পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૪૨ পড়িতেছে—হাতে যেন একট, বৈদ্যুতিক তরঙ্গ লাগিয়াছে ! দুই চোখের কোণ জলে ভরিয়া গিয়াছে, যেন আমি ধূমাচ্ছন্ন ঘরের মধ্যে বসিয়া আছি ! বাহুমুলে কি একটী বেদন । পৌনে তিন ঘণ্টা মাত্র । তাহার পর আমার সকল যন্ত্রণ জুড়াইবে—আঃ, চিরদিনের জন্ত বিরাম লাভ করিব ! সে কি তীব্র অসহ সুখ ! ○Sう কেহ বলেন, যন্ত্রণা—সে-ত কিছুক্ত নহে – বিজ্ঞানের এমনি অপূৰ্ব্ব কৌশল যে মৃত্যুর পথে যন্ত্রণ মোটেই হইবে না ! যন্ত্রণা কিছু নয় ? এই ছয় ঘণ্টা ধরিয়া আমি যে বেদনায় সারা হইয়া যাইতেছি—ইংপেক্ষ মৃত্যুযন্ত্রণ কি এমনি ভীষণ ? এই যে প্রতিমুহূর্বটি এমন ধীরগতিতে চলিয়াছে—আমার মনে হইতেছে সে কি দ্রত ! বেদনার অসংখ্য সোপান বহিয়৷ মৃত্যুলোকে চলিয়াছি ! কি অসহ এ যন্ত্রণ ! उदू, इंश् किङ्कहे नग्न ? প্রতি শিরা হইতে যেন রক্ত ঝরিয়া ठfम ! ज्व ভারতী । কিন্তু আর - অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ পড়িতেছে ! বুকের উপর কে যেন পাষাণ ভার চাপিয়া ধরিয়াছে—শ্বাস রুদ্ধ হইয়া আসে ! কি এ যন্ত্রণা! বুঝিবে কে, বুঝাইবে বা কে ? ফাসির পরমুহূর্তে, দ্বিখণ্ডিত নরশির যদি একবার আসিয়া এ বেদনটি বুঝাইতে পারিত তবে আর যাগই বলুক বিজ্ঞানের কৌশলের তারিফ, সে নিশ্চয়ই দিত না— কখনো না ! ক্ষের পলক পড়িবারে অবকাশ মিলিবে না । এথনি সব সমাধা হইবে । এই যে অসংখ্য কৌতুহলী দর্শক, এই যে অগণ্য রাজপুরুষের দল,—ইহার এ যন্ত্রণার মাত্র কি বুঝিবেন! ভীষণ রজু এখনি একটি নিমেষে কণ্ঠ চাপিয়া ধরিবে—সমস্ত শিরার মুখ সঙ্কুচিত হইয়। যাইবে দেহের রক্ত স্তম্ভিত স্তব্ধ হইয়া যাইবে । সমুদ্রের গতি রুদ্ধ হইলে রোধে সে যেমন ফুলিয় উঠে,—তেমনি বাধা পাষ্টয়া সমস্ত ভিতরটা ছুটয়া বাহির হুইবার জন্ত যে বিরাট দ্বন্দ্ব বাধাইবে, হt wর হতভাগ্য, তাহারি নিষ্ঠুর ভীষণ চাপে সব শেষ ! ভিতরে বাহিরে প্রবল সংঘর্ষসে কি ভয়ঙ্কর ! ক্রমশঃ শ্ৰীসৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় । সূৰ্য্য ও সৌরজগত। সূৰ্য্যদেবকে আমাদের আয়ত্তাধীন করিতে পরিলে এ পৃথিবীতে কিরূপ অভিনব ঘটনা সম্ভব, এই বিষয় লইয়। বিলাতের টাইমস্ ( Times ) পত্রিকায় একটি মনোহর প্রবন্ধ বাহির হইয়ছে । প্রেবন্ধকার লিখিতে 0झने

  • একবার এক ঐ সিদ্ধ বিজ্ঞানবিদকে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল যে তাহার মতে গত শতাব্দীর বেথুন

আবিfগুয়াটিকে মানব-সমাজের পক্ষে যুগান্তরকারী বলিয়া তিনি মনে করেন । তিনি উত্তর করিলেন, “সাধারণ দোকানে যে একপ্রকার খেলেন বিক্রয় হয়, যাহার মধ্যে দুইটি ছোট ছোট চাক সুৰ্য্যরশ্মির প্রভাবে আপনি ঘুরিতে থাকে, সেইটিই উহার মতে অতীত যুগের সর্বপ্রধান আবিস্ক্রিয়৷ ” বস্তুতঃ কিছুদিন পূর্বে অধ্যাপক নফেসেনডে