পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৬
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা

অনুভূতির সঞ্চার প্রতিসঞ্চারে ইচ্ছার দোলা ও জীবনের দোলা প্রতিকূলে বা অনুকূলে আন্দোলিত হইয়া সুখ দুঃখের সূচনা করে। এই সুখ দুঃখ বোধের দ্বারাই অন্তৰ্জীবনের সন্নিপাতবর্ত্তী বস্তুর মূল্য নির্দ্ধারিত হয়। যাহা জীবনলীলার স্বল্পাংশে উপযোগী হইয়া স্বল্পাবসরে বা স্বল্পমাত্রায় তাহার অনুকূল হয় তাহার মূল্য স্বল্প। এবং যাহা সমগ্র জীবনের প্রতি ব্যাপকভাবে বা জীবনলীলার সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম দাবীর প্রতি দুর্ল্লভভাবে উপযোগী হয় তাহাকে আমরা অধিক মূল্য দিয়া থাকি। এই জন্যই আমাদের মধ্যে মূল্যের তারতম্য আছে। যে জাতীয় অভাবের দাবীর বা সুপ্ত ইচ্ছার পূরণ যাহা দ্বারা হইতে পারে সেই ক্ষেত্রের মধ্যে তাহার ন্যায় মূল্য আর কিছুর নাই। ক্ষুধার সময় আহারের ন্যায় আর কিছুরই মূল্য নাই। কিন্তু সমগ্র জীবনের সমগ্রতার মধ্যে ব্যাপকভাবে যে একটী চাওয়া রহিয়াছে তাহার পূরণ অন্যের দ্বারা সম্ভব নহে। মানুষ যে বর্ত্তমানকে ছাড়িয়া ক্রমশঃ একটী অজ্ঞাত অস্ফুট আদর্শের দিকে তাহার জ্ঞাতে অজ্ঞাতে ছুটিয়া চলিয়াছে সেই আদর্শের অনুসন্ধানেই তাহার সেই সমগ্র জীবনের দাবীকে মিটাইতে পারে সেইজন্য সেইদিক্‌ হইতে আদর্শানুসন্ধানের মূল্য অনেক অধিক। তেম্‌নি শিক্ষিত মনুষ্যের হৃদয়ের মধ্যে নানা সূক্ষ্ম তন্ত্রীতে নানাবিধ সূক্ষ্ম চাওয়া জাগিয়া উঠে। এই জাতীয় চাওয়া সে তাহার নিম্নস্তরের জীবনে পায় নাই। মানুষ প্রকৃতি দেখিয়া আনন্দে বিভোর হয়, সঙ্গীত শুনিয়া তন্ময় হইয়া উঠে, সুন্দর বস্তু দেখিয়া আত্মহারা হয়, এবং