পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nులిట్ర নীহার গলাটা পরিষ্কার করিয়া লইয়া বলিল—“বেশত ! চল না !” স্বকুমার বলিল—“ইস—থাকৃ ন!— এখনি আবার স্মেলিং সন্টের দরকার হবে ।” নীহারিকা বলিল—“তুমি ত আচ্ছা লোক ! কাগজে ছাপালে কেমন করে ?” এমন সময় প্রভাত ও অরুণচন্দ্র সেই থানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । নীহার তার দিকে ফিরিয়া বলিল—"অরুণবাবু, শেষে আপনার এই বিশ্বাসঘাতকতা !” অরুণবাবু সহাস্তে বগিলেন “কি করি বল ! পাখোয়াজের দিকেই ঘা দিতে হয়, ভারতী । অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ নহিলে যে বেনুরো বাজবে ! তোমরা জুই বোনে এককাট্ট হয়ে বেচারকে জব্দ করতে গিছলে, আমি একটু তার পক্ষ নিয়েছিলুম —আবার কোন দিন আমায়ও তো অমনি করতে পারে। । তখন কে সহায় হবে, বল!” নীহারিক বলিল—“নাঃ, আপনার জন্তই আমাদেব এই হারটা হল !" প্রভাত বলি.ল—“আচ্ছা, সে যেন কোণ িস্তু সেই সঙ্গে ‘ মলয়া’র এতগুলি নিরীহ পাঠক কি অপবাধ করেছিল যে তারা ও ठेद्ठ !” মুকুমার হাসিয়া বলিল—* ওহো ও কথান। আপনাদের জন্ত স্পেগুলি কাপ !” শ্ৰীপচুলাল ঘোষ । -* বৌদ্ধ ও প্রাচীন মোগল চিত্রশিপ। অশ্চর্য্যের বিষয় অজস্তার ছবির মধ্যে আমরা বাঙ্গলাদেশের দৃপ্তের আভাষ পাই । প্রথমত আমরা গুহার নিকটবৰ্ত্তী ও দূববর্তী গ্রামে বেড়াতে গিয়ে যত কুটীর দেখেছি, সবগুলিরই মাটীর ছাদ ; কিন্তু, অজস্তার ছবিতে অবিকল বাঙ্গলার মত আটচালা ! ও দেশের লোক নারকল গাছ চোখে দেখেনি ; কিন্তু ছবিতে নারকল গাছ যথেষ্ট ! বঙ্গদেশে যেমন উচু বৃষস্কন্ধ দেখা যায়, অন্ত কোন দেশের ষাড়ের বোধ হয় তত উচু কাধ নয় ; অজস্তার ১ নং গুহায় ষাড়ের লড়াইয়েব ছবিতে ঠিক আমাদের দেশের ষাড়ই অঙ্কিত । এই সমস্ত দেখে অনেকে বলেন যে, বাঙ্গল দেশ থেকে কোন ছাত্র অজস্তার শিল্পাশ্রমে চিত্রবিদ্যা শিখতে গিয়ে ছিলেন। কিছুই বিচিত্র নয় ! আবার নয় নম্বর গুহায় থামের গায়ে আঁকা যে কয়েকটি বুদ্ধদেবের ছবি আছে— সেগুলি অবিকল চীন ছবির অনুরূপ ! তা দেখে অনেকে অনুমান করেন যে, চীন কাবিকর এদেশে এসে আমাদের চিত্রশিল্প শিখে গিয়েছিলেন। আমি এখানে অনেক জায়গায় রোমশিল্পের আভাষ ও দেখেছি। গ্রীক প্রভৃতি বিদেশীয়গণ ও যে এ দেশে শিল্পশিক্ষার অভিপ্রায়ে এসেছিলেন– এ থেকে এরূপ অনুমানও অসঙ্গত নয় । যারাই এসেছেন তারাই এখানে নিজের দেশের .শিল্পের কিছু কিছু রেখে গেছেন । চীন ও জাপান-বাসীরা ত স্বীকারই করেন যে, বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেৰ