পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্য, দশম সংখ্যা । প্রতি । আপুনি তবে কি করিয়া এদেশে পাকিবেন ? রাম । আমি আমার প্রতিবেশীদিগের সহিত প্রেমযোগ স্থাপন করি মাত্র । তাহার পর দেখিতে পাই আমার যখন যাহা প্রযোজন তখন তাহাই পাই । আমার তৃষ্ণার সময় জলের বা আই রের সময় খাদ্যের অভাব হয় না | প্রতি । বেশ ভাল কথা ! ন! { আমেরিকা আপনার ভার ত4স নয় । হয় টাকাকডি না হয় বন্ধু বান্ধৰ চাই । আপনার কোন বন্ধু নাই ? কিন্তু ইহাতেই হইবে এপীলে 으 রাম। ভা, এখানে আমার একজন দৰ্যালু বন্ধু অjছেন । প্রতি । আমি কি চাহাব নাম জানিতে পারি ? রাম সমেহে তাহার স্বন্ধোপরি আপন হস্ত স্থাপন কবিলেন । ডাক্তাব চিলার পূৰ্ব্ব হইতেই রামেব প্রতি আক্লষ্ট হইয়াছিলেন। রাম যখন তাঙ্গর স্কন্ধোপরি আপনার হস্ত স্থাপন করিয়া জানাইলেন যে তিনিই তাহার দয়ালু বন্ধু তখন ডাক্তার হিলার যেন কৃতার্থ হইলেন । সেই দিন হইতেই রাম ডাক্তার হিলারেব গৃহে প্রতিষ্ঠিত হইলেন। মিসেস হিলার কোন বিশেষ কাৰণে অত্যন্ত মানসিক কষ্টে দিনাতিপাত করিতেছিলেন । তাহার অব্যবস্থিত চিত্ত ও মানসিক চাঞ্চল্য দেখিয়া ডাক্তাব হিলার অত্যন্ত চিন্তাযুক্ত ছিলেন। রামকে পাইয়া র্তাহার সহিত ধৰ্ম্মালোচনা ও ধৰ্ম্ম চর্চা কবিয়া মিসেস হিলারের মানসিক অবসাদ দূর হইল । ডাক্তার ও মিসেস হিলার রামকে পুত্রবৎ মেহ করিতেন। র্তাহাব রামের প্রতি এতদূর আকৃষ্ট হইয়াছিলেন যে র্তাহীদের সমস্ত বিষয় সম্পত্তি র্তাহার ধৰ্ম্মপ্রচার কার্য্যে উৎসর্গ স্বামী রামতীৰ্থ । b>) করিতে চাহিয়াছিলেন। ডাক্তার হিলার সান ফান্সিস্কোর যাবতীয় সংবাদপত্রে রাম সম্বন্ধে প্রবন্ধাদি লিপিতে লাগিলেন । ইহাতে নানা শ্রেণীর লোক রামের সহিত আলাপ পরিচয়t{দ করিবার জন্ত ডাক্তার হিলারের গৃহে প্রতি সন্ধ্যায় সমবেত হইতেন। তিনি তাহাদিগকে লইয়া ধৰ্ম্মালোচনা ও বেদাস্ত চর্চা করিতেন। তাহারা তাহাকে মানবাত্মা, ঈশ্বব, ইহকাল, পরকাল প্রভৃতি নানা বিষয়ে ম:ন প্রকাব প্রশ্ন করিতেন । ধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় প্রশ্নোত্তরে বাম বিশেয অtনন্দ পাইতেন । একদিন আত্মীয় স্বজন কর্তৃক অশেষ প্রকারে নিগৃঙ্গীত একটি মহিলা রামেব নাম শুনিয়া শান্তি পাইলার অtশীয় তাহার নিকট আসিয়া আত্মক হিনী বলিতে লাগিলেন । তিনি তাহার তাত্মকাহিনী বলিয়া যাইতেছেন আর তাহার চক্ষুদিয়া দর দর ধীরে অশ্ৰুজল পড়িতেছে ও দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিতেছেন । রাম যোগাসনারূঢ় হইয়া নয়ন মুদ্রিত কবিয়া নিশ্চেষ্ট ভাবে সেই “ দুঃখপূর্ণ কাহিনী শুনিতেছেন, সময়ে সময়ে উচ্চৈঃস্বরে ওঁ ওঁ, মা মা বলিতেছেন, আর এক একবার সেই রোরুদ্যমান মহিলার প্রতি সকরুণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতেছেন। রামেব এই স্বৰ্গীয় ভাব দর্শন করিয়া মহিলার মনঃপ্রাণ ধীরে ধীৰে শাস্তভাব ধারণ করিল, তাহার নিকট নব আ(আতত্ত্ব প্রকাশ হইল ;–তিনি যেন পরম শাস্তি লাভ করিলেন । আত্মার অনন্ত ঐশ্বর্য দেখিতে পাইয়া মুহূক্ত মধ্যে তাহার ক্ষুদ্র ভাব বিদূরিত হইল, তাহার ক্ষুদ্র দুঃখ ক্ষুদ্র অশান্তি যেন অনন্তের মধ্যে মিলিয়া গেল, তিনি উচ্চ জীবনের আস্বাদ পাষ্টলেন এবং এই নব তত্ত্বটী লাভ করিলেন