পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দশম সংখ্যা । যেমন তেমন ছেলে । তবু ত আমি তিন হাজার টাকার বেশি বলি নি।” রামতারণবাবু রসগোল্লাটি গালে পুরে দিয়ে বোল্লেন, সুরেশের বিয়ের জন্তে আবার ভাবনা কিসের ? ওরা তিন হাজার টাকা না দেয় আমি হরি সান্নালের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেব, তার চার হাজার টাকা দিতে চেয়েচে । সুরেশের মা, ‘বেশি লোভ কোরতে নাই গো' বোলে প্রদীপটি জেলে নিয়ে রান্নাঘরে গেলেন । ভাতের হাড়িটা উননে চাপিয়ে সর চাপ। দিয়ে যখন তিনি আলুর খোসা ছাড়াতে বসেছেন তখন ঘটক ঠাকরুণ বাড়ীর সব কোথা গে৷” বোলে হেলে তুলে পান চিবুতে চিবুতে এলে হাজির হলেন । মুরেশেব ম৷ বটখান সরিয়ে রেখে তাড়াতাড়ি একখানা পিড়ি পেতে দিলেন আর মেয়েকে বোল্লেন, “যালো তোর বিরাজী মাসিকে ডেকে নিয়ে আয় । বোলগে ঘটক ঠাকরুণ এসেছে, শীগগীর এস।” বিরাজী ঠাকরুণ আঁচলে চাবির গোছা যেধে হাসতে হাসতে এসে উঠলেন। তখন ঘটক ঠাকরুণ ও ছেলের মা ও ছেলের মাসী গয়নার ফর্দ আর টাকার পণ নিয়ে তুমুল আন্দোলন উপস্থিত কোরলেন। মেয়ের বাপ মোটে আড়াই হাজার টাকার পণ দিতে স্বীকৃত হওয়ায় বিরাজী ঠাকরুণ গালে হাত দিয়ে বলে উঠলেন, “ও মা এই না কি কথা ! তিনটে পাস করা ছেলের বিয়ে কি আড়াই হাজার টাকায় হয় ? সুরেশের মা কোলের মেয়েটাকে ধপ কোরে মাটিতে নামিয়ে দিয়ে ডালের হাড়িতে সজোরে কাঠি নাড়তে লাগলেন। সে রাত্রে কিছুই মীমাংসা হল না। তার পর দিন সকালে ঘটক ঠাকরুণ পরীক্ষার্থী। yసిఫె পুনরায় এসে বোলে গেলেন যে মেয়ের বাপ তিন হাজার টাকাই দিতে স্বীকার কোরেছেন। তখন বিরাজী ঠাকরুণ শাখাটা নিয়ে সজো-র তিনবার ফু দিলেন, বাড়ীর ঝি বিয়েতে নগদ নেবে বোলে মুরেশেব মার কাছে বায়না ধরলে, ঘটক ঠাকরুণ বোল্লে, আমি দশ টাকাব কম বিদেয় নেব না । সুবেশের ছোট ভাই বিপিন বোল্লে, দাদার বিয়েতে আমি জুলী গালী চলব। বিরাজী ঠাকরুণের পাচ বছরের একটি ছেলে রসগোল্লার ভারী ভক্ত। সে বোল্লে, বিয়েতে আমি রসগোল্লা পরিবেশন কোরব। সুনীতি বোলে, আমি উলু দেব আর শাখ বাজাব। সুরেশের মা হাসতে হাসতে কৰ্ত্তাকে সুখবরটা দিতে গেলেন । কৰ্ত্ত শুনে বল্লেন, দেখ বিয়ের টাকা থেকে এক হাজার টাকা আমায় দিতে হবে, আমি একটা কাপড়ের দোকান খুলব ভাবচি। গিন্নী বন্নেন, আমার বাড়ীব তৈরী না হোলে আমি কাউকেই কিছু দে না । কৰ্ত্তা বল্লেন, তা হবে এখন। তাব পর মিত্তিয়দের বাড়ীর মিম, ভটচাঁজের বে হরিদাসী, সরকারী উকিলের পিসতত ভাইয়ের নাতজামাইয়ের আপন খুড়ির সহোদর বোন নবীনকালী, জজের পেস্কারের শালীর পুত্রবধু ভুবনমোহিনী, এক এক কোরে এসে হাজির হলেন । কেউ বলেন মাসি, কেউ বল্লেন দিদি, কেউ বলেন বোন , ছেলের বিয়ে দিচ্চ আমরা যেন ফাক ন যাই । সুরেশের মা হাসতে হাসতে সকলকেই বোল্লেন ওম! তাই নাকি হয় ! তোমাদের আগে খবর দেব। তোমরাই হোলে ছেলের মা মাসি । তোমরা কৰ্ব্বে কৰ্ম্মাবে না ত পথের লোক ধোরে আনৰ ?