পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা। এবং সেই অসামান্ত মুন্দরী ঋষিকস্তাকে দর্শন করিতেন । রুরু সেই সুন্দরীর রূপে এতই মুগ্ধ হষ্টলেন যে তাছাকে না পাইয়া জীবনধারণ করা তাহার পক্ষে কঠিন হইয়া উঠিল। অবশেষে তিনি তাহার নিকট আপনার অস্তরের গুপ্তপ্রেম প্রকাশ করিয়া জানিলেন যে কিশোরীও তাহার প্রেমে আত্মহারা । তখন তিনি তাহার পাণিগ্রহণের প্রস্তাব করিবার জন্য আপন পিতা ভূ গুকে স্থলকেশী মুণির নিকটে প্রেরণ করিলেন। স্কুলকেশী যুবকযুবতীর মনোভাব পুৰ্ব্ব হইতেই জানিতেন, এক্ষণে ভৃগুমুণির মুখে এই প্রস্তাব শুনিবা মাত্র সানন্দচিত্তে সন্মতি দান করিলেন । কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে তাহদের বিবাহ স্থির হইবার পরেই একদিন সেই ঋধিকন্ত; অন্তান্ত আশ্রমবালাদিগের সহিত উদ্যানে ক্রীড়া করিতেছিলেন, এমন সময়ে সহসা অজ্ঞাতে এক সপকে পদাঘাত করেন । সপটি তৎক্ষণাৎ তাহাকে দংশন করিল এবং অনতিবিলম্বেই ঋষিকস্তার প্রাণবায়ু বহির্গত হইল । এই শোক সংবাদ অল্পকাল মধ্যেই তাহাব আত্মীয়বর্গের নিকট উপস্থিত হইল। তাহারা সকলে তাহার সেই অচেতন দেহের পাশ্বে আসিয়া দেখিলেন সে মূৰ্ত্তিতে মৃত্যু-কালিম কিছুই নাই,—নিদ্রাগত। স্বর্ণ ভাব স্তায় ভূতলে পড়িয়া আছে ! চতুর্দিকের যত মুনিঋষি আসিয়া উপস্থিত হইলেন । ত্রিলোকখ্যাত ভরদ্বাজ ও গৌতম মুনিও তথায় উপস্থিত হইলেন । শোকবিহবল রুরু ও তথায় গিয়া দাড়াইলেন। কিন্তু ভূতলে তাহার প্রাণপ্রিয়ার মৃত দেহ দেখিয় তাহার fচত্ত এতই কাতর হইল যে তিনি সে স্থান ত্যাগ করিয়া এক প্রাচীন ভারতে বিবাহ-পদ্ধতি। «ა8X নির্জন বৃক্ষতলে যাইয়া অবিশ্রাম অশ্রুবর্ষণ করিতে লাগিলেন । কাতরহািদয়ে দেবতার নিকট তাছার প্রাণভিক্ষা চাহিতে লাগিলেন, কারণ তাহাকে হারাইয় তাহার প্রাণধারণ করা অসম্ভব ! তিনি নিজে একজন দেবতাবিদিত তপস্বী, সুতরাং ইন্দ্রদেব তাছার প্রার্থনা শুনিয়া শোকাৰ্ত্ত রুরুর নিকট এক দূত প্রেরণ করিলেন । দেবদূত আসিয়া তাছাকে জিজ্ঞাসা করিল *ঋষিপুত্র, তোমার এ শোকের কারণ কি ? ইন্দ্রদেব তোমাকে সাস্তুনা দিবার জন্ত আমায় পাঠাইয়াছেন। মানুষ একবার মরিলে কি আবার বঁাচে ? তোমার এ শোক নিতান্তই বৃথা !” ঋষিপুত্র বলিলেন—“কিন্তু আমি এমন কোন কুকৰ্ম্মই করি নাই, যাহার জন্ত আমার প্রতি এরূপ নিষ্ঠুর শাস্তি-বিধান হইতে পারে। শৈশব হইতে আজ পর্য্যন্ত আমি কোন অন্তায় কৰ্ম্মই করি নাই এবং কোন দিন মনুষ্য বা দেবতার প্রতি কৰ্ত্তব্যেও পরামুখ হই নাই। ইন্দ্রদেব ইচ্ছা করিলে কি আমার প্রাণপ্রিয়াকে ফিরাইয়া দিতে পারেন না ?” দেবদূত—“তোমার প্রাণপ্রিয়া একজন সামান্ত মানবী ছিল না ; গন্ধৰ্ব্ব ও অপ্সরার ঔরসে তাহার জন্ম। এরূপ জীবের পৃথিবীতে কতকাল থাকা সম্ভব ? সেই জন্ত দেখ, তাহার এই অকালমৃত্যু হইয়াছে,—এ মৃত্যু বিধাতার বিধান অনুসারেই হইয়াছে।” রুরু—“কিন্তু আমি তাহীকে পুনৰ্জ্জীবিত করিয়া পাইতে চাই , তাহার কি কোন উপায়ই নাই ?” দেব—“ই আছে। ইন্দ্রদেব আমাকে