পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা । করিতে আমি একটি পত্নী ভিক্ষা চাহিব। शनि ८रुझ ञांभांब्रहे छग्नि नामदिश्विटे ८कांन কস্তাকে ভিক্ষাদান করে, তাহা হইলে আমার একটি সন্তান হওয়া পৰ্য্যস্ত সে আমার পত্নী থাকিবে ।” এই প্রতিজ্ঞা অনুসারে এই ব্রহ্মচারী পত্নী অন্বেষণে বাহির হইলেন । কিন্তু তিনি দরিদ্র বলিয়া অন্নভিক্ষার সহিত পত্নীভিক্ষা করিতেছেন দেখিয়া কেইষ্ট তাহাকে কস্তাদান করিতে অগ্রসর হইল না। তিনি পত্নীলাভের আশায় জলাঞ্জলি দিয়া বিরত হইবার বাসনা করিতেছিলেন এরূপ সময়ে নাগরাজ বাসুকী তাহার ভগ্নীর জন্ত এইরূপ একটি পাত্রের অন্বেষণ করিতেছিলেন । এই অসাধারণ ঘটনাটি দেবগণের ব্যবস্থায়ুসারে হইয়াছিল বলিয়া মহাভারতে লিখিত আছে। রাজা পরীক্ষিতের পুত্র সর্পযজ্ঞ করিতেছেন দেখিয়া নাগগণ সবংশে ধ্বংশ হুইবার ভয়ে ভীত হইয়া দেবতাগণের নিকটে যাইয়া প্রার্থনা করিল যে তাহীদের কতকগুলিকে ধবংশ করিয়া অবশিষ্টকে রক্ষা করা হউক । তাহাদিগের প্রার্থন পুরণের জন্ত দেবগণ বলিলেন যে যদি তাহtয় তাহদের একটি কস্তাকে কোন পত্নীভিক্ষুকে ভিক্ষণস্বরূপ দান করে তাহা হইলে সেই কন্যার গর্ভজাত সন্তান তাহাদিগকে এই বিপদ হইতে রক্ষা করিবে । সেইজন্ত রাজ৷ বামুকী পুরবাসীদিগকে বলিয়া রাখিয়াছিলেন যে তাছার প্রাসাদে কোন পত্নীভিক্ষু উপস্থিত হইলে তাঙ্কাকে যেন অবিলম্বে সংবাদ দেওয়া হয়। তিনি তাহার ভগ্নীকে ইতিপূৰ্ব্বেই জিজ্ঞাসা করিয়া ७१३९ প্রাচীন ভারতে বিবাহ-পদ্ধতি । ఆ& s ছিলেন যে তিনি ভিক্ষুকের পত্নী হইয় তাহার স্বজাতিকে উদ্ধার করিতে সম্মত কি না,তাহাতে তিনি আপন আঞ্চোৎপর্গের অভিলাষ জানাইয়া বলিয়াছিলেন—“রমণী বিবাহ করে, ছয় প্রেমের জগু না হয় কর্তব্যের জগু । প্রেমের জন্ত বিবাহ করা যদি আমার পক্ষে সম্ভব না হয়, তাহ হইলে আমি কৰ্ত্তব্যের জন্ত বিবাহ করিয়া স্বজাতিকে রক্ষা করিতে প্রস্তুত আছি ।” সুতরাং জরৎকারু যখন নাগরাজ্যে অল্প ভিক্ষা করিতে যাইয়া প্রতি দ্বারে তিনবার করিয়া পত্নী ভিক্ষা করিয়া ফিরিতে লাগিলেন, তখন এ সংবাদ অবিলম্বে যাইয়। রাজা বামুকির নিকট উপস্থিত হইল ; এবং তৎক্ষণাৎ তাহার ভগ্নী বহুমূল্য বস্ত্ৰশোভিত হইয়া সলজ্জ পদক্ষেপে সেই ভিক্ষুকের নিকট উপস্থিত হইয়া সানন্দ চিত্তে আপনাকে ভিক্ষ স্বরূপ দান করিলেন । নাগকস্তার ঈদৃশ আচরণ দেখিয়া জরৎকারু বিস্মিত হইলেন । রমণীব নাম তাহার অনুরূপ কিনা এই সন্দেহে তিনি সেই মনমোহিনী সুন্দরীর দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাস করিলেন—“তোমার নাম কি, সুন্দরী ?” নাগকল্প ভাবী পতির এই প্রথম সiদর সম্ভাষণ শ্রবণ করিয়া উত্তর করিলেন—“আমার নাম জরৎকারু, আমি রাজা বাসুকীর ভগ্নী ।” এমন সময়ে স্বয়ং রাজা বামুকী তথায় উপস্থিত হইয়া বলিলেন—“মুনিবর, এই কুমারী আমার সহোদরা । সে আপনারই জন্য এতদিন অপেক্ষা করিয়াছিল, এক্ষণে আপনি তাহাকে পত্নীরূপে গ্রহণ করুন ইহাই প্রার্থন! * ব্ৰহ্মচারী উত্তর করিলেন—“তুমি রাজগৃহে