিজ্ঞাসু মন, যান্ত্রিক সভ্যতার প্রতি অবিশ্বাসের ভাব, নূতন কিছুর জন্য আগ্রহপূর্ণ আকাজক্ষা, গতানুগতিকতার প্রতি অবিশ্বাস, ভবিষ্যতের বিষয়ে কল্পনা-জল্পনা । প্ৰকৃত পক্ষে, একটা জীবন্ত জাতির জীবন যেমন গতিশীল, তার সভ্যতা যেমন গতিশীল, তার সাহিত্যও তেমনি গতিশীল । বাংলাদেশের দিকে একবার লক্ষ্য করলে সঠিক বুঝতে পারা যায় যে, বাঙালীর জীবন সত্যই গতিশীল, বাঙালীর সভ্যতা সত্যই গতিশীল, আর বাঙালীর সাহিত্যও সত্যই গতিশীল । এ কথা বিশেষভাবে বাঙালী-হিন্দুর সম্বন্ধে খাটে, বাঙালী-মুসলমানের জীবনের বিষয়ে অবশ্য এখনও খাটে না। কেন না, বাঙালী-মুসলমান এখনও স্থবিরতার স্তর অতিক্রম করতে পারেনি। বাংলা দেশের সভ্যতা-নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা এবং দায়িত্ব এখনও হিন্দুর হাতে । মুসলমান সে দায়িত্ব গ্ৰহণ করেনি,