পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 88 লেখ, তা হলে ষ্টেজকে একেবারে উড়িয়ে দিলে চলবে কেন ? এতগুলো দর্শকের রুচি তুমি ত আর একরাত্রেই হঠিয়ে দিতে পারচ না ?”

  • তা বলে তাদের কুংসিত রুচির অনুসৰণ

করতেও পারব ন—এতে না খেয়ে সপরিৰারে যরি যদি, সে-ও ভালো !” ○ কিছুদিন পরে প্রভাস আসিয়া আবার সহসা দর্শন দিল । কহিল, “আজ থিয়েটারে ষাবে ? একখান নুতন বই আছে।” থিয়েটার দেখাব প্রতি অীমার কোন ঔৎসুক্য ছিল না ! রাত্রি জাগরণ সহ হইত ন,—তাহাব উপর, হেদুয়াব ধারে প্রতিভ্রমণে ৰাহির হইয়া দেখিতাম, সারারাত্রি বায়ু ও আলোক-হীন, অন্ধকূপের মত, থিয়েটার হইতে দর্শকের দল শীর্ণ মুখে গুস্ক চোখে গৃহে ফিরিতেছে—এই নিষ্ঠুর আমোদ প্রিয়তা দেখিয়া আমি শিহরিয়া উঠিতাম। থিয়েটারের নামে আমার কেমন আতঙ্ক জন্মিয়াছিল। তাই অামি কহিলাম,“সারারাত্রি গারদঘরে আটক থাকা আমার দ্বারা পোষাবে না !” প্রভাস কহিল, “সারারাত্রি না-ই বা থাকলাম—একথান নুতন নাটকের অভিনয় হবে-রামকালীবাবুর লেখা !” একখানিমাত্র নাটক ! “জেলে খুন”, “কালে ভুত” প্রভৃতি গীতিনাট্য ও প্রহসনে পাচ ফুলের সাজির ব্যবস্থা হয় নাই শুনিয়া আমি আশ্চৰ্য্য ও আশ্বস্ত হইলাম ! প্রভাস আরো কছিল, “রামকালীবাবুর লেখার ধরণটা কেমন—দেখব ।” ভারতী । কীৰ্ত্তিক, ১৩১৭ আমি কছিলাম, “কি নাটক ?” প্রভাস একথান হাণ্ডবিল ফেলিয়া দিল ! কেমন করিয়া আত্ম-প্রশংসায় পঞ্চমুখ হইতে হয়, হাওবিলথানি তাহাব চূড়ান্ত পরিচয় ! এমন নাটক আর কখনো প্রকাশিত হয় নাই—নাটকের রাজ্যে একেবাবে যুগান্তর উপস্থিত কবিয়াছে ইত্যাদি বাগড়িম্বরের ক্রটি ছিল না এবং খুব মোট চিত্র-বিচিত্র অস্পষ্ট অক্ষরে নাটকের নাম লেখা—“কমলাবতী", -- নুতন ঐতিহাসিক পঞ্চাঙ্ক নাটক । নায়ক বিনায়ক সাজিবেন, নাট্যকাব স্বয়ং,—বঙ্গীয় রঙ্গমঞ্চের আর্ভিং, শ্ৰীযুক্ত রামকালী হালদার। রাত্রে ইণ্ডিয়ান থিয়েটারে উপস্থিত হইলাম। দুইখানি টিকিট কিনিয়া ভিতরে গেলাম । কি ভিড় । কলিকাতাব যত লোক ৰেন একেবারে ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে। একই রাত্রে এত লোকের থিয়েটাব দেখিবার সখ জাগিয়া উঠিয়াছে ভাবিয়া আমি স্তম্ভিত হইয়া গেলাম। রামকালীবাবু গৰ্ব্বস্ফীত বক্ষে টিকিট-ঘরের নিকট দাড়াইয়াছিলেন—আমরা সাবধানে তাহার দৃষ্টিটুকু এড়াইয়া আসিলাম ! ঐক্যতান-বাদনের পর পটোত্তোলন হইল— প্রথম দৃশুে এক সুবিস্তীর্ণ নদী-দুই কুল দেখা যায় না ! নদীবক্ষে একখানি স্বদ্বগু তরণী ! তরণীর উপর বসিয়া রাজকন্ত কমলীবর্তী বঁাশী বাজাইতেছেন! দৃগুপটের আড়ম্বরে ও রাজকন্তার মুদক্ষ বাণীর মুরে কেমন-একটা বিভম আনিয়া দিল ! তাহার পর নান ঘটনার মধ্য দিয়া নাটকের গতি ত্বরিতভাবে অগ্রসর হইয়া চলিল! দুই-চারিটা দৃপ্তের পর আমি চমকিয়া উঠিলাম,—এ যে প্রভাসের নাটক ! কেবল নামগুলা ও মৃগু-যোজনায়