পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७8* द्$, फ़् ११ १ि१ । । স্বাভাবিক ওজস্বিনী ভাষায় বলিতেন— “আমি রাম বাদস, আমার সিংহাসন তোমাদের হৃদয়ে সন্নিহিত। আমি য ধন বেদ ব্যাখ্যা করিয়াছিলাম, আমি যখন কুরুক্ষেত্রে জেরুসেলেমে, মেকায় ধৰ্ম্ম শিক্ষণ দিয়াছিলাম তখন তোমরা আমাকে চিনিতে পাব নাই । আমি এখন আবার গগনভেদী বাণী উথিত করিতেছি তোমরা শ্রবণ কব । আমার বাণী তোমাদেরই বাণী । যাহা দেখিতেছি শুনিতেছি তাহা তুমিই স্বয়ং, অদ্য কেহ নহে “তত্বমলি” । রাজা প্রজা দেব দানব কেহই এই সত্যের অপলাপ করিতে পরিবে না, সত্যেব জয় অপরিহার্যা, সত্যের আদেশ অপরিবর্জনীয়। ভীত হই ও না । আমাৰ মস্তক তোমারই মস্তক, কাটিতে হয় কাটিয়া ফেল কিন্তু ভাই জানি ও এই একটি ক্ষুদ্র মস্তকে ব পরিবর্তে সহস্র মস্তক উখি ত হইবে।” তখন যেন পৃথিবী কঁপিয়া উঠিত। বামের প্রাণ প্রেমে পূর্ণ ছিল। অদ্বৈতবাদী তাহাতে আবাব প্রেমিক। কোথায় পার্থক্য ! কোথায় বিচ্ছেদ ! তাহাব নিকট ভেদাভেদ কিছুষ্ট ছিল না ; ধনী দরিদ্র, জ্ঞানী মুখ, ব্রাহ্মণ চণ্ডাল সকলেই সমান, সকলেই এক। তিনি সকলকেই সমান ভাবে আলিঙ্গন করিতেন, এমন কি র্তাহার কাগজ কলম ছুবী কঁচি,পেন, পেনসিল সকলি প্রিয় সম্বোধনে সম্বোধিত হইত । সুহৃদ্ধব পুরাণ বলিয়াছেন, তিনি ইতব পশু পক্ষীলিগকে সন্তান সন্ততির ন্তায় সম্বোধন করিতেন । তাহার নিকট কেহ পর কেহ দ্বেষু বা ঘৃণ্য ছিল না। সকলেই তাহাব, ee Czñ স্বামী রাম তীর্থ। $ eبي তিনি সকলের, সকলেই তাহার আল্পীয় তাহার আয়ার অংশ, সকলেই “আমি” পোহহং লোহহং । কাহারও সহিত ধৰ্ম্মালোচনায় প্রবৃত্ত হইবার পূৰ্ব্বে রাম তীর্থ সৰ্ব্বতো ভাবে তাহার সহিত আপনার ঐক্য স্থাপন করিতে চেষ্টা কবিতেন । যখন মনে কবিতেন তাহাব সহিত র্তাহার কোন ও প্র কবি অনৈক্যভাব ভেদ বা পার্থক্য জ্ঞান নাই তখন স্থিব ধীর সমাহি তভাবে সত্যের নামে আপনার বক্তব্য গুলি বিশদরূপে বুঝাইতে চেষ্টা করিতেন । কথা বলিতে বলিতে তিনি ভাবে বিভোর হইয়া পড়িতেন, র্তাহার চক্ষু মুদ্রিত হইয়া আসিত এবং মুখ হইতে পারস্ত কবিদিগের সুমধুব কবিতা সকল অনর্গল বাহির হইতে থাকিত । কিয়ৎক্ষণ পরে “ওঁ” “ওঁ” “ওঁ” করিতে করিতে নিস্তব্ধ হইয়া যাইতেন, তাহার চক্ষু হইতে দর দর ধারে প্রেমাশু প্রবাহিত হুইয়া বক্ষস্থল সিক্ত করিত। র্তাহার সেই সুমধুর ' দেব দুর্লভ স্বৰ্গীয় ভt দেখিলে মনে হইত তিনি যেন আপনাকে ভুলিয়া তন্ময় হইয়া সমাধিমগ্ন হইয়াছেন। সন ১৯০১ খৃষ্টাব্দে স্বপ্রসিদ্ধ গ্রন্থকার জাপানের রাস্কিন, (Ruskin) পণ্ডিতপ্রবর অধ্যাপক ওকাকুরা (Okakura) ভারতে আগমন করেন। স্বামী বিবেকানন্দের সভাপতিত্বে জাপানে-সিকাগো ধৰ্ম্মমহামণ্ডলের অনুযায়ী একটি ধৰ্ম্ম মহাসন্মিলনীর প্রতিষ্ঠা করা এবং যদি যুক্তসঙ্গত ও সম্ভবপর হয় তাহা হইলে ভারত হইতেই তাহার বন্দোবস্ত করিয়া যাওয়া তfহার ভারত আগমনের একটি প্রধান উদ্দেশু ছিল।