পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१३७ বেদের উপাঙ্গ বলিয়া উক্ত হইয়াছে। এই আয়ুৰ্ব্বেদ স্বয়তু এক লক্ষ শ্লোকে ও সহস্ৰ অধ্যায়ে প্রণয়ন করেন । ইহাতে অষ্ট বিষয়ের উল্লেখ আছে ; ইহাই চিকিৎসা শাস্ত্রের অষ্টাঙ্গ বলিয়া কথিত হইয়া থাকে – যথা শল্য, শাল্যাক, কায়চিকিৎসা, ভূতবিদ্যা, কৌমারভৃত্য, অগদতন্ত্র, রসায়নতন্ত্র ও বাজি করণতন্ত্র । যে সুশ্রুত সংহিতা আমরা দেখিতে পাই ইহা ভগবান মুশ্রতের রচিত নহে। ইহা নাগাৰ্জুন নামক জনৈক নৃপতি দ্বারা প্রতিংস্কৃত স্বতবাং মুশীতের ছায়ামাত্র । সুশ্রুত সংহিতার টীকাকার ডম্বন ইহা লিখিয়াছেন। প্রতিসংস্কৰ্ত্ত নাগাজুন এবং বাগৃভটও আভাষে তাহাই প্রকাশ করিয়াছেন যথা :– ঋষিপ্রণীতে ভক্তিশ্চেন্মুক্ত চরক সুশ্ৰতে । ভেলাদ্যাকিংন পঠ্যস্তে তস্মাদগ্রাহং স্বভাষিতং । (অষ্টাঙ্গ হৃদয় ) অর্থাৎ যদি ঋষি প্রণীত গ্রন্থে ভক্তি থাকে তাহা হইলে চরক সুশ্রুত পরিত্যাগ করিয়া ভেল লিখিত চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন করা উচিত স্ন তরাং যাহা স্বভাষিত তাঁহাই সুধিগণের গ্রহণীয় হইয়া থাকে। অপিচ চরক মুশ্রতের টীকায় টীকাকারগণ বৃদ্ধমুশ্রত হইতে প্রমাণস্বরূপ বচন উদ্ধার করায় বুঝ। যাইতেছে মুশ্রুত ঋষির গ্রন্থ র্তাহীদের সময়ে সংসারে বিরাজিত ছিল—তখনও তাহার লোপাপত্তি ঘটে নাই । বিজয় রক্ষিত মাধবনিদানের জরটীকায় লিখিয়াছেন—“পুষ্পেভ্যোগন্ধরজসী,— জস্যেভ্যো যথানিলঃ ইত্যাদিন বৃদ্ধমত্ৰতেন পঠিতং—তৃণপুষ্পাখ্যং জর মত্ৰৈবান্তর্ভাবস্তুতি ।” उiब्रडौ । পৌষ, ১৩১৭ অর্থাৎ পুষ্প হইতে গন্ধ ও পরাগ এবং অগ্নি হইতে যেমন বায়ু বৃদ্ধ মুশ্রীতের এই বচন দ্বারা সেইরূপ তৃণপুপাথ্য জরের বিষয় প্রকাশ পাইতেছে । Rev, co hay \s malaria fever জানিতেন ইহাই তাহার প্রমাণ । কিন্তু ইহা সুশ্রুত সংহিতাতে নাই । চক্রদত্তের বাত ব্যাধিপ্রোক্ত শাল্বন স্বেদের টীকায় শিবদাস লিখিয়াছেন— বৃদ্ধ সুশ্রীতে তু কাকোল্যাদি যথা— কাকোলে মধুকামোদে জব কর্ষভকেী সহে । ঋদ্ধিবৃদ্ধিস্ত শাক্ষীরা পুণ্ডরীকাং সপদ্মকং। জীবন্তী সামৃতাশৃঙ্গী মূদ্বীকাচেতি কুত্র'চৎ। কাকোল্যাদিরয়ং পিত্তশোণিতানিলনাশনঃ ॥ সুশ্রীতসংহিতা স্বত্রস্থান ৩৯ অধ্যায়ে ইহা গদ্যে আছে । বৃদ্ধের সিদ্ধযোগ অশাধিকারে পিপ্পল্যাদি তৈল টীকায় শ্রীকণ্ঠ বলেন—“বৃদ্ধ মুশ্রীতেতু তৈলেহস্মিংশচতুগুণং তোয়ং দর্শিতং”। অতএব দেখা যাইতেছে নাগাৰ্জ্জুন প্রতি ংস্কার করিতে গিয়া বৃদ্ধ সুশ্ৰুতকে নুতন করিয়া গড়িয়া ফেলিয়াছেন। তাহার মনোহর পদ্যগুলি ভাঙ্গিয়া গদ্যাকার প্রদান করিয়াছেন। হিন্দুর দৃষ্টিতে ইহা ভাল হয় নাই। বর্তমান সুশ্রীতসংহিতা ছয় ভাগে বিভক্ত যথা– স্বত্রস্থান, শারীরস্থান, নিদানস্থান, চিকিৎসাস্থান, কল্পস্থান, ও উত্তরতন্ত্র । সুত্র ও শারীর স্থানের অধিকাংশ গদ্যে লিখিত মধ্যে মধ্যে ভবতি ভবতঃ ভবস্তি চাত্র’ বলিয়া এক দুই বা অধিক ছত্র পদ্যের উদ্ধার অাছে । বোধ করি ইহাই বৃদ্ধ মুশ্রতের প্রতি সন্মানের নিদর্শন স্বরূপ। নিদান ও চিকিৎসা স্থানের