পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98 رای বলেন, “তা হলে ঘন ঘন মুচ্ছ যাবে। আর কবিতা লিখিব !” নীহারিক গালে হাত দিয়া বলিল— “সকলেরি দেখ চি এক প্রেস্তৃপশান ।” “ত যাক এখন তোর প্ল্যানটা কি শুনি ।” “অরুণ বাবুকে দিয়ে একখানা চিঠি তাকে লেখান যাক যে, হঠাৎ হার্টফেল হয়ে আমি মারা গেছি! দেখি কি করেন ।” প্রভাতের মনে প্ল্যানটা তত সুবিধার বলিয়া মনে হইল না ; নীহারিকার দিকে চাহিয়া সে বলিল, “দুব ! সেকি ভাল ?—” নীহার বলিল, “তোমার ভয় নেই দিদি, আমি মরবো না !” “দূর, তা কেন ?” “তবে কি ?” “যদি আবার বে করে বসে !” নীহারিকার মুথ একটু লাল হইয়া উঠিল —সে বলল, “ন, সেটুকু বিশ্বাস আছে।” প্রভাত কহিল—“তবে আবার একজামিন কেন ?” “ভাল ছাত্রকে ও তে। একজামিন দিতে হয় !” প্রভাত কৃত্রিম দুঃখে বলিল—“আই, বেচার। সেই বেঙ্গ থেকে এক জামিন দিতে দিতে জালতন হয়ে গেচে–আবার তোর কাছে একজামিন !’ নীহারিক হাসিয়া বলিল—“পুরুষের সার:জীবনই ত একজামিল ।” এমন সময়ে অরুণচন্দ্র সেখানে আসিয়া বলিলেন—“আর মশায়রা বুঝি বসে বসে প্রাইজ দিবেন।” অরুণবাবুর দিকে না ভারতী । অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ চাহিয়াই নীহার হাসিয়া বলিল—“সেই রকম उ भरन झग्न !” ( 0 ) ‘এপ্রিল ফুলের প্ল্যান শুনিয়া অরুণচন্দ্র প্রথমটা রাজি হইলেন না কিন্তু হঠাৎ আর একটা মতলব তার মাথায় আসিল—তিনি বলিলেন, “বেশ, আমিও রাজী !” নীহারিক ও প্রভাত সকৌতুক ব্যগ্রতার সহিত সুকুমারের পত্রের প্রতীক্ষা করিতে লাগিল। পাচ দিনের দিন মুকুমারের নিকট হইতে পত্র আসিল । অরুণ বলিলেন, “নীহার, দেখো, মুকুমার ‘মাই ডিয়ার অরুণবাবু?— লিখেই তোমার শোকে চোখের জলে ভেসে গেছে—এই দেখো কাগজ চুপসে গেছে!” স্বামীর সুগভীর স্নেহ স্মৰণ করিয়া নীহারিকার ডাগর চক্ষু দুটা অশ্রুসজল হইয়া উঠিল ! কিছু দিন পরে প্রভাতের নিকট মুকুমারের সম্পাদিত "মলয়া’র চৈত্র সংখ্যা আসিল । নীহারিক দেখিল, কাগজের প্রথমেই আর একখানি “উদভ্ৰান্ত প্রেমে’র স্বাক্ট হইয়াছে ! প্রবন্ধের নীচে লেখা—“অভাগ৷” । দুই ভগিনীতে খুব খানিকট হাসিলেও প্রিয়জনকে কৌতুকের খাতিরে বেদন দেওয়ায় নীহারিক অস্তরে অস্তরে ব্যথা অসুভব করিতে লাগিল। নীহারিকা বলিল, “না ভাই ! আর বেচারকে কষ্ট দিয়ে কাজ নেই, এবার বহরমপুর যাওয়া যাক ৷” প্রভাত রাঙ্গী হইল না—বলিল, “আচ্ছ, আর একটু দেরী করন, বেদন ও বিরহ আর একটু পেকে আমুক।” বৈশাখের "মলয়ায়” নীহারিক দেখিল –