পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা । উহা মফস্বলে বিক্রয় করিয়া যথেষ্ট উপার্জন করিয়া থাকে সহরে অালো দেওয়ার জন্ত অনেক প্রাইভেট কোম্পানী রহিয়াছে, মাসের শেষে বিল করিয়া আলোর খবচ লইয়া থাকে। বড় বড় সহরে জলের কল আছে । সংরতলি এবং ক্ষুদ্র সহরে কূপের জল ব্যবহৃত হইয় থাকে। জাপানীর অদ্ভুত জীব। হোক্কাইদে দ্বীপে একটি ক্ষুদ্র সহরের লোক সংখ্যা বিশ হাজার। লৌহ এবং কয়লার আকর থাকায় ইহা একটি বাণিজ্যস্থান । কিন্তু এখানে জলের বড়ই অভাব। ত্রিশ মাইল দূৰবৰ্ত্তী ছাপ্লোবের সহর হইতে রোজ রেলে তথায় জল নীত হইতেছে । তোকিওর দ্যায় বড় সহরের রাস্তাতেও জল সিঞ্চনের বেশ বন্দোবস্ত নাই । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি দোকানদার এবং সাধারণ বাসিন্দাগণ নিজেদের বাড়ীর সম্মুখের রাস্ত সিক্ত করিয়া থাকে। উহার খোল নর্দামার কিম্ব নিকটবৰ্ত্তা খালের জল অথবা নিজ বাড়ীর কুপ অথবা কলের জলই রাস্তায় ছিটায় । অfর পাবলিক রাস্ত এবং পার্ক প্রভৃতির জন্ত স্থানে স্থানে রাস্তার ধারে কুপ আছে। ভিস্তি একরূপ কাঠের গাড়ীতে জল লইয়া রাস্তায় ርW፪ ! পায়খানার বিবরণ ভারতবাসীর নিকট একটু অভিনব। সহরে এবং গ্রামে সৰ্ব্বত্রই পায়খানার প্রচলন, মিউনিসিপালিটীব সহিত উস্থার কোন সম্পর্ক নাই ; উহা গৃষ্ঠস্বামীরই তদ্বিরাধীন । সহরে কতক গুলি কোম্পানী আছে, ময়লা সংগ্রহ করাই তাহদের ব্যবসা । কোম্পানীনিয়োজিত লোক কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত পাত্রে ময়লা সংগ্ৰহ করিয়া থাকে। এক একজন জাপানের সহর । అరిx ঐরূপ ৮১•টী পাত্র একথান গাড়ীর উপর সাজাইয়া মফস্বলে টানিয়া লইয়া যায় । যে সময়েই তোকিওর পথে বাহির হও না কেন দেখিবে সারি সারি ময়ল গাড়ীর যেন শেষ নাই। জাপানীরা উহার গন্ধে অভ্যস্ত ; আমরা কিন্তু নাকে রুমাল না দিয়া চলিতে পারিতাম না । জাপানীদের উহাতে একটু ঘৃণার ভাবও পরিলক্ষিত হয় না । এমন কি সহরের অনেক কেন্দ্রস্থলে ঐ সকল গাড়ীর আডড দেখিতে পাওয়া যায় । জলপথেও বহু দূরবত্তী গ্রামে ঐ সকল গাড়ী লইয়া যাওয়া হয়। তোকিও সহরে জলপথে নৌকাযোগে উহা রপ্তানী হইবার উল্লেখযোগ্য প্রধান ষ্টেশন আছাকুশার বিখ্যাত হায়াব পলিটেকনিক ইন্‌ষ্টিটিউশানের দ্বারদেশের সম্মুখভাগ । আমাদের দেশে— সাধারণ ভদ্রলোকের বাড়ীর সম্মুখেও এরূপ ষ্টেশন থাকিতে পারে না । স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি সে বিষয়ে আদৌ আকৃষ্ট হয় না ; যেহেতু উহ! অনেকটা ধানের বস্তা, তুলার বস্ত, পাটের বস্ত প্রভৃতির স্থায় বিবেচিত হইয়া থাকে । শীতপ্রধান দেশ বলিয়াই ইহাদ্বার সহজে ব্যারামের বীজ ছড়াইয়া পড়ে না। কোম্পানীর লোকগণ মফস্বলের কৃষকদের নিকট উহ বিক্রয় করিয়া থাকে । গৃহস্বামীকে ময়লা পরিষ্কার করার জন্ত মেথরকে কিছুই দিতে হয় না ববং ইচ্ছা করিলে গৃহস্বামী মেথরের নিকট হইতে ময়লার মূল্য স্বরূপ কিঞ্চিৎ গ্রহণ করিতে পারে। সাধারণ তঃ অনেকেই নগদ মূল্য গ্রহণ করে না । ময়লার পরিবর্তে মাঝে মাঝে শাক শব্জীর ভেট লইয়া থাকে। জাপানে মেথরশ্রেণী বলিয়া কোন নির্দিষ্ট