পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫২
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

চিত্রকলা বলিয়া জানিলেও ব্যাঘ্র প্রতীতি দূর হয় না। বাধ হইলেও যেখানে প্রতীতি দূর হয় না এবং কোনকালে দূর হইবে এরূপ আশাও যখন করা যায় না তখন তাহাকে ভ্রম বলিব কিরূপে? যদিও চিত্রেয় বস্তুর ন্যায় চিত্রের কোনও অর্থক্রিয়াকারিত্ব নাই এবং সেইজন্য চিত্রেয় বস্তুর সমান পর্য্যায়ক সত্তা তাহাকে দেওয়া যায় না, তথাপি তাহারও যে জাতীয় অর্থক্রিয়াকারিত্ব পূর্ব্বে উক্ত হইয়াছে তাহার বলে সত্তা দাবী করিবার তাহার অধিকার আছে। আমরা ভ্রমেতর এমন কোনও বস্তুর কথা জানি না, যাহার অর্থক্রিয়াকারিত্ব আছে অথচ সত্তা নাই। ভ্রমমাত্রই বিজ্ঞাননিরস্য। চৈত্রিক সত্তা কোনও বিজ্ঞানের নিরস্য নহে। এইজন্য ইহাকে যে ভ্রম বলা যায় না তাহা পূর্ব্বেই বলা হইয়াছে। দৃষ্ট ও স্মৃতের মধ্যে ভেদাগ্রহ কিংবা দৃষ্টবস্তুতে স্মৃতবস্তুর আরোপ প্রভৃতি যে সমস্ত ভ্রমলক্ষণ শাস্ত্রকারেরা করিয়াছেন তাহাও চিত্রে প্রযোজ্য নহে। পরন্তু অর্থাথিভাবলক্ষণের দ্বারা ইহার একটি বিশেষ সত্তাপ্রতীতি স্ফুট হইয়া ওঠে। অর্থার্থিভাবলক্ষণসম্বন্ধের তাৎপর্য্য এই যে যাহা আমরা চাই তাহার সত্তাও আমরা মানিয়া লই। অনেকে বলেন যে অন্তরের এই চাওয়ার দাবীতে এই বাসনার বা কামনার প্ররোচনায় জ্ঞাতৃজ্ঞেয়ভাবে সমগ্র জগৎ আমাদের নিকট প্রত্যক্ষায়মাণ হইতেছে। যাঁহারা বৌদ্ধ-বিজ্ঞানবাদের মতের সহিত পরিচিত আছেন তাঁহারা জানেন যে বাসনার প্রেরণাতেই জগৎ জ্ঞাতা ও জ্ঞেয়রূপে প্রতিভাত হইতেছে। সৌন্দর্য্যের জন্য আমাদের চিত্তে