পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 е в না,—র্তাহার বাণী, কল্যাণী এবং অন্তান্ত কবি ভাই সে বিষয়েব শ্রেষ্ঠ পরিচয় । রজনীকান্তের পিতা গুরু প্রসাদ দুর্লভ কবিত্ব সম্পদেব অধিকারী ছিলেন । তাহার “পদfচন্তা মণিমালা” এক খানি মৃ বুহৎ কাব্য গ্রন্থ। ভাবে এবং ভাষায়, সরস করিত্বে এবং ভক্তি-প্রগাঢ়তায় তাহা বৈষ্ণব কবিদিগেয় অতুলনীয় গানগুলির মতই কানের ভিতর দিয়া মরমে প্রবেশ করে । রজনীকান্তের এই অমর কবিত্ব—স্নেহাতুর জনকের সর্ব শ্ৰেষ্ঠ দান । কান্ত কবির বিশেষত্ব এই যে, তাহার কবিতা বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণ,ভক্ত এবং রসিক সকলেরই সমান উপভোগ্য—সকলেরই সমান অাদরের বস্ত । যেমন র্তাহার “তব চরণ নিম্নে উৎসবময়ী শুাম ধবণী সরস।” প্রভৃতি গান উচ্চাঙ্গের দার্শনিক তথ্যের অবতারণা করিয়া শিক্ষিত সমাজকে মুগ্ধ করিয়া ফেলে অন্ত দিকে আবার তেমনি “এস এস কাছে, দূরে কি গো সাজে” প্রভৃতি গান সাধারণের ভিতর কোমল স্পর্শে আনন্দের শতদল পদ্মকে বিকশিত করিয়া তোলে । একদিকে যেমন “আমিত তোমারে চহিনি জীবনে, তুমি অভাগারে চেয়েছ” ভক্তের চক্ষু হইতে বিহবল আবেশের ধারাপ্রবাহ উৎসারিত করিয়া দেয়, অন্যদিকে একদিকে আবার তেমনি “যদি কুমড়ের মত হতে পাশিতোয়া” মূৰ্ত্তিমান রহস্তের হাস্যরসপ্রিয় শ্রোতার মুথের উপর অট্টহাস্তের তরঙ্গ রেখা পরিস্ফুট করিয়া তোলে। শতদীপপুলকিত প্রাসাদে তাহার সঙ্গীতসমূহ যেমন দেয়ালে বাধিয়া কঁাপিয়া কঁাপিয়া ফিরিয়া আসে - ভারতী । অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ তেমনি আবার রৌদ্র দগ্ধ প্রান্তরে, “পাখী ডাক1, ছায়ায় ঢাকা পল্লীবাটে” তাহারই গী হাবলী গগন পবন পূর্ণ করিয়া দিকে দিকে ছড়াইয় পড়ে । চরিত্রের দিক দিয়া ও তাহাকে দেখিতে গেলে মুগ্ধ না হইয়া থাকা যায় না । ছোট বড়, ধনী দরিদ্র সকলকে চ তিনি স্বভাবfসদ্ধ স্নিগ্ধহাস্তে এবং বাক্যে পরিতুষ্ট রাখিতেন । তাহার গান ব্যক্তি বিশেষের অসুবোধের অপেক্ষ রাখিত না । যে কেহ ধরিলেই কল্লোলময়ী নিঝরিণীর মত তাহা নামিয়; আসিত।— নিদাঘের ধারাপাতের গুণয় হৃদয়ের সমস্ত গ্লানি ধৌত করিয়া নিৰ্ম্মল করিয়া দিত। সঙ্গীতে তাহার ক্ষমতাও এমন অদ্ভুত ছিল যে তিন, চারি ঘণ্ট। অবিশ্রান্ত কণ্ঠ পরিচালনার পর ও কেহ তাহাকে ক্লাস্তির নিশ্বাস পরিত্যাগ করিতে দেখে নাই। কিন্তু সৰ্ব্বাপেক্ষ অসাধারণ ছিল তাহার বাক পটুত এবং পরিহাস করিবার ক্ষমতা। তাহার উপহাসের ভিতরেও এমন একটা ঋজুতা এবং স্বাভাবিক স্নিগ্ধতা ছিল যাহা কোনো মানুষকেই আঘাত করিতে জানিত না— অথচ সরল মুন্দর হাস্তে সকলকেই উৎফুল্ল করিয়া তুলিত। হিন্দু বলিলে যাহা বুঝায় রজনীকান্ত তাহাষ্ট ছিলেন। তিনি হিন্দু ধৰ্ম্মকে অস্তরের সহিত শ্রদ্ধা করিতেন কিন্তু গোড়ামিকে কথনে প্রশ্রয় দেন নাই । বরং সমাজকে এজন্ত তীব্ৰকণ্ঠে শাসন করিতে তিনি কোন দিন বিন্দুমাত্রও কুণ্ঠlমুভব করেন নাই। সমাজ সম্বন্ধীয় কবিতাগুলির আলোচনা করিলে--- মধুব