পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w8b. পণ্ডিতগণ র্তাহীদের চিরপ্রচলিত সংস্কার অনুসারে বলিয় থাকেন যে আধুনিক হিন্দু জীবনের বাহিক অবস্থাওলা প্রাচীন সনাতন ধৰ্ম্ম অনুষ্ঠানের পক্ষে অনুপযুক্ত এবং এই সকল বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব হইলে আমাদের পুনরায় ভারতের প্রাচীন আদর্শ অনুসারে জীবনগঠন করা সম্ভব। কিন্তু এ স্থলে বিবেচ্য এই যে সেই সকল বাহিক অবস্থাকে পরিবৰ্ত্তিত করায় আমাদের যথার্থ বাধা কোথায় ! আমাদিগের আপন অজ্ঞতা বা দুৰ্ব্বলতা ভিন্ন অপর কোন শক্তিই আমাদিগকে বিদেশী আদর্শের অর্থাৎ তাহার বিকৃত অমুকৃতির আদর করিতে, অথবা আপনার শ্রেষ্ঠ ধনকে উপেক্ষ করিতে বাধ্য করিয়াছে বলিয়; আমাদের মনে হয় না । প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে আমরা স্পষ্ট দেখিতে পাই যে সেকালে নারী ও পুরুষের মধ্যে চরম স্বাধীনতা ছিল এবং পুরুষের সাহায্য ব্যতিরেকে ভারতরমণীর আত্মরক্ষা করিবার পক্ষেও যথেষ্ট বল ও শক্তি ছিল । আমরা ইহাও দেখিতে পাই যে সেকালে ভারতের নরনারীর মধ্যে পাশ্চাত্য জগতের ন্তায় স্বাধীনতার অপব্যবহার প্রচলিত ছিল না, অন্ততঃ সেরূপ প্রবল ও সাধারণ ভাবে নহে সেটা নিশ্চয় । সেকালে পতিপত্নী যথেচ্ছাচারকে সৰ্ব্বতোভাবে ত্যাগ করিয়া বিজ্ঞান-সন্মত ভাবে শ্ৰেষ্ঠ সন্তানোৎপাদনের জন্তই চেষ্টা করিতেন । বিবাহ ব্যাপারটা কেবল একটা লৌকিক অনুষ্ঠান মাত্র ছিল। যুবক যুবতী প্রথমে বিবেচনা করিয়া দেখিত যে তাহীদের উভয়ের মিলন তাহীদের নিজেদের বা সস্তানের পক্ষে আবখ্যক কি না । তাহারা এরূপ আবশুকতা ভারতী । অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ বোধ করিলে তবে সমাজ ও ধৰ্ম্ম তাহাদিগের মিলনকে স্বীকার করিত। আজকাল এ নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত অনুষ্ঠান হইয় থাকে । সমাজের মতে বিবাহ কৰ্ম্মট প্রথম হয়, তাহার পর উভয়ের মিলন-ইচ্ছা জাগ্রত হইতে থাকে। সে কালের কাহিনী হইতে ইহাও দেখিতে পাওয়া যায় যে তখন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পরস্পরকে ত্যাগ করিয়া যাওয়ার রীতিটা অল্পাধিক প্রচলিত ছিল । অনেক ঋষি লোক-সমাজ ত্যাগ করিয়া বনে বা পবিত্র নদীতীরে বাস করিয়াও সময়ে সময়ে আপনার বাসন পরিতৃপ্তির জন্ত কোনও নারীর সহিত মিলিত হইতে কুষ্ঠিত হইতেন না, এবং উভয়ে বিচ্ছিন্ন হুইবাব পর আর কেহ কাহারও বিষয় চিত্তাই করিতেন না। স্বাৰ্থ বা অপবিত্র মোহই অধিকাংশ সময়ে তাহীদের এ অস্থায়ী মিলনের যথার্থ কারণ । অনেক সময়ে শ্রেষ্ঠ সস্তান উৎপাদনের জন্তও নরনারী এরূপ ভাবে মিলিত হইতেন। বিশ্ববস্ব ও মেনকার মিলনে একটি কস্তার জন্ম হয় । তাহারা উভয়েই গন্ধৰ্ব্ব । বিবাহ-স্থত্রে বদ্ধ নহে বলিয়। তাহারা তাহদের শিশু কন্যাটিকে স্থলকেশী নামে এক ঋষির আশ্রমে ফেলিয়া যায়। শিশুর রূপে মুগ্ধ হইয়। মুনিবর তাছাকে ভূমি হইতে তুলিয়া গৃহে লইয়া যাইলেন ও তাহাকে আপন পোষ্যকস্তারূপে গ্রহণ করিলেন । দিনে দিনে শিশুটির বয়সের সহিত রূপগুণ প্রস্ফুটিত হইতে লাগিল এবং সকলেই তাহাকে ঋধিকন্ত! বলিয়াই জানিল । 领 এদিকে প্রসিদ্ধ ভৃগুমুনির পুত্র রুরু স্থলকেণীর আশ্রমে প্রায়ই যাতায়াত করিতেন