পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\t8 shy, and hence the necessity of this introduction. offs—“atoats con ব্রীটিশ প্রজা ডাক্তার মল্লিকও সেইরূপ । আর সকল ভারতবাসীই যেমন সকল বিষয়ে লাজুক ইনিও সেই প্রকৃতির । তাই ইহার হাতে আমি এই চিঠিখানি দিলাম।” এই কথা কয়টিৰ ভিতর কেমন একটু অস্তিরিক ভালবাসা ও শুভ ইচ্ছা মাথান আছে। ভারতবর্ষে উপস্থিতিকালে তিনি কত তন্ন তন্ন করিয়া ভারতবাসীর চরিত্র পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়াছিলেন তাহ! এই চিঠিখানি হইতে বুৰ গেল । অত বড় একটি বৃহৎ সমিতির স্থান হইবার মত একটি বড় বাড়ী সহজে পাওয়া যায় না। তাই সমিতির বিভিন্নশাখার অধিবেশন বিভিন্ন স্থানে হইবার ব্যবস্থা হইয়াছিল। এলবার্ট হল নামক বাটতে গ্রীষ্মদেশের রোগসমিতির অধিবেশন হইয়াছিল। Albert Hallট অতি সুন্দর স্থান। সেইটিই ষ্টেশনের নিকট ও সহরেরও প্রায় মধ্যস্থলে । সকল দিক হইতে যাতায়াতের সুবিধা আছে । বাড়ীটিও বেশ বড়, সেখানে অনেক বিষয়ের মিউজিয়ম আছে। সবগুলিই অতি মুনিয়মে সাজান। একটি ঘরে চাষবাসের যত কল কারখানা সব একত্র পাশাপাশি সাজান ও তাহার কলকোশল ও বর্ণনা করিয়া বুঝাইয়া দেওয়া আছে। একটিতে খনিজ পদার্থের প্রদর্শনী। আর একটিতে জীবজন্তু ও মনুষ্য কঙ্কাল সাজান । সকলগুলিই শিক্ষার উপযোগী। এই স্থানেই Polytechnic ata: flasi gl: 1 settsi সকল বিষয়ে শিক্ষা দিবার জন্ত প্রতি সন্ধ্যায় ভারতী । অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ বক্তৃত হয় । লোকেরা দিবসের কাজ কৰ্ম্ম শেষে অবসর সময়ে এখানে আসিয়া তাহ শুনে । একটি স্থানে কতকগুলি মুনার ছবি ছিল । তার এক শ্রেণীর ছবিগুলি সবই দরিদ্র ঘরের ঘটনার চিত্র । সে চিত্রকর দরিদ্র লোকের বিভিন্ন অবস্থারই চিত্র লিখিয়া গিয়াছেন। একখানিতে একটি ছোট কুঁড়ে ঘরের মধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সীমান্ত সমিতি । ঘরে ছেলেরা সব আগুন পোহাইবার জন্ত আগুনের ধারে ধারে বসিয়া আছে। একটি অনাথ বালক ও আসিয়া তাদের দ্বারে আশ্রয় পাইয়াছে। দরিদ্রই দারিদ্র্যের ব্যথা জানে। একাত্ত সহানুভূতির ভাব সে চিত্রে মুন্দর চিত্রিত। সেখানে নানা রকমের বিভিন্ন সমিতি থাকিলেও আমি দুটি সমিতিতে মাত্র মিশিয়াছিলাম। “গ্রীষ্ম প্রধান দেশের রোগের সমিতি” ও “জীবাণু বিদ্যার সমিতি” । সে সকল স্থানে বক্ততার প্রথা এই যে, একজন কেহ একটি বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করিয়া সেই সম্বন্ধে নিজের বক্তব্য বলেন, তারহ উপর তর্কবিতর্ক চলিতে থাকে । তাতে বিভিন্ন লোকের মুখ হইতে অল্পসময়ে কত কথাই শেখা যায়। প্রথমেই গ্রীষ্ম প্রধানদেশের মেলেরিয়া প্রভৃতি জরের প্রাদুর্ভাবেব কথা উঠিল । এ দেশে যত লোক মরে তার অৰ্দ্ধেক সংখ্যা জরের তালিকাভুক্ত। এমন কি যাহারা মরে না তারা ও জরে ভুগিয়া দুৰ্ব্বল হইয়া পড়ে। তাই এত জাতীয় দুৰ্ব্বলতা আসিয়াছে। মেলেরিয়া বিষ মশক দংশনে ঘটে। তাই মারিয়া অনেক দেশে ফল পাওয়া গিয়াছে। মেলেরি৯ প্রকোপেই গ্রীসের পতন হয় । ইহাতেই দেশ