পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দশম সংখ্যা । কাজের ভিতর অীপনার মন নিয়ে প্রবেশ কোরে দেখলে, এ কাজের বিরাম নেই, এ কাজের অন্ত নেই। নিষ্ঠুর কাজ বিরাট অজগর সৰ্পের মত মানুষের হৃদয় পিষে দিচ্চে । মুরেশেব তখন আর পড়া হল না । বেল। এগারটাব সময় সুরেশের মা সুরেশের ঘরের দরজা থেকে ডেকে বোললেন, সুরেশ, নাবি থাবি আয় বাবা । পড়ে পড়ে যে শরীরটা মাটি হোয়ে গেল, ধন। সুবেশ মায়ের কথা শুনে লজ্জিত হোয়ে বষ্ট বন্ধ কোরে স্নান কোরতে গেল। দেখলে, তার জন্তে স্বানের জল তোলা আছে, কঁাচের বাটিতে জবাকুসুম তেল ঢালা আছে। কাপড় খানি ও গামছা খানি পৰ্য্যস্ত হাতের কাছে সাজান আছে। স্বরেশের ছোট বোন মালতী মায়ের আদেশে দাদাকে তেল মাখাতে ব’সল, এবং সুরেশের মা তার ভাত বাড়তে রান্নাঘরে গেলেন । সুরেশ পরীক্ষা দেবে বোলে বাড়ীশুদ্ধ লোক শশব্যস্ত । সুরেশের বাবা অফিস চলে গিয়েছেন কিন্তু আফিল যাবার আগে গৃহিণীকে বিশেষ ভাবে বোলে গিয়েছেন যেন সুবেশের আহারের উপর নজর রাখা হয়। গৃহিণী তাই মুরেশের জন্ত ভোজের আয়োজন কোরেছেন । সুরেশ যখন থেতে বসল তখন তার মা কাছে বসে, এটি খাও ওটি খাও’ বোলে অনুযোগ কোরতে লাগলেন, মাছের কাটা বেছে দিলেন, নিজে হাতে ফুধে অনেক কোরে ভাত মে ে দিলেন । সুরেশ ভাত থেতে খেতে ভাবলে, সকালে যেমন পড়া হয় নি, দুপুর বেল এমন মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে, যাতে সকালের ক্ষতিটা পুরণ চয় । ভাত খাওয়া শেষ কোলে যখন সে পরীক্ষার্থী । ♥እዋ পড়তে গেল তথন সুরেশের মা বাড়ীর সব মেয়েদের ডেকে নিয়ে উপরে চলে গেলেন এবং তাদের বার বার কোরে বোলে দিলেন যেন তারা সুরেশের পড়বার ঘরের দিকে একেবাবে না যায়। দাদা পরীক্ষা দেবে বোলে সুরেশের ছোট ছোট ভাই বোনের অতি সন্ত্রমের সহিত সুরেশের পড়বার ঘরটি এড়িয়ে গেল। সমস্ত দিন তার চুপে চুপে খেলা কোরতে লাগল। কেউ গোলমাল কেরলে মালতী অমনি বোলে উঠল, চুপ, কর ভাই, দাদা পড়ছে। সুরেশ পড়বার ঘরের সকল দরজা বন্ধ কোরে দিয়ে কেবল একপাট জানালা খুলে রেখে পড়তে ব’সল। নীতিশাস্ত্রের দরজা ধোরে যখন সুবেশের বুদ্ধিটা বিস্তর বাকবাকি কোরচে এমন সময় মুরেশের তন্দ্র এল। ঘুমের ভরে তার চোখের পাতা বুজে এল, সে বইয়ের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ল । ছৰ্গরক্ষককে অনবধান দেখলে বন্দী যেমন এক দিক দিয়ে ছুটে বেরিয়ে পড়ে, সুরেশের মনও সেই রকম সুরেশকে নিদ্রিত দেখে ওধাও হোরে অনস্তের পথে ছুটল’ । বাড়ীর উপর দিয়ে কতক গুলা কাক একসঙ্গে কাকা কেরতে কোরকে উড়ে গেল। আততায়ীর দেশে সশস্ত্র সৈনিকের মত, দুঃস্বপ্নময় ঘুম থেকে সুরেশ চমকে উঠে বসল। সেই সময় অনেক দূরে একটা চিল চীৎকার কোরে উঠল। তার চীৎকারে আকাশের আধখান কেঁপে উঠল। প্রকৃতির নিস্তব্ধতা তরঙ্গায়িত হোয়ে উঠল। ঠিক সেই সময় অীবীর বাড়ীর পাশের রাজমিস্ত্রীর সমস্বরে গান ধরলে,—রাধে গো তোর সাধের তরী লেগেছে প্রেমের ঘাটে। বাড়ীর