পাতা:ভারতকোষ - প্রথম খণ্ড.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
অবলা বসু
অবহট

Architecture, London, 1910; Percy Brown, Indian Architecture, vol., I, Bombay, 1952.

প্রণবরঞ্জন রায়।

অবলা বসু (১৮৬৫-১৯৫১ খ্রী) দুর্গামােহন দাসের কন্যা ও আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর সহধর্মিণী। ১৮৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দে ইনি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। কলিকাতা বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় ও বেথুন স্কুলে তিনি অধ্যয়ন করেন ও ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বাংলা সরকারের বৃত্তি পাইয়া তিনি মাদ্রাজে কিছুকাল চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন করেন। অবলা বসু নারীশিক্ষা সমিতির (১৯১৯ খ্রী) প্রতিষ্ঠাতা। মৃত্যুকাল পর্যন্ত তিনি ব্রাহ্মবালিকা-শিক্ষালয়ের সাদিকা ছিলেন। ১৯৫১ খ্রীষ্টাব্দের ২৪ এপ্রিল তিনি পরলােকগমন করেন।

দ্র সরলা দেবী চৌধুরানী, জীবনের ঝরাপাতা, কলিকাতা, ১৯৫৮।

যোগেশচন্দ্র বাল।

অবলােকিতেশ্বর ধ্যানীবুদ্ধ অমিতাভ ও তাহার প্রজ্ঞা পার হইতে প্রসিদ্ধ মহাযানী বােধিসত্ত্ব মহাকারুণিক অবলােকিতেশ্বরের উদ্ভব। কথিত আছে যে, গৌতমবুদ্ধের তিরােধান ও মৈত্রেয়বুদ্ধের আবির্ভাবের অন্তবর্তীকালেই বােধিসত্ত্ব অবলােকিতেশ্বর বিরাজ করেন।

মহাযানী গ্রন্থ ‘কার বৃহ’ হইতে অবলােকিতেশরের চরিত্র, স্বভাব এবং তাহার শিক্ষা সম্বন্ধে জানিতে পারা যায়। এইরূপ উল্লিখিত আছে যে বােধিসত্ত্ব অবলােকিতেশ্বর নিবাণ লাভের পর শূন্যে বিলীন হইবার মুহুর্তে বহু প্রাণীর আর্তনাদ শুনিলেন। বােধিসত্ত্বের অবর্তমানে প্রাণীসাধারণ তাহাদের অসহায় অবস্থার কথা চিন্তা করিয়াই ভীত হইয়াছিল। পরমকারুণিক বােধিসত্ত্ব অবলােকিতেশ্বর প্রাণীসাধারণের এই কষ্ট দেখিয়া অত্যন্ত ব্যথিত হইলেন এবং তাহাদের আর্তনাদ উপেক্ষা করিতে পারিলেন না। তিনি প্রতিজ্ঞা করিলেন যে যতদিন জগতের সকল প্রাণী দুঃখ হইতে মুক্তিলাভ না করিবে ততদিন তাহাদের মুক্তির জন্য এই জগতে কাজ করিয়া যাইবেন এবং নির্বাণে প্রবেশ করিবেন না।

ইহার অপর নাম পদ্মপাণি। সাধনমালা’ ও অনুরূপ অন্যান্য গ্রন্থ হইতে আমরা অবলােকিতেশ্বরের অন্ততঃ ১৫টি রূপ ধারণ করিতে পারি। নেপালে ও ভারতবর্ষে অবলােকিতেশ্বরের বহু মূতি পাওয়া গিয়াছে।

ঐ সত্যব্রত সামশ্ৰমী সম্পাদিত কারণ্ডবহ, কলিকাতা,
 ; B. Bhattacharyya, The Indian Buddhist Iconography, London, 1924 ; B. Bhattacharyya, An Introduction to Buddhist Esoterism, London 1932.
বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়

অবলােহিত রশ্মি লাল আলাে হইতে দীর্ঘতর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের অদৃশ্য আলােকরশ্মিকে অবলােহিত রশ্মি বলা হয়। প্রায় ৭৫ ০ ০ অ্যাংস্ট্রম হইতে ইহার শুরু। বিশেষভাবে প্রস্তুত ফোটোগ্রাফির প্লেটের সাহায্যে অবলােহিত রশ্মি ধরা যায়। এই রশ্মি কোনও বস্তুর উপর পড়িলে উত্তাপ সৃষ্টি করে। এইজন্য থার্মোকা-এর সাহায্যেও অবলােহিত রশ্মির অস্তিত্ব নির্ণয় করা যায়। প্রত্যেক বস্তু হইতেই | উষ্ণতার জন্য কিছু পরিমাণে অবলােহিত রশ্মি বিকিরিত হয়। সেইজন্য অবলােহিত রশ্মির সাহায্যে আলােকচিত্র | গ্রহণ করিলে রাত্রির অন্ধকারেও অনুজ্জ্বল বস্তুর ছবি পাওয়া যায়। এইরূপ ইনফ্রারেড ফোটোগ্রাফি সামরিক প্রয়ােজনে ব্যবহার করা হয়। কাগজে লেখা উঠাইয়া ফেলিলে বা কাপড়ে রক্তের দাগ ধুইয়া ফেলিলে অবলােহিত রশ্মিতে নেওয়া আলােকচিত্রে তাহা ধরা যায়। এই কারণে অপরাধ-বিজ্ঞানের কাজে অবলােহিত রশ্মি ব্যবহার করা হয়। নানাবিধ পেশীর ব্যথায় অবলােহিত রশ্মি প্রয়ােগ করিলে কিছু সুফল পাওয়া যায়। অতিবেগুনী | রশ্মি’ ও ‘আলােক দ্র।।

শ্যামল সেনগুপ্ত
অবহট্ঠ ( < অপভ্রষ্ট) প্রাকৃত ( অপভ্রংশ) ও নবীন | ভারতীয় আর্য ভাষার মধ্যবর্তী অবস্থার সাহিত্যিক ছাদ, | বৌদ্ধ তান্ত্রিক ও শৈব অথবা নিরীশ্বর যােগীদের লেখা ‘দোহা' নামক প্রকীর্ণ কবিতার ভাষা। সরহ ও কাহ্নের মত বৌদ্ধ যােগী যাহারা সংস্কৃতে তত্ত্বগ্রন্থ এবং সদ্যোজাত প্রাচীন বাংলায় গান লিখিয়াছিলেন তাহারা অবহটঠে | নীতি ও সহজ অধ্যাত্মজ্ঞানের কথা লিখিয়াছিলেন। | অবাঙালী যােগী-সাধকের লেখা অবহট্ঠ দোহাও পাওয়া | গিয়াছে। অবহট্ঠ ভাষার ব্যবহার বিশেষ বিশেষ সাধকসম্প্রদায়ের মধ্যেই নিবদ্ধ ছিল না। সাধারণ লােকের মধ্যে যে সাহিত্য প্রচলিত ছিল (আনুমানিক ৭০০-১০০০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত) তাহাও অবহট্‌ঠে লেখা। এইরূপ ব্যবহার পঞ্চদশ শতাব্দী এবং তাহার পরেও ছিল। আনুমানিক ১৫০০ | খ্রীষ্টাব্দে রচিত প্রাকৃত পৈঙ্গলের অধিকাংশ সূত্ৰশ্লোক এবং উদাহরণ-কবিতা প্রায় সবই অবহট্‌ঠে লেখা। পঞ্চদশ
৮৬