পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা । মধ্যযুগের অন্তায় ও অযৌক্তিক বন্ধন হইতে মুক্ত করিবার জন্ত উৎসুক হইয়াছেন । অনেকে মনে করেন যে আমাদের দেশে ও বিবাহের পূৰ্ব্বে কোন একটা নির্দিষ্ট আকারে ভাবী পতিপত্নীর আলাপ ও পরিচয়ের অবসর शंॉक यांदथुक । ॐtझाँcमझ महउ cष शांझां८क বিবাহ করিবে তাঁহাকে তাহার আপনি ভাল করিয়া দেখিয়া ও বুঝিয় লওয়া নিতান্ত আবশুক। এরূপ করিতে হইলে বর্তমান বিবাহপদ্ধতির সমূল উচ্ছেদ করিয়া বালকবালিকার স্থলে যুবকযুবতীর পরিণয়রাতি প্রচলিত করাই অবিস্তক হইয়া পড়ে। প্রাচীন ভারতে যে এরূপ যুবক যুবতীর স্বয়ম্বর প্রথা প্রচলিত ছিল এবং তাহার ফলে যে সমাজের মঙ্গলই হইয়াছিল সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। রামায়ণ ও মহাভারতে এরূপ অসংখ্য দৃষ্টাস্তেব উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায় এবং হিন্দু মাত্রেই এই সকল কাহিনী শ্রদ্ধা ও ভক্তির সহিত পবিত্র জ্ঞানে পাঠ করিয়া থাকেন। প্রাচীনকালে এই ভারতবর্ষেই যদি যুবক যুবতীর স্বয়ম্বরে ও বিবাহপূৰ্ব্বে আলাপ-পরিচয়ে কোন ক্ষতি না হইয়া থাকে, তাহ হইলে এক্ষণে তাহার সমস্ত না হইলেও কতকাংশ বর্তমান সমাজ মধ্যে প্রচলিত করিলে আমাদেরও বিশেষ ক্ষতি ন হইয়। বরং অনেক ইষ্ট হওয়াই স্বাভাবিক । ভারতের পুরাতন বিবাহপদ্ধতিতে আমরা পাশ্চাত্যজগতের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সম্পূর্ণ বিকাশই দেখিতে পাষ্ট,—কেবল ইহার মধ্যে পাশ্চাত্য সমাজের যথেচ্ছ बावशब्र ७ ६श्वषिणाप्लेकू नाहे। उ िशश কারণ ভারতের প্রাচীন সভ্যতার মৰ্ম্মটুকু প্রতীচ্য সভ্যতার স্তায় জড়বাদিত্বের পঙ্কে প্রাচীন ভারতে বিবাহ-পদ্ধতি । Øፀዔ পূর্ণ ছিল না। ভারতের সনাতন ধৰ্ম্ম বা চরিত্রনীতি আপামর সকলকেই এরূপ শিক্ষা मांन कब्रिग्नांछ्टि, रुचांद्रां उांश ब्रl cरुङ्झे পার্থিব বস্তুকেই জীবনের চরম লক্ষ্য করিতে শিখে নাই, সকলেই জগদীতীত এক বৃহত্তর ও উচ্চতর লক্ষোর অনুসন্ধানে ছুটিত । ভারতবাসী পৃথিবীকে কৰ্ম্মভূমির চক্ষেই দেখিত— ইহাকেই সে কোনদিন চরম লক্ষ্যভূমি বলিয়া জ্ঞান করে নাই। পৃথিবীর যাবতীয় বস্তু, আনন, মুখ বা সম্ভোগ্য বস্তু, সে সকলকেই পরম লক্ষ্য বলিয়া জ্ঞান না কবিয়া, এ সকলকে সে কেবল শ্রেষ্ঠতম লক্ষ্য লাভের উপায়স্বরূপ বলিয়া মৰ্ম্মমধ্যে বিশ্বাস করিত। এই বিশ্বনীতিটুকু উচ্চ নীচ সকলেই আপন আপন জীবনে সফল করিয়া তুলিবার চেষ্টা করিত। যে মহাপাপী ও অত্যাচারী সেও আপনাকে মানব চরিত্রের এই নীতিটুকুর অধীন বলিয়া জানিত। লঙ্কেশ্বর রাবণ সীতাকে হরণ করিয়া দ্বাদশ বর্ষ বন্দিনী করিয়া রাখিয়াছিল সত্য, সীতার শুভাশুভ তাহার নিমেষের ইচ্ছার উপর নির্ভর করিতেছিল সত্য, কিন্তু তথাপি রাক্ষসরাজ এই দীর্ঘকালের মধ্যে ও সীতার অনিচ্ছায় তাহাকে ম্পর্শ পৰ্য্যস্ত করিতে সাহস করে নাই । সেকালের নীতিই ছিল যে তাহার ইচ্ছা ব্যতীত কোনও রমণীকে কেহ স্পর্শ করিবে না। সেকালের আপামর সকলেই কিরূপ ধৰ্ম্মান্নুরক্ত ছিল তাহার অসংখ্য দৃষ্টান্ত আমাদের প্রাচীন সাহিত্যে অমর অক্ষরে চিত্রিত রহিয়াছে। আমাদের পূর্বপুরুষগণ যখন এরূপ ছিলেন,তখন আমরা যে এক্ষণে কতকাংশেও তাহাদিগের ন্তায় হইতে পারি না, ইহার কারণ কি ?