পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brᏱ br পাশ দিয়ে কতক গুলো রাজহাস এক জোটে প্যাক প্যাক কোরতে কোরতে পাড়। জাগিয়ে চোল্লো । চিলের চীৎকারের সঙ্গে মানুষের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে আর সেই হাসের ডাকের সঙ্গে মুরেশের মনের কি ষড়যন্ত্র ছিল জানি না । কিন্তু সেই চীৎকার আর সেই গান আর সেই ডাক আর সুরেশের ঘরের শক্ৰ মন এমন কোরে সুরেশকে মাতিয়ে দিলে যে সে আর কিছুতেই ঘরের মধ্যে চুপ কোরে বসে থাকতে পারলে না। সুরেশের মনে হ’ল যেন সমস্ত বিশ্বজীবন তাব জীবনকে ডেকে নিচে । তার প্রাণ যেন সব নিস্তব্ধতা সব শব্দের ভিতর তার প্রিয় তমের সাড়া পেয়েছে । অপরিচিতের মধ্যে মাতৃহারা শিশু যেমন ফুকুরে কেঁদে ওঠে, সুরেশের হৃদয়ও তেমনি শুষ্ক কঠোর অক্ষর রাশির মধ্যে কেঁদে উঠল । সুরেশ তাড়াতাড়ি ঘরের বার হোয়ে রাস্তায় এসে দাড়াল । রাস্তার রৌদ্রতপ্ত ধূলি এমন কোরে তার পায়ের সঙ্গে জড়িয়ে গেল যেন তারা সুরেশের চরণে শরণ লাভ কোরে বাচল । শেষ বেলার পড়ন্ত রৌদ্র কিরণ এমন ভাবে মুরেশেব গায়ের উপর এসে পড়ল যেন সেও সুরেশকে পেয়ে বড় খুসি। আকাশ তার স্থির চক্ষু বিস্তার কোরে নীরব তিরস্কার জানিয়ে যেন বোললে, নীতিশাস্ত্র ও ন্তায়শাস্ত্রের চেয়ে তারই সুরেশের উপর বেশি দাবী । আকাশ বাতাস ও আলোর মধ্যে সুরেশ নিজেকে হারিয়ে ফেলে । সন্ধ্যার সময় মুরেশের পিত্তা রামভারণবাবু অফিস থেকে ফিরে এসে দেখলেন, সুরেশ তখনো বই হাতে কোরে বসে আছে। ঈষৎ ভারতী । মাঘ, ১৩১৭ ভৎসনার স্বরে তিনি স্বরেশকে বল্লেন, “সন্ধ্যা হয়েছে, আর কেন ? এখন একটু বেড়িয়ে এল গিয়ে। সন্ধ্যার সময় ঘরে বসে থাকলে অম্লখ করবে যে ” সুবেশ খাবার থেয়ে বেরিয়ে গেলে পর রামতারণবাবু স্ত্রীকে বল্লেন, * আমার ত সাতাশ বচ্ছর চাকরী করা হল । তা আমি এই মাস থেকেই পেনসন নিচ্চি ।” স্ত্রী বল্লেন, “ভালই হল । তোমার শরীরটা বড় খারাপ হোয়ে গিয়েছে । আর থাটবার বয়স নেই—আর সুরেশ ও ত মানুষ হয়ে উঠল ।” রামতারণবাবু বোল্লেন, “আমি তাই ভেবেই ত পেনসন নিলাম। এই কটা মাস বৈ ত নয় । সুরেশ বিয়েট পাস কোরতে পারলে আর দুঃখ থাকবে না। বড় সাহেবকে বোলেছিলাম, তিনি ভরসা দিয়েছেন ছেলে বিয়ে পাস কোরলে নিশ্চয়ই বড় চাকরী কোরে দেবেন।” মুরেশের মা তাই শুনে ভারী খুশি হলেন। সুরেশ ভাল ছেলে, বিয়ে পাস কোরবেই। এখন তার বিয়ে দিয়ে একটি সুন্দর বেী আনতে পারলেই তার সকল সাধ পুর্ণ হয়। রামতারণবাবু আফিসের কাপড় ছাড়তে ছাড়তে জিজ্ঞাসা কোরলেন, “আজ ঘটক ঠাকরুণের আসবাব কথা আছে না ?” স্ত্রী ঘর ঝাট দিতে দিতে বল্লেন, “হঁ। আজকেই ত আসবে, আমি কিন্তু বোলে দিয়েছি নগদ তিন হাজার টাকার কম ছেলের বিয়ে দেব না । মালতী দিদি তার ছেলের বিয়ে দিয়েচে দেখেচ ত ? ছেলে ভারী ত একটা পাস কোরেচে। তবু সাড়ে তিন হাজার টাকা নগদ নিয়েচেন, তা ছাড়া ঘড়ি, ঘড়ির চেন, ছেলের জন্তে বাইসিকেল। এ ছাড়া মেয়েকে এক গা গয়না দিয়েছে। অামার ছেলে কি