পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, অষ্টম সংখ্যা । বালকের দল হাকিয়া সংবাদপত্র বিক্রয় করিতেছে! জীবনের কি বিরাট স্ফৰ্ত্তি চারি দিকে বিচ্ছুরিত হইয়া পড়িতেছে, আর আমি ? —কিন্তু আর কেন সে চিন্ত ! পুরানো এক দিনের কথা মনে পড়ে । তখন আমি বালকমাত্র ! নোতরদমের ঘণ্টা দেখিতে আসিয়াছিলাম । বাকা বিস্তর সোপান অতিক্রম করিতে আমার মাথা ঘুরিয়া গিয়াছিল—উপরে উঠিয় দেখি সাব পারি সহর যেন আমার চরণতলে বিচিত্র গালিচার মত বিছানো রহিয়াছে ! তারপর ঘণ্টা দেখিলাম ! কি সে প্রকাও ঘণ্ট ! কিন্তু আমি পারি সহর দেখিতেছিলাম—নোতরদমের গগনস্পর্শী ভবনশির হইতে নিম্নে পথের লোকগুলাকে পিপীলিকার মত ক্ষুদ্র দেখাইতেছিল ! এমন সময় সহসা আকাশ বাতাস র্কাপাইয়া ভীমরোলে ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল—বজ্রের মত ভীষণ সে নিনাদ ! চুড়া কঁপিয়া উঠিল ! আমার পা কাপিয়৷ গেল আমি মেঝের উপর বসিয়া পড়িলাম— স্তব্ধ নিৰ্ব্বাক পাষাণের মত আমি বসিয়াছিলাম ! ঘণ্টাধ্বনি থামিয়া গেলেও তার প্রতিধ্বনি অসংখ্য ভ্রমণগুঞ্জণের মত কাণে আসিয়া লাগিতেছিল ! আজো আমার তেমনই মনে হইতেছে ! ঘণ্টাধ্বনি নাই, তবু যেন চারিধারের কোলাহল একটা অস্পষ্ট শব্দের ঝঙ্কারে শ্রীতিটাকে ভরাইয়া তুলিয়াছে—আমার ললাটের শিরগুলাও দপ দপ করিতেছে । ছায়ার মত অস্পষ্ট যেন আমি দেখিতেছি—আমারি চারিদিকে অসংখ্য নরনারী হর্যকোলাহলে মাতিয়া চলাফেরা করিতেছে, তাদের উল্লাসের অন্ধকারে আঁকা চয়ন – বন্দী । 受b 。 চীৎকার না ঐ গুনা যায় ! আর আমি নিম্পন জড়ের মত বসিয়া রহিয়াছি—কোথায় শাস্তি—কোথায় আরাম ! ○8 ভিলা হোটেলের স্বক্ষ চুড়ার গায়ে স্থাপিত বিচিত্র ঘড়িটা যে ঐ দেখা যায় । প্লে দী গ্ৰীভের পবষ কঠিন প্রাচীরের দিকেই ঘড়িটা যেন চাহিয়া রহিয়াছে ! কতকালের প্রাচীন জীর্ণ প্রাচী ব—রং কালো, এমন কালে যে দীপ্ত স্বৰ্য্য কিরণেও তার সে কৃষ্ণাভ দুর श्य़ न ! যেদিন কাহারে জীবন ফঁাসির রজু ধরিয়া অজানা লোকের ভীমান্ধকারে বুলিয়৷ পড়ে সেদিন প্লে দী গ্ৰীভের সকল দ্বার গুলার সম্মুখে অসংখ্য প্রহরীর চক্ষু যেন কি এক কৌতুহলের দৃষ্টি লইয়া জাগিয় উঠে ; হতভাগ্য মরণপথের যাত্রী সে ব্যগ্র দৃষ্টির একমাত্র লক্ষ্য । লুব্ধ দৃষ্টির সম্মুখে সে আপনার জীবনের সকল কাহিনী শেষ করিয়া দেয়, আর সন্ধ্যার মানিমার মধ্যে দীপ্ত চন্দ্রের মত হোটেলের ঐ জলন্ত ঘড়ি ফুটিয়া উঠে ! vo)& একটা বাজিয়া পনেরো মিনিট হইয়াছে ! আমার এখন অবস্থাটা ! মাথায় অসহ যন্ত্রণা ! যেন কে মাথার মধ্যে আগুন জালিয়া দিয়াছে ! যখনি বসি, কিম্বা উঠিয়া দাড়াই, মনে হয় মাথার মধ্যে কিসের একটা রুদ্ধ স্রোত যেন আমার মাথার খুলি বিদীর্ণ করিয়া বাহির হইয়া যাইবে । কেমন একটা আতঙ্কে সারা অঙ্গ শহরিয়া উঠিতেছে। অঙ্গুলি হইতে লেখনী খশিয়া