পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, নবম সংখ্যা । বাহির হইল, কিন্তু তৎক্ষণাৎ চৈতন্ত হইল এবং পরক্ষণেই রুদ্ধশ্বাস ত্যাগ করিয়া মুচ্ছিতের ন্তায় বিচারক ভূমিতলে পড়িলেন। অপর ব্যক্তি উল্লাসমিশ্রিত বিদ্রুপের তীক্ষুস্বরে বলিল— “এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করানই আমার উদ্দেশু । তুমি নিতান্ত নিৰ্ব্বোধ বলিয়াই আজও এ সত্য বুঝিতে পার নাই । যে বালককে আজ কারাগারে প্রেরণ করিয়াছ, সেই উইল ভেয়ারই তোমার পুত্র। আজ সে সমাজে লাঞ্ছিত ঘৃণ্য তস্কর মাত্র,— যে দিন হইতে তাহাকে রক্ষা করিয়াছি সেই দিন হইতেই আমি তাহাকে এইরূপ শিক্ষাই দিয়াছিলাম। তুমি কি মনে কর আমি দয়া বা মেহের বশবৰ্ত্তী হইয়া তাহাকে উদ্ধার করিয়াছিলাম ? না, তাহা নহে। প্রকৃতির চতুর্দিকের প্রলয় নৃত্যের মধ্যে আমার অন্তরে প্রতিহিংসা বহি জ্বলিতেছিল । সুবিচারক দ্যায়পরায়ণ পিতা তাহার নিজের পুত্রকে আজ কারাগারে প্রেরণ করিয়াছে !” “যথেষ্ট হইয়াছে!” বিচারক ধীরে ধীরে ऍप्लिांझेब्रl खेठेिtशन,-टैंiशंद्र भूथं भू८ऊब्र দ্যায় রক্তহীন, নিশ্চল । “তোমার এ কথা মিথ্যা !” আগন্তুক হাসিল। “তাহার মুখে কি সেই সাদৃষ্ঠ দেখিতে পাও নাই ? সেই চক্ষু সেই দৃষ্টি, সেই কণ্ঠস্বর! “যাও!” বিচারক দ্বারের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া দেখাইয়া দিলেন। “হা, আমি এখনই যাইতেছি । আর আমার অপেক্ষা করিবার কোনও কারণ নাই । চয়ন—প্রতিহিংসা । ፃ¢:: আমার আগমনের উদ্দেশু সফল হইয়াছে,— আজ আমার প্রতিহিংসা সম্পূর্ণ।” লোকটা যখন চলিয়া গেল বিচারক প্রস্তর মূৰ্ত্তির ন্তায় অবিচলিত দৃষ্টিতে তাহার অমুসরণ করিতে লাগিলেন । দ্বার পুনরায় বদ্ধ হইবামাত্র বালুক প্রতিমার স্তায় শতধ হইয়া ভূতলে পড়িলেন । র্তাহার সেই পত্নীর সন্তান,—র্তাহার পুত্র —আজি তস্কর, কারাদণ্ডিত ! ক্ষোভে, অমুতাপে, ঘৃণায় তাহার হৃদয় শতধ হইতে লাগিল— দুই হস্তে মুখ ঢাকিয়৷ বালকের দ্যায় অশ্রুবর্ষণ করিতে লাগিলেন । মধ্যে মধ্যে অস্ফুটস্বরে জগৎপতির নিকট দয়া ভিক্ষ ক্ষমা ভিক্ষা করিতে লাগিলেন। ক্রমে সে কালরাত্রি অতিবাহিত হইয়t প্রভাতের অরুণ রশ্মি আসিয়া পাঠাগারে দ্বারদেশে আঘাত করিল। বিচারক সেই গৃহমধ্যেই বদ্ধ রহিলেন । স্বপ্তোখিত পৃথিবী পুনরায় কলগানে ভরিয়া উঠিল । সহসা দ্বারদেশে একজন আসিয়া বলিয়া উঠিল—“বিশেষ সুসংবাদ আছে, দ্বার খুলুন ।” কণ্ঠস্বর এথেলের । তিনি দ্বার খুলিবামাত্র এথেল গৃহমধ্যে প্রবেশ করিল। খুল্লতাতের শুষ্ক, শীর্ণ ভীষণ মূৰ্ত্তি দেখিয়া সে বিস্মিত নেত্রে চাহিয়া রছিল। “খুল্লতাত,সেদিন আমি আপনাকে যে কথা বলিয়াছিলাম তাহ আজ সত্য বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছে । আমার প্রিয়তমের নির্দোধিতা প্রতিপন্ন হইয়া গিয়াছে ; এখনই তিনি মুক্তিলাভ করিবেন। দ্যাথেলের এক পুরাতন ভূত্য