পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৪
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

পারে; সেই বিশিষ্ট পদ্ধতিতে চিত্ত বহির্জগৎ হইতে সম্বন্ধ-পরম্পরা আহরণ করে। একদিকে যেমন বলিতে হয় যে একটী গোব্যক্তির মধ্যে তাহার ভঙ্গীগুলির একটী অনুরূপ সম্বন্ধ আছে এবং সেই সম্বন্ধ সামঞ্জস্যটী গোব্যক্তিরই স্বাভাবিক ধর্ম্ম। অপর দিক্‌ দিয়া দেখিতে গেলে তেমনি বলিতে হয় যে সেই অনুরূপতা বা সামঞ্জস্যটা চিত্তেরই আপন স্বাভাবিক ধর্ম্ম। অর্থাৎ যে সম্বন্ধ পরম্পরার মধ্য দিয়া চিত্ত আপনাকে সমগ্রের সহিত খণ্ডকে মিলাইয়া লইতে পারে এবং সেই আত্মপরিচয়ের ব্যাপারে কোন ব্যাঘাত বা প্রতিবাদ অনুভব করে না) তাহাই অনুরূপতা বোধ বা সামঞ্জস্য বোধ। সদৃশ প্রত্যয় স্থলেও এই রকমই একটা ভঙ্গীর সহিত বা কতকগুলি ভঙ্গী সমষ্টির সহিত অপর একটা ভঙ্গীর বা ভঙ্গীসমষ্টির অনুরূপতা বা সামঞ্জস্য দৃষ্ট হয়। এ স্থলেও ইহাকে চিত্তের স্বান্তব্যাপারবর্ত্তী স্বানুকূল সম্বন্ধ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। চিত্ত যখন একটী ভঙ্গী সমষ্টির মধ্য দিয়া আর একটী ভঙ্গীসমষ্টির মধ্যে অনায়াসে ব্যাপারবান্ হইয়া উঠিতে পারে এবং তাহার মধ্য দিয়া আপন ব্যাপারের অনুকূল পরিচয় লাভ করিতে পারে তখন তাহার ফলে যে প্রতীতি হয় তাহাকেই সদৃশ প্রতীতি বলা হয়। বস্তুতঃ সদৃশ প্রতীতি ও সামঞ্জস্য বিভিন্ন জাতীয় দুইটি বিভিন্ন প্রকারের প্রতীতি। কিঞ্চিৎ বিরুদ্ধতার মধ্যে যখন সাদৃশ্যানুভূতি ঘটে তখনই তাহার ফলে আর একটা বিশিষ্ট জাতীয় প্রত্যয় জন্মে, তাহাকে সামঞ্জস্য প্রতীতি বলা হয়। আর দুইটি বস্তুর সদৃশতাকে অবলম্বন করিয়াই যখন