পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্তমান সমস্ত । অটল-অধ্যবসায়সহায়, পার্থিব সৌন্দর্য্যস্থষ্টির একাধিরাজ, অপূৰ্ব্বক্রিয়াশীল, প্রতিভাশালী এক জাতি ছিলেন । অন্তান্ত প্রাচীন জাতিরা ইহাদিগকে যবন বলিত ; ইহাদের নিজনাম—গ্রীক । মনুষ্য-ইতিহাসে এষ্ট মুষ্টিমেয় অলৌকিক বীৰ্য্যশালী জাতি এক অপূৰ্ব্ব দৃষ্টান্ত । যে দেশে মনুষ্য পার্থিব বিদ্যায়—সমাজনীতি, যুদ্ধনীতি, দেশশাসন, ভাস্কৰ্য্যাদি শিল্পে – অগ্রসর হইয়াছেন বা হইতেছেন, সেই স্থানেই প্রাচীন গ্রীসের ছায়া পড়িয়াছে । প্রাচীন কালের কথা छाड़ियों দেওয়া যাউক ; আমরা আধুনিক বাঙ্গালী—আজ অৰ্দ্ধশতাব্দী ধরিয়া ঐ যবন গুরুদিগের পদানুসরণ করিয়া ইউরোপীয় সাহিত্যের মধ্য দিয় তাহাদের যে আলোটুকু আসিতেছে, তাহারই দীপ্তিতে আপনাদিগের গৃহ উজ্জ্বলিত করিয়া স্পৰ্দ্ধ অনুভব করিতেছি । সমগ্র ইউরোপ আজি সৰ্ব্ববিষয়ে প্রাচীন গ্রীসের ছাত্র এবং উত্তরাধিকারী ; এমন কি, একজন ইংলণ্ডীয় পণ্ডিত বলিয়াছেন, “যাহা কিছু প্রকৃতি স্থষ্টি করেন নাই, তাহা গ্রীকমনের স্থষ্টি ।” সুদূরস্থিত বিভিন্ন পৰ্ব্বত সমুৎপন্ন এই দুই মহানদীর মধ্যে মধ্যে সঙ্গম উপস্থিত হয় ; এবং যখনই ঐ প্রকার ঘটনা ঘটে, তখনই জনসমাজে এক মহা আধ্যাত্মিক তরঙ্গে উত্তোলিত সভ্যতা-রেখা সুদূর-সম্প্রসারিত, এবং মানবমধ্যে ভ্রাতৃত্ববন্ধন দৃঢ়তর হয় । অতি প্রাচীনকালে একবার ভারতীয় দর্শনবিদ্যা গ্ৰীকউৎসাহের সম্মিলনে রোমক, ইরাণী প্রভৃতি মহাজাতিবর্গের অভু্যদয় স্থত্রিত করে । সিকন্দর সাহের দিগ্বিজয়ের পর এই দুই মহাজলপ্রপাতের SO