পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

మైళి শ্রেণী নাই। যে কেহ পায়খান পরিষ্কার করিতে পারে, তাহাতে জাতিভ্রষ্ট কিম্বা সমাজচ্যুত হইবার কোনরূপ আশঙ্কা নাই । অনেকেই জানেন যে গরুর বিষ্ঠা জমির পক্ষে মূল্যবান সার। মনুষের বিষ্ঠা উহ। অপেক্ষাও অধিকতর মূল্যবান, যেহেতু মমুম্বা গরুর চেয়ে পুষ্টিকর এবং মূল্যবান পদার্থ আহাৰ্য্যরূপে গ্রহণ করিয়া থাকে । আমাদের ভুক্ত পদার্থের কিয়দংশ অস্থি, মাংস ও রক্তে পরিণত হইয়া দেহ পুষ্ট করে এবং বাকী অধিকাংশই রূপান্তরিত হইয়া বিষ্ঠারূপে বহির্গত হয়। উহা উদ্ভিজ্জের পরিপোষণে বিস্তর সহায়তা করে । মনুষ্য খাদ্যের সহিত উহা পুনরায় গ্রহণ করিয়া থাকে। অতি অল্প খরচে এই মূল্যবান সার সকলেই লইতে পারে। জাপানে ছোট বড় ধনী দরিদ্র কেহই এ সার জমিতে প্রয়োগ করিতে ঘৃণা বোধ করে না। মিউনিসিপালিটীর ট্যাক্সের দায়ে গরীব সছরবাসীকে ঝালাপালা হইতে হয় না। যে যেরূপ চালচলনে চলিতে চায় তেমনি পারে। গরীব ব্যক্তি ইচ্ছা করিলে বাড়ীর সম্মুথে আলো নাও জ্বালাইতে পারে। আর পাড়া প্রতিবেশীর কলের জলেই তাহার সমস্ত কার্য নিৰ্ব্বাহিত হইয়া থাকে। সহরে এবং বড় বড় গ্রামে গতায়াতের সুবিধার জন্ত টাম এবং রিকশার বন্দোবস্ত আছে । তোকিও সহর কলিকা তার চেয়ে অনেক বড় হইলেও সেখানে গাড়ী ঘোড়া এবং মোটরকারের ধুম কলিকাতা হইতে অনেক ক্ষম । তোকিও সহর বৈদ্যুতিক ট্রামে ছাইয়া ফেলিয়াছে । তথtয় চারি বৎসর ভারতী । অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ অবস্থান কালে সংবাদপত্র স্তম্ভে একদিনের জন্তে ও মোটর গাড়ী কিম্বা বৈদ্যুতিক টামের চাপায় একটা ব্যক্তিরও অপমৃত্যুর সংবাদ অবগত হই নাই । তোকিওর দ্যায় ভারী সহরে ১৫২ খানার বেশী মোটর গাড়ীও নাই । ঘোড়ার গাড়ীর সংখ্যাও প্রায় তদ্রুপই । বাইসিকেল আজকাল ভদ্রলোকে কমই ব্যবহার করিয়া থাকে। ফেরিওয়ালা এবং সংবাদবাহকগণের ভিতরই উহার প্রচলন দেখিতে পাওয়া যায় । স্কুল কলেজের ছেলেরা ও ব্যবহার করিয়া থাকে । গাড়ী ঘোড়ার আড়ম্বর নাই বলিয়াই যে জাপানীরা আমাদের চেয়ে গরীব তাহ নহে । পূর্বেই বলিয়াছি যে উহার এরূপ ব্যয়কে অপব্যয় বলিয়া মনে করে । একবার হায়দরাবাদের নিজামের ভাগিনেয় এক নবাব তোকিও সহরে গিয়াছিলেন । তাহার সেক্রেটারী এবং সৈন্তবিভাগীয় কাপ্তেনের সহিত তাহদের আগমনের দ্বিতীয় দিবস সহর ভ্রমণে বাহির হই । তাহার কয়েক মিনিটের অভিজ্ঞতাতেই গাড়ী ঘোড়৷ প্রভৃতির আড়ম্বর না দেখিয়া মন্তব্য প্রকাশ করিলেন “আরে ভিকারী সম্রাট রে ! আরে ভিকারী মিউনিসিপালিটা রে । আরে ভিকারী জাপান রে।” বলাবাহুল্য মাসাধিক কাল অবস্থানের পর তাহদের মনের সম্পূর্ণ পরিবর্তন হইয়াছিল। র্তাহার তখন দরিদ্র জাপানীদের ভিতর ও ঐশ্বৰ্য্য পরিজ্ঞাপক কিছু না কিছু দেখিতে পাইতেন । বাস্তবিক দরিদ্র চাকরাণীগুলিব রাশি রাশি যেরূপ মুল্যবান রেশমী বস্ত্র দেখিতাম আমাদের দেশের বিশিষ্ট অবস্থাপন্ন ভদ্র