পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৯৫

আপন গতিবশে আপনি যখন প্রবাহক্রমে চলিতে থাকে সেই সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রবাহের যাহা ফল তাহা ও আপনার মধ্যে সঞ্চয় করিয়া লইয়া চলে। চিত্তের পূর্ব মুহূর্তের গতিতে যাহা ফলরূপে উৎপন্ন হইয়াছে, দ্বিতীয় মুহুর্ত্তের গতিতে তাহাই গতির মধ্যে বিধৃত হইয়া দ্বিতীয় আর একটী ফলকে উৎপন্ন করিতেছে। আবার তৃতীয়ক্ষণে প্রথম ও দ্বিতীয় ফল প্রবাহসন্ততিরূপে তৃতীয় ফলকে সৃষ্টি করে। এমনি করিয়া সমগ্র জীবনের চিত্তগতির সঙ্গে সঙ্গে তাহার ফলীভূত জ্ঞান হর্ষ সুখাদি সমস্ত চিত্তফল অনুস্যূত থাকিয়া চিত্তের গতিকে বিচিত্রতর বিশিষ্টতর করিয়া নূতন নূতন বিচিত্রতর বিশিষ্টতর ফল উৎপাদন করিয়া তাহাকে আপন প্রবাহ ধর্মী করিয়া উত্তরোত্তর নবীন নবীন ফলরূপে প্রস্পন্দিত করিয়া চলিয়াছে। চিত্তের এই নিরন্তর গতিশীলতায় নিরন্তর নূতন নূতন সৃষ্টি চলিয়াছে। চিত্তে এই গতিশীলতার বৈচিত্রের প্রতি বাহ্য বস্তুর নানা বিচিত্র প্রকারের কারণ থাকিলেও চিত্তের গতির মধ্যে গৃহীত না হইলে তাহার ফলরূপে প্রকটিত না হইলে কোনও বস্তুরই অভিব্যক্তি হইতে পারে না। এইজন্য যাহা কিছু আমরা চিত্তবাহ বলিয়া মনে করি তাহা স্বরূপতঃ চিত্তপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নহে। এই কথাটী চিত্রের উদাহরণ দিয়া বুদ্ধঘোষ বুঝাইতে চেষ্টা করিতেছেন। তিনি বলেন চিত্তের ক্রিয়াশীলতা ছাড়া চিত্র বলিয়া আর কিছুই নাই। প্রশ্ন উঠিতে পারে চিত্তের ক্রিয়া আভ্যন্তরীণ ধর্ম, চিত্র বাহ্য বস্তু, এ অবস্থায় চিত্রের চিত্তাতিরিক্ত সত্তা