পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, নবম সংখ্যা । খিলখিল করিয়া হাসিয়া বলিল-দুর বোকা, তোমার ভয় কি, তুমি থাকতে আমি পড়ব কেন ? সে লোকস্ট যেই দেখিল মিল্প সোজা হইয়া দাড়াইয়াছে, অমনি তাহাকে এক ধাক্কায় কুপের ধার হইতে সে সরাইয়া দিল। তাহার রূঢ় ধাক্কায় মিম্বর ভৎ সনাতরা দৃষ্টি অশ্রুসজল হইয়া উঠিল। মিছু ক্ৰন্দনকম্পিত কণ্ঠে বলিল—যাও, তুমি ভারি দুই তুমি আমায় মারলে ? লোকটা দাড়াইয়া দাড়াইয় তাহার অভিমানের কাল্লা দেখিল । তাহার সকল কঠোরতা যেন গলিয়া গলিয়া বালিকার অশ্রীরূপে তাহার প্রাণকে ধোঁত নিৰ্ম্মল করিয়া দিতেছে। তাহার কণ্ঠ এবার কোমল হইয়া পড়িল, সে বলিল—নে নে, আর র্কাদিসনে ! তুই আমায় অমন করে কোদাল দেখিয়ে, কুপ দেখিয়ে ক্ষেপাসনে, আমি কিছু বলব না । চুপ কর, চুপ কর । এই সত্ত্বনায় প্রীত হইয়া মিস্থ অশ্রজলের ভিতর দিয়াই হাসিয়া উঠিল । বলিল—তবে আমায় একটা গোলাপ তুলে দেও। ছোট ছোট ঝোপ গাছে টকটকে লাল গোলাপ ফুল গুচ্ছে গুচ্ছে ফুটিয়াছিল । লোকটি ৰাধ্য শিশুর মতো এক খোলো কুঁড়ি ও ফুটন্ত গোলাপ তুলিয়া মিম্বর হাতে দিল। মিন্থ সেই ফুলের তোড়াট বুকের উপর জামার श्रोएम्न ७ छिम्न लिण । भिन्नु होलिग्न হাততালি দিয়া বলিল--দেখ দেখ কেমন স্বনার ! লোকটির মুখ পাঙtশ বিবর্ণ হইয়া গেল। সে ডোঙার মতো বড় দুখীন হাতে তার ማእ»¢ খুনে। প্রকাগু মুখ ঢাকিয় আহত পশুর মতে কঁাপিতে কঁাপিতে বলিয়া উঠিল--ওরে ওয়ে তোর বুকের ওপর ওযে রক্তের মতো লাল— ফ্যাল, ফ্যাল, টেনে ফ্যাল, আমার আর লোভ দেখিয়ে ক্ষেপাসনে । মিমু ভয় পাইয় ফুলগুলি খুলিয়া ফেলিল । আবার তাহার চক্ষু অশ্রুসজল হইয়৷ উঠিল। লোকটি চোখ খুলিয়া বলিল—ছি ! তুই আবার কাদচিল। চুপ কর চুপ কর। আমায় তুই ক্ষেপাসনে, আমিও তোকে কাদাব না। সে তার হাতুড়ির মতন হাতখানা দিয়া মিমুর অশ্রী মুছাইয় তাহার গালে আদর করিল। সে নত হইয়া মিস্থকে চুমু খাইতে যাইতেছিল, এমন সময় বাহিরে অনেক লোকের ব্যস্ত কোলtহল, দৌড়াদৌড়ি গুনা গেল । ছিলা-ছেড়া ধন্থকের মতন লোকটা তড়াক করিয়া সোজা হইয়া উঠিল । তারপর একলাফে বাগানের এক কোণে গিয়া লুক্কান্বিত হইল । বাহির হইতে কে কপাটে ঘা দিয়া ব্যগ্র স্বরে জিজ্ঞাসা করিল—মিনু, তুই কোথায় ? “বাবা, আমি এখানে ।” “খোল খোল, দরজা খোল।” “দরজায় যে খিল দেওয়া ।” *আরে খিলই খোল না।” “খিল যে উচুতে,আমি নাগাল পাই না।” “তবে দিলি কেমন করে ?” “আমি দিয়েছি বুঝি—থিল তো ও দিলে।” বাহির হইতে ভীতকণ্ঠে প্রশ্ন হইল—ও কে রে?