পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ج وعوانة আমি যে সময়ে ধিলাতে ছিলাম, সেই সময়েও গ্রীষ্ম কালে সেই মহাসভায় পৃথিবীর সকল সভ্যকে নিমন্ত্রণ করা হয়। প্রতিবৎসর এক স্থানে ইহার অধিবেশন হয় না। কখনও বা বৰ্মিংহামে, কখনও বা লগুনে, কখনও বা এডিনবরায় এই মহাসভা আহত হইয়া থাকে। সে বৎসর ইংলণ্ডের দক্ষিণপশ্চিম উপকূলে ডিভনসায়ারের “একসেটর” নামক একটি পুরাতন স্থানে এই অধিবেশন হইয়াছিল । আমি এত নিকটে থাকিয়াও এই বাৎসরিক অধিবেশনের কথা কিছুই জানিতাম না। অধিবেশনের সবেমাত্র দুই দিন পূৰ্ব্বে জামার এক পরম ছিতাকাজী বন্ধু একজন পাশী ভদ্রলোক আমার সহিত দেখা করিতে আসিয়া এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করিলেন । তাহার আর একজন বন্ধু সেই সভার সভ্য হইয়া যাইতেছিলেন । শুনিবামাত্র আমি তৎক্ষণাৎ তাহার সহিত যাত্রা করিতে প্রস্তুত হইলাম। সে সব দেশে যাত্রার উদ্যোগ করিতে বেশী সময় লাগে না । মংলবের ও সহজে ঠিক হয়, তাহা কার্য্যে পরিণত করাও সহজ সাধ্য এবং যাতায়াতেরও অশেষ সুবিধা । সুতরাং একঘণ্টার মধ্যেই একটি হাতব্যাগ, ওভারকোট ও দুইটি সার্ট ও চারখানি রুমাল লইয়৷ গাড়ি ধরিতে চলিলাম। ১ ৭ শিলিং মাত্র দিয়া টিকিট ক্রয় করিয়া গাড়িতে উঠিলাম। গাড়িগুলি যদিও খুব দ্রুত চলে- তবুও লওন হইতে যাত্রা করিয়া সন্ধ্যার সময় সে স্থানে পৌছিলাম । যাইবার পথে কতই নুতন দৃপ্ত দেখিলাম। সে অঞ্চলগুলি সবই পাড়াগায়ের মত। उांब्रउँौ । অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ শস্তক্ষেত্র, গোচারণ মাঠ, বাগান ও দরিদ্রলোকের ছোট ছোট বসত বাড়ী। চারিদিকে গরু, বাছুর, ভেড়া, ঘোড়া চরিতেছে । স্বস্থশরীর ও কৰ্ম্মপটু কৃষকেরা ও কৃষকবধুরী শস্তক্ষেত্রে হাতের আস্তেন গুটাইয়া পাশাপাশি নিজের হাতে কাজ করিতেছে । আমাদের দেশে যেমন রেল দিয়া যাইতে যাইতে ক্রমে কত পরিত্যক্ত ঘর বাড়ী ও গ্রাম দেখা যায়, ও দেশে সেরূপ মোটেই দেখিলাম না। অভাব, অযত্ন দুঃসময়, বা মৃত্যুর চিহ্ন যেন কোথাও নাই। চারিদিকেই সমৃদ্ধির লক্ষণ ; পুরাতনের উপরও পরিপূর্ণ নূতন ংস্কার । যাইবার পথে “বাথ” প্রভূত কতগুলি নুতন সহরও দেথা যায় ; সেগুলি সব লওনের ভাব ও নুতন সমৃদ্ধি লইয়া গঠিত। যাইবার কালে পথে কতগুলি সমুদ্রধারের স্বাস্থ্যনিবাসও দেখা গেল। সে গুলির বর্ণনা ব্রাইটন সম্বন্ধীয় প্রবন্ধে পূর্বেই করিয়াছি। আনন্দমাখা মুখ ও হাবভাব লইয়া সব ছেলে মেয়েগুলি খালি পা করিয়া হাটু জলে ছুটাছুটা করিয়া খেলা করিতেছে ও ছিপ ও কুড়াজালি করিয়া মাছ ধরিতেছে। অনেক স্থলে অবগাহন স্নান করিলার জন্ত ছোট ছোট ঢাকা গাড়ি। কোথাও বা প্রণয়ীদেব নির্জন গাছের তলায় গুপ্ত সন্মিলন স্থান । সেস্থানে অনেকে অনেকক্ষণ ধরিয়া নিত্য সময় কাটান । সন্ধ্য ছয়টায় গাড়িখানি একসেটরের ষ্টেসনে পৌছিল। সেটি একটি পুরাতন সহর । ষ্টেসনটিও তত বড় নয়। একাই সাহস করিয়া গিয়াছি কিন্তু নাবিয়া যে কোথায় যাইতে হুইবে ও কোথায় থাকিব,