পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা। একটু পরিবর্তন করিয়া দিয়াছে। রচনার ভাব, ভঙ্গী, উপাখ্যানের অভিনবত্ব, সমস্তই প্রভাসের! আশ্চৰ্য্য হইয়া আমি প্রভাসের দিকে চাহিলাম। অভিনয়ের মধ্যে সে একেবারে তন্ময় হইয়া গিয়াছিল ! প্রথম অঙ্ক সমাপ্ত হইলে, প্রভাস কহিল, “আমার ‘রাজকন্তর’ মত মনে হচ্ছে, না ?” আমি কহিলাম, আমার মনে হয় !” চোখ দুইট। বিস্ফারিত করিয়। প্রভাপ সুগভীর দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিল ! আমি কহিলাম, “আর একটু দেখা যাক ! ভদ্র তায় ন হয়, কোট আছে !” প্রভাস কথা কহিল না ! তার পর দ্বিতীয় অঙ্ক আরম্ভ হইল । কথাবাৰ্ত্তায়, ভাবে-ভাষায় এতটুকু আর প্রভেদ রহিল না— হুবহু প্রভাসের রচনা ! কেবল ঐ নাম গুলাই যা বদলাইয়া দিয়াছে ! অভিনয় দেখিতে দেখিতে দর্শকের দল মাতিয়া উঠিল ! এমন নাটক বাঙ্গাল থিয়েটারে কথনে অভিনীত হয় নাই ! যেমন উচ্চভাব, গানগুলিতেও তেমনি কবিত্ব,—থিয়েটাবা সাহিত্যে যে দুটি জিনিস একান্তই জ্বলভ ! পার্শ্বস্থ জনৈক দশক কহিল,“রামকালীবাবু কি আশ্চৰ্য্য নুতন ভাবে লেখার স্রোত ফিরিয়ে८छ्न !” আর একজন কহিল, "প্রতিভার লক্ষণই ত এই ” প্রভাস ক্ষেপিয়া উঠিল। সে কহিল,"চুরি! আমার লেখা বেমালুম চুরি করেছে!” লোক ছুইজন অবাক হইয়া গেল ! এমন অদ্ভুত কথা তাহারা শুনিবে বলিয়া কখনো আশাও কয়ে নাই ! “হু বহু তাই বলে ত জাগা-হত । & 8t আমি কহিলাম, “কথাটা সত্য ।” তাহার কহিল, "হু ! বলেন কি মশায় ?” উৎসাহী দর্শকের সঘন করতালিবর্ষণে প্রভাস অস্থির হইয় পড়িল ! তখন তৃতীয় অঙ্ক চলিতেছিল। বেশ জাময়া উঠিয়াছিল! নায়ক বিনায়ক যুদ্ধ জয় করিয়! অtাসয়াছে—রাজ হংসবtছন বিপুল ভাবনা ও দায় হইতে মুক্তি পাইয়াছেন— জয়মাল্য লইয়। রাজকন্ত। কমলাবতী সম্মুখে উপস্থিত ! এমন সময় ষড়যন্ত্রকারী কতিপয় রাজ অমুচরেব প্রচুর প্রমাণে বিনায়কের বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় পরিস্ফুট হইয়া উঠিল-রাজা শহরস্থ বিশ্বাসঘাতকের দ গুবিধান করিলেন ! রাজকণ্ঠার কর হইতে পুষ্পমাল্য থলিয়া ভূতলে লুষ্ঠিত হইল। এ অসম্ভব কথায় সভাসদগণ অবাক হইয়া গিয়াছিল । রাজ নিরুপায়, প্রমাণ পাইয়া দোষার দণ্ডবিধান না করিলে কৰ্ত্তব্যইiান হুইবে বিনায়ক অবিচলিত হৃদয়ে সমস্ত অপবাদ মাথায় বহিয়া কারাগৃহে যাহবার সময় ধারস্বরে করুণ আক্ষেপবাণীতে দশকের হৃদয় আদ্র করিয়া দেবার উপক্রম করিতেছে, এমন সময় প্রভাস দাড়াইয়। উঠিল ! পিছন হইতে অধীর দশকের দল এক সঙ্গে গজ্জিয়া উঠিল—“আঃ বমন না, মশায়— দৃশুটি

  • Irifst 5 transparent HR cą, chęte পাব!”

প্রভাস ধীরস্বরে কহিল, “চোর- চোর ! আমার বই চুরি করেছে—নিলজ্জ চোর কোথাকার!” আকস্মিক হইল । রসভঙ্গে অভিনেতাও স্থির চারিধারে রীতিমত গোল বাধিয়া