পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা । জুড়িয়া জাতীয় দুৰ্ব্বলতা আসে ও সঙ্গে সঙ্গে পতন ও ঘটে । গ্রীসে ম্যালেরিয়া আসিবাব প্রথম কারণ মেলেরিয়ার দেশ হইতে তথায় কৃতদাস ধরিয়া আনা হয় । আমি নিজে বহুমূত্র রোগের বিষয় কিছু বলিলাম। এই সম্বন্ধে একটি প্রশ্ন উঠিয়াছিল যে ভারতবর্ষেই কেন এ রোগ এত অধিক হয় । তার উত্তর অনেক আছে—যথা আমাদের অসার আগর, বাল্যবিবাহ, ও মস্তিষ্কের বেশী চালনা । সমিতিতে সকলেরক্ট বলিবার সময় নিদিষ্ট আছে, কেহই তার বেশী সময় লইতে পারেন না। সবই অতি স্ন ব্যবস্থায় চালিত— কোন ও গোলমাল নাই । আমাদের এদেশের সমিতিতে কত অব্যবস্থা ও গোলমাল উঠে। এইরূপ,—অস্ত্রচিকিৎসা, চক্ষুর চিকিৎসা, ধাত্রীবিদ্যা প্রভৃতি নানা বিষয়ের শাখা ছিল । অন্তান্ত স্থানে নানা বিষয়ের জিনিষপত্র দেখাইবার নানারূপ প্রদর্শিনী ও চলিতেছিল । তার মধ্যে একটি কেবলই অমুবীক্ষণের ব্যাপার। রোগ নিরুপণে ও রোগ চিকিৎসায় সে যন্ত্রের আজ কল বড়ই আদর। সেখানে সকল রকম ডাক্তারী নুতন ঔষধ ও নুতন যন্ত্র ইত্যাদিরও প্রদর্শনী আছে । অনেক প্রকার (X ray) যন্ত্র দেখিলাম। যন্ত্রব্যবসাদারের নানা দেশ হইতে আপনাদের জিনিষ দেখাইতে ও বেচিতে লইয়া আসিয়াছে। সকল জিনিষেরই গায়ে দাম লেখা । বড় একটা দরদস্তুর করিতে হয় না । তার মধ্যে বৈদ্যুতিক চিকিৎসার যন্ত্ৰই সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক স্থান লইয়াছে । Cancer বা কর্কট রোগের চিকিৎসার জন্ত কত না বৈদ্যুতিক ও রেডিয়ম যন্ত্র দেখিলাম। তা ছাড়া নানারূপ ব্রিটিশ মেডিক্যাল কনফারেন্স । ులుat নুতন ঔষধ ও খাদ্যসামগ্ৰীও ছিল। সবগুলিই লোক চক্ষু আকর্ষণ করিবার জন্ত বিপুল আড়ম্বরে সজ্জিত । সকল গুলিই বুঝাইয়া দিবার জন্ত ছাপা কাগজ আছে, ও দেখাইঞ্জী বুঝাইয়া দিবারও লোক আছে। তুমি কেনে বা নাই কেনে তাতে ক্ষতি নাই,আপাততঃ যন্ত্রগুলিতে তোমার মনোযোগ আকর্ষণ করিতে পারিলেই হইল। আর তখনই তোমার নাম ধাম খাতায় টোকা হইয়া গেল । পরে তার সুফল ফলিবে—এই আশায় চিরদিন তোমাকে তাদের জিনিষের বিজ্ঞাপন ছাপা কাগজ পাঠাইবে । আমি এখনও এখানে ওরূপ কাগজ কত পাই । বিলাতী ব্যবসায়ের এই দস্তুর । অধিবেশন শেষ হইলেই কত স্থান দেখিবার ও নিমন্ত্রণ খাইবার আহবান আসিল । সে দেশের মিউনিসিপালিটি ও নিকটবৰ্ত্তী স্থানের বড় লোকেরাই অতিথিগণকে নিমন্ত্রণ করিয়া বিভিন্ন স্থান দেখাইতেন ও নানারূপে আপ্যায়িত করিতেন। খরচ তাদেরই সব ; তবে কে যাইবে কে ন যাইবে তাহ। আগে হইতে ঠিক করিয়া বলা চাই। ওরূপ নিয়মবদ্ধ ঠিকঠাকের দেশে একবার যাইব বলিয়া শেষে ‘না’ বলা চলে না। পূর্বেই বলিয়াছি ডেভনসায়ারে এমন বেশী কিছু দেখিবার নাই। বিখ্যাত রাসায়নিক “ডেভী”র এইস্থানে জন্ম হইয়াছিল। তাছাড়া একটি বহু পুরাতন ও বড় গির্জা আছে । স্থানটি আয়তনে খুবই ছোট—তবুও রাস্তায় রাস্তায় বৈদ্যুতিক টু,ামূগাড়ি চলে । আর পূৰ্ব্বে মালপত্র যাতায়াতের মুবিধার জন্য কতকগুলি খাল কাটা হুইঙ্গ