পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&6 e সৰ্পেতে রজুলুম করিনে ত, সেইটেই সাংঘাতিক” নীরদ হাসিয়া ফেলিল “ও একই কথা মোদ ভ্রমতে বটেই” । "आझ न झ्म्न त्रामाल्लि बश, ढि সেই যে মন্ত্ররার অমন হাসিখুসি, আমোদ অহলাদ, থাসা বাড়ি, তোফা ব্যবস্থা, চা-কফি, পাঠ পাখী, কোথাও কোন ফাকটি ছিল না;—দেশের কাজ,নিজের মুখ একসঙ্গে সবি ছিল,—হুড়হুড় করে টাকা আসছিল,— আলাদিনের আশ্চর্য্য প্রদীপের মত হঠাৎ কোথা থেকে এক দৈত্য এসে তোমাব ঘাড়ে চাপলে বল দেখি ? রীতারাতি একেবাবে সন্ন্যাসী !” যোগেন্দ্র আসন গ্রহণ করিয়া নিশ্বাস পরিত্যাগ করিল। নীরদ পরিহাস করিয়া বলিল “সে কষ্ট যে আর ভুলতে পারচো না? শুনেছিলুম সময়ে সকলি সহিয়া যায়। তোমার দেখচি ঠিক বিপরীত” । “ভুলতে দিলে কৈ বলে, সেওতে ঐ তোমারি কীৰ্ত্তি ! মাছ—এমন তোফ টাটুকা মাছ চোখের ওপোর দিয়ে জেলে ব্যাটার ধরে নিয়ে যাবে বোজ দুবেলা—তাই ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে দেখচি। উপায় নেই! জিভে যত চোখে তত জল ঝরতে থাকে। কাছে কেউ থাকলে বলি চোখে কি একটা পোকা না কি পড়ল। নিজেতে সালে চাল ধরেছ, যেন মা কি বাপ—” নীরদ সকৌতুক হাস্তে যোগেন্দ্রের দুঃখকাহিনী শুনিতেছিল; শেষের দিকটায় অকস্মাৎ চমকিয় সে বাধা দিল ; “যোগেন যা খুলী ভাই বলে বলোনা ওসব কি কথা—” দীর্ঘ ভারতী । কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ যোগেন্দ্র আশ্চৰ্য্য হইয়া গেল। কিছুক্ষণ বন্ধুর উত্তেজিত মুখের দিকে তাকাইয়া থাকিয় অপেক্ষাকৃত অপ্রতিভভাবে একটু হাসিয়া সে বলিল "এ কি তুমি যে একেবারে আমায় অবাক করে দিলে ? তামাসা করে কি নাকি একটা কথা বলেছি, তাতে চটবাব এতে কি পেলে ? এতেই বলে—উচিত কথায় দেবতা তুষ্ট, উচিত বলে মানুষ রুষ্ট— সত্যিই তো আর তোমার স্বর্গগত বাপ দ্বিতীয়বার তোমাকে কাছ পরাবার জন্তে স্থানচু্যত হয়ে আসচেন না ! ভক্তি কত ? বংসবাস্তে এক গধুৰ জল ও তো দিতে দেখিনে । —” নীবদ কুমার যোগেন্দ্রের পিঠেব উপর একটা অধীর চপেটাঘাত করিয়া তাহাকে একটুখানি ঠেলিয়া দিয়া অসহিষ্ণু ভাবে বলিয়া উঠিল, “ও সব কথ। ছেড়ে দাও যোগেন, তুমি যদি সত্যসত্য এখানে ক্লাস্ত হয়ে থাক তা হলে সেকথা স্পষ্ট করে বলেই কেন অবসর নাওনা, জোর তো কিছু নেই ! আব জোর করলেই বা মানলে কেন ? অাব পাব যদি", নীরদ একটু হাসিল, “এই হতভাগা স্কুগটাকে সিডিসনের আডড বলে ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবের কাছে একটা রিপোর্ট করে দিও, খুব উন্নতি হয়ে যাবে এখন ।” যোগেন্দ্র এই বিদ্রুপে শিহরিয়া উঠিল, “বলে নাও ; ভগবান মুখ দিয়েছেন যত পার বলে। জানে| কিনা হতভাগাটাকে বড়শিতে বিঁধে রেখেছ, ওর আর কোথাও এক পা নড়ার জো নেই—তাই মাঝে মাঝে থেলিয়ে দেখে নেওয়া বইত না ! তাই যদি পারবো নীর, তাহলে মীর মজুরার তেমন চাকরীটে খুইয়ে তোমার সঙ্গে এসে