পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮২ য স্নেহের গর্শে, প্রেমের স্পর্শে তিনি प्रWनु श्षङ्ग-दौ५\रु ...बिस्त्र ९ १छूरु করিসূ বুখিতে পারিয়াছিলেন, আমর। যদি তাহার বিন্দুমাত্রও লাভ করিতে পারি তবে জীবন ধন্ত মানিব। হে অমৃতের পুত্র, তুমি যে অনস্ত পুণ্যলোকে নিজের অমর আত্মাকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলে সেই লোকের দিকেই যদি আমরা আমাদের চিত্তকে , সতত উন্মুখ রাখিতে পারি, তবে তোমার এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ ধষ্ঠ হইবে ও আমরাও ধন্ত হইব । শ্ৰীমুধীরচন্দ্র সরকার। টলষ্টয় সম্বন্ধে লিখিবার ও জানিবার কথ। এত আছে যে তাহা এরূপ ক্ষুদ্র প্রবন্ধে প্রকাশ করা সম্ভব নহে। যদি সুবিধা হয় ত পরে তাহার আলোচনার চেষ্টা করিব। আজ কেবল র্তাহার জীবনের দুই চারিটি মূলমন্ত্র সম্বন্ধে দুই চারি কথা বলিব মাত্র । টলষ্টয় তাহার জীবনে ষে মহামন্ত্র জগতকে দান করিয়াছেন সংক্ষেপে বলিতে গেলে সেটি হচ্চে—“আঘাতের দ্বারা অসৎকে বাধা দি ও না ; সৰ্ব্বাগ্রে আপনাকে সম্পূর্ণ করিতে যত্নবান হও ।” তাহার জীবনের প্রথম ভাগ হইতেই তিনি পুস্তক লিখিতে আবস্ত করেন । কিন্তু এরূপ কৰ্ম্মে তাছার সন্তোষ জন্মিল না । তাহার মনে হইল যে র্তাহার শিক্ষা দিবার যথার্থ সামগ্ৰী তিনি জীবনে কি সংগ্ৰহ করিয়াছেন তাহা ভাল করিয়া না জানিয়া, শিক্ষকরূপে জগতের সম্মুখে দাড়াইতে—তিনি অধিকারী নহেন। এই মনে করিয়া টলষ্টয় রাজধানী সেন্ট পিটারসবার্গ ত্যাগ করিয়া এক পল্লীগ্রামে গমন করিলেন ; এই স্থানেই তিনি জন্মগ্রহণ ভারতী । পৌষ, ১৩১৯ করেন এবং জীবনের অধিকাংশকাল অতি বহিত করেন। টলষ্টয় বলেন যে পঞ্চাশ বৎসর বয়সে জীবনের কৰ্ম্ম ও উদ্দেশ্র সম্বন্ধে তাহার মতের পরিবর্তন হয়, কিন্তু আমরা তাহার প্রথমজীবনের লেখার মধ্যেই তাহার পরজীবনের মতের অঙ্কুর প্রচ্ছন্ন দেখিতে পাই । বিলাসবহুল জীবনের আবরণে তাহা তাহার অন্তরের অগোচর ছিল মাত্র । এইভাবে একদিন তাহার অন্তরে এই মহাপ্রশ্ন জাগিয়া উঠিল—আমার এ জীবনের অর্থ কি ? তাহার মনে হইল এ প্রশ্নের মীমাংসা করিতে না পারিলে, তাহার জীবন ধারণ অসম্ভব । কত দীর্ঘ দিন বিনিদ্র রাত্রি ধরিয়া তিনি এই তত্ত্ব চিস্ত কবিতে লাগিলেন–কিন্তু কোন পথেই তাহার যথার্থ উত্তর খুজিয়। পাইলেন না। অবশেষে সলোমন, বুদ্ধ প্রভৃতি মহাপুরুষগণের অদৃষ্টে যাহা ঘটিয়াছিল টলষ্টয়ের অদৃষ্টে ও তাহাই ঘটিল। তাহার মনে হইল এ জীবনটা কেবল পাপ তাপ যন্ত্রণাময় ! নিজে কিছু নিম্পত্তি করিতে না পারিয়া তিনি বিজ্ঞানবিদগণের নিকটে যাইঃ উপস্থিত হইলেন। তাহারা এ বিষয়ে আধুনিক অভিব্যক্তিবাদের বচন ছাড়া আর কিছুই বলিতে পারিলেন না। টলষ্টয় জিজ্ঞাসা করিলেন “আমি এ পৃথিবীতে আসিলাম কিসের জন্ত ?” বিজ্ঞানবিদের উত্তর কারলেন “আমরা এ পৃথিবীতে আসিলাম কি উপায়ে ” উভয়ে সম্পূর্ণ সম্পর্কবিহীন! ইহাদের নিকটে ব্যর্থ মনোরথ হইয় টলষ্টয় ধৰ্ম্মযাজকদিগের নিকটে যাইয়। উপস্থিত হইলেন । ইহার প্রশ্নটাকে স্বীকার করিলেন