পাতা:ভারতকোষ - প্রথম খণ্ড.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

অটোজাইরাে চাপে ও জলের স্ফুটনাঙ্ক অপেক্ষা বেশি উষ্ণতায় খাদ্যদ্রব্য। ( মাংস ইত্যাদি) স্বল্প সময়ে সহজে সুসিদ্ধ হয়, অথচ খাদ্যগুণ নষ্ট হয় না। রামগােপাল চট্টোপাধ্যায়। অটোজাইনাে জাইরােস্কোপ দ্র অট্টহাস বীরভূম জেলার সিউড়ি মহকুমার লাভপুর থানায় ঐ নামের মৌজায় অবস্থিত ৫১টি পীঠস্থানের অন্যতম। সাধারণের বিশ্বাস, এখানে সতীর অধরােষ্ঠ পতিত হয়। দেবী ফুল্লরার মন্দিরে প্রায় দশ-বারাে হাত বিস্তৃত অসামঞ্জস্যহীন একটি প্রকাণ্ড শিলামূর্তি আছে। ভক্তগণের বিশ্বাস উহা অধরাকৃতি। দেবীর প্রিয় বলিয়া দেবীকে ভােগ নিবেদন করিবার পূর্বে এখানে শিবাভােগ হয়। মন্দিরপাশ্বে ভৈরবের মন্দির আছে। L. S. S. O'Malley, Birbhum District Gazatteer, Calcutta, 1910; A. Mitra, Census, 1951– West Bengal-District Handbook, Birbhum, Calcutta, 1954. অমলেন্দু মুখােপাধ্যায় অট্‌ঠকথা, অথকথা সংস্কৃত অর্থকথা। প্রধানতঃ বৌদ্ধ পালি ত্রিপিটকের নিকায় বা তাহার অন্তর্গত সুত্তগুলির ব্যাখ্যান। অট্‌ঠকথাগুলির অধিকাংশই বুদ্ধঘােষের রচনা। ধম্মপাল প্রভৃতি আরও কয়েক জনের অখকথা আছে। পলি ব্যাকরণেরও অট্‌ঠকথা পাওয়া যায়, যথ। কচ্চায়নের পালি ব্যাকরণের ‘সারথবিকাসিনী। প্রাচীন সিংহলী ভাষায় রচিত অট্‌ঠকথাও পাওয়া যায়। প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের রচিত অট্‌ঠকথা। অর্থাৎ ব্যাখ্যানেরও টীকা পাওয়া যায়। যেমন, বুদ্ধঘােষ-রচিত সমস্তপাসাদিকার টাকা। এই জাতীয় আরও টীকা আছে। বুদ্ধঘােষ-রচিত নিম্নলিখিত অঠকথাগুলি বিশেষ প্রসিদ্ধ : বিনয়পিটকের ‘সমন্তপাদিকা’, দীঘনিকায়ের ‘সুমঙ্গলবিলাসিনী’, মজুঝিমনিকায়ের ‘পপঞ্চসূদনী’, অঙ্গুত্তরনিকায়ের মনােরথপূরনী’, সঞঞত্ত নিকায়ের ‘সারখপকাসিনী’, খুদ্দকনিকায়-অন্তৰ্গত খুদ্দকপাঠের এবং সুনিপাতের ‘পরমখজোতিকা। কাহারও কাহারও মতে খুকনিকায়-অন্তর্গত ধম্মপদের এবং জাতকের অট্‌ঠকথাও বুদ্ধঘােষ কর্তৃক রচিত, কিন্তু তাহার সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। সিংহলী ভাষায় এই দুইটির যে অট্‌ঠকথা আছে, বুদ্ধঘােষের পরমখজোতিকার অন্তভুক্ত অংশটি তাহার পালি অনুবাদ মাত্র। অভিধম্ম। পিটকের ধম্মসঙ্গনির অট্‌ঠকথা ‘অখসালিনী’ এবং বিভঙ্গপ্রকরণের ‘সম্মােহ-বিনােদনী’ও বুদ্ধঘােষের রচনা।

________________

অডিটর-জেনারেল ধম্মপাল ‘পরমখদীপনী’ নামে অট্‌ঠকথা রচনা করেন, ইহা উদান, ইতিবৃত্তক, বিমানবখ, পেতবখ এবং থের ও থেরীগাথার ব্যাখ্যান। শৈলেন্দ্রনাথ মিত্র অডিটর-জেনারেল মহানিরীক্ষক। কম্পট্রোলার অ্যাণ্ড অডিটর-জেনারেল অফ ইণ্ডিয়া বা সংক্ষেপে ‘অডিটরজেনারেল’ ভারতবর্ষের সংবিধানে উল্লেখিত উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের অন্যতম। সংবিধানের ১৪৮ হইতে ১৫১ ধারায় তাহার নিয়ােগ, কার্যাবলী, ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয় আলােচিত হইয়াছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্যসরকারগুলি রাজস্ব হিসাবে বা অন্যান্য উৎস হইতে যে সমস্ত অর্থ সংগ্রহ করেন উহার সম্যক রক্ষণাবেক্ষণ কাম্য এবং সরকারি কোষাগার হইতে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে অর্থব্যয়ের উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ প্রয়ােজন। পার্লামেন্টের প্রতিনিধি হিসাবে অডিটর-জেনারেলের উপর সরকারি আয়-ব্যয়ের হিসাবরক্ষণ এবং সুষ্ঠু ও আইনসম্মত উপায়ে ব্যয় হইতেছে কিনা তাহার পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব ন্যস্ত হইয়াছে। অডিটর-জেনারেল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তঁাহার বেতন ও চাকুরির অন্যান্য সর্তাদি পার্লামেন্ট কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে। পার্লামেন্ট এই বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা পর্যন্ত তিনি মাসিক চার হাজার টাকা বেতন পাইবেন। একবার নিযুক্ত হইয়া অডিটর-জেনারেল ছয় বৎসরকাল উপদে আসীন থাকেন। অবাঞ্ছিত প্রভাব যাহাতে তাহার কর্তব্য সম্পাদনে বিঘ্ন না ঘটায় তজ্জন্য | স্থির হইয়াছে যে সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিদের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য বিশেষ পন্থা ব্যতীত তাহাকে পদচ্যুত করা যাইবে না। তাহার কার্যকাল সম্পূর্ণ হওয়ার পর তিনি | কেন্দ্রীয় বা রাজ্যসরকারের অধীনে কোনও চাকুরি গ্রহণ করিতে পারিবেন না। তাঁহার কার্যালয় পরিচালনার জন্য প্রয়ােজনীয় ব্যয়ও পার্লামেন্টের মঞ্জুরীসাপেক্ষ হইবে না। কেন্দ্রীয় ও রাজ্যসরকারগুলির হিসাবরক্ষণের পদ্ধতি | রাষ্ট্রপতির অনুমােদনক্রমে অডিটর-জেনারেল স্থির

করিবেন। সরকারি অর্থের ব্যয় যাহাতে অবৈধ, ক্ষতিকর বা অপচয়মূলক না হয় তাহার উপর তিনি সজাগ দৃষ্টি রাখেন এবং ঐরূপ ব্যয় হইলে তিনি তৎসম্পর্কে মন্তব্য করেন ও অনেক ক্ষেত্রে উহা নাকচও করিতে পারেন। সরকারি আয়-ব্যয়ের প্রধান প্রধান ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে একটি বিবরণী তিনি বৎসরান্তে পার্লামেন্টের (বা রাজ্যসমূহের ক্ষেত্রে রাজ্যের আইনসভার ) সমক্ষে পেশ করেন।

৩৫