পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৪৩

 অনেকের ধারণা আছে, যে আমাদের দেশের চিত্রীদের অবয়ব প্রমাণ সম্বন্ধে কোন যথাযথ জ্ঞান ছিল না। এ ধারণাটি যে ভ্রান্ত তাহা চিত্রসূত্র পড়িলে সহজেই বুঝা যায়। প্রমাণের মাত্রাকে (unit) তাল বলা হইত। মাথার পরিমাণকে আদিমাত্রা বা আদিতাল বলিয়া ধরা হইত। ভারতীয় শিল্পীরা মনে করিতেন যে সমগ্র দেহের সহিত মাথার এমন একটি সম্পর্ক আছে যে মাথার আকারের বিশিষ্ট ভগ্নাংশের পরিমাণের দ্বারা বা গুণকের পরিমাণদ্বারা সমগ্র অবয়বের পরিমাণ করা যায়। আশ্চর্যের বিষয় এই যে Leonardo da Vinci (১৪৪৫ খ্রীষ্টাব্দ) তাঁহার ‘A Treatise on Painting’ গ্রন্থে ঠিক এই মতই পোষণ করিয়াছিলেন।—A man has the length of two heads from the extremity of one shoulder to the other. (পৃঃ ৫) এমনই করিয়া তিনি অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সহিতও মাথার সম্বন্ধ দেখাইয়া তাহাদের পরিমাণ নির্ণয় করিয়াছেন। আমাদের চিত্রসূত্রে পাঁচ জাতীয় মনুষ্যের কথা উল্লেখ আছে। হংস, ভদ্র, মালব্য, রুচক ও শশক। ইহাদের মধ্যে হংসই সর্ব্বাপেক্ষা দীর্ঘতম ও শশকই সর্ব্বাপেক্ষা হ্রস্বতম। বরাহমিহিরে এই বিভাগের কিছু বৈলক্ষণ্য দেখা যায়। সেখানে হংস, শশক, রুচক, ভদ্র ও মালব্য যথাক্রমে দীর্ঘ ও হ্রস্ব বলিয়া গণিত হইয়াছে। পুরুষ প্রমাণ সম্বন্ধেও এই উভয়ের গ্রন্থে বৈলক্ষণ্য দেখা যায়। চিত্রসূত্রে সর্বাপেক্ষা দীর্ঘতম হংসকে ২০৮ আঙ্গুল বলিয়া বলা হইয়াছে এবং তাহার পর ভদ্র ১০৬ অঙ্গুলি, মালব্য