পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

է, Ե8 আত্মাকে নানাবিধ কম্মের ভিতরে কেবলি বন্ধনমুক্ত করে দিক্ষে । যতই তাই করচে, ততই আপনাকে মহৎ করে দেখতে পাচ্চে– ততই তার আত্মপরিচয় বিস্তীর্ণ হয়ে 8tq55 ] উপনিষৎ বলেছেন—“কুৰ্ব্বন্নেবেহ কৰ্ম্মাণি জিজীবিষেৎ শতং সমাঃ”—কৰ্ম্ম করতে করতেই শত বৎসর বেঁচে থাকৃতে ইচ্ছা করবে। যারা আত্মার আনন্দকে প্রচুবরূপে উপলব্ধি করেছেন এ হচ্চে র্তাদেরই বাণী। যারা আত্মাকে পরিপূর্ণ করে জেনেছেন তারা কোনোদিন দুৰ্ব্বল মুহমানভাবে বলেনন, জীবন দুঃখময় এবং কৰ্ম্ম কেবলি বন্ধন । দুর্বল ফুল যেমন <োটাকে আলগা করে ধরে এবং ফল ফলবার পূৰ্ব্বেই খসে যায়—তারা তেমন নন্‌। জীবনকে তারা খুব শক্ত কবে ধরেন এবং বলেন, আমি ফল ন ফলিয়ে কিছুতেই ছাড়চিনে । তারা সংসারের মধ্যে কৰ্ম্মের মধ্যে আননেদ আপনাকে প্রবলভাবে প্রকাশ করবার জন্তে ইচ্ছা করেন । দুঃখ তাপ তাদের অবসয় করে না, নিজের হৃদয়ের ভারে তারা ধূলিশায়ী হয়ে পড়েন না। মুখ দুঃখ সমস্তের মধ্য দিয়েই তারা আত্মার মাহাত্মাকে উত্তরোত্তর উদঘাটিত করে আপনাকে দেখে এবং আপনাকে দেখিয়ে বিজয়ী বীরের মত সংসারের ভিতর দিয়ে মাথ৷ তুলে চলে যান। বিশ্বজগতে যে শক্তির আনন্দ নিরস্তর ভাঙাগড়ার মধ্যে লীলা করচে —তাঁরই নৃত্যের ছন্দ তাদের জীবনের লীলার সঙ্গে তালে তালে মিলে যেতে থাকে ;– তাদের জীবনের আনন্দের সঙ্গে সুর্য্যালোকের আনন্দ,মুক্ত সমীরণের আনন্দ মুর মিলিয়ে দিয়ে ভারতী । ফাঙ্কন, ১৩১৭ অন্তরবাহিরকে সুধাময় করে তোলে। তারাই বলেন “কুৰ্ব্বল্লেবেহু কৰ্ম্মাণি জিজীবিষেং শভং সমাঃ” কাজ করতে করতেই শত বৎসর বেঁচে থাকৃতে ইচ্ছা করবে। মানুষের মধ্যে এই যে জীবনের আনন্দ, এই যে কৰ্ম্মের আনন্দ আছে, এ অত্যন্ত সত্য। একথা বলতে পারব না এ আমাদের মোছ, একথা বলতে পারব না যে একে ত্যাগ না করলে আমরা ধৰ্ম্মসাধনার পথে প্রবেশ করতে পারবন । ধৰ্ম্মসাধনার সঙ্গে মামুষের কৰ্ম্মজগতের বিচ্ছেদ ঘটানো কখমই মঙ্গল নয়। বিশ্বমানবের নিরস্তর কৰ্ম্মচেষ্টাকে তার ইতিহাসের বিরাট ক্ষেত্রে একবার সত্যদৃষ্টিতে দেখ। যদি তা দেখ তাহলে কৰ্ম্মকে কি কেবল দুঃখের রূপেই দেথা সম্ভব হবে ? তাহলে আমরা দেখতে পাব কৰ্ম্মের দুঃখকে মামুষ বহন করচে এ কথা তেমন সত্য নয় যেমন সত্য, কৰ্ম্মই মামুষের বহু দুঃথ বহন করচে, বহু ভার লাঘব করচে ; কৰ্ম্মের স্রোত প্রতিদিন আমাদের অনেক বিপদ ঠেলে ফেলচে অনেক বিকৃতি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্চে। এ কথা সত্য নয় যে মানুষ দায়ে পড়ে কৰ্ম্ম করচে,—তার একদিকে দায় আছে, জার একদিকে মুখও আছে ; কৰ্ম্ম একদিকে অভাবের তাড়নায়, আর এক দিকে স্বভাবের পরিতৃপ্তিতে। এই জন্তেই মানুষ যতই সভ্যতার বিকাশ করচে ততই আপনার নুতন নূতন দায় কেবল বাড়িয়েই চলেছে, ততই নুতন নুতন কৰ্ম্মকে সে ইচ্ছা করেই স্বষ্টি করচে। প্রকৃতি জোর করে আমাদের কতকগুলো কাজ করিয়ে সচেতন করে রেখেছে—মান ক্ষুধাতৃষ্ণার তাড়নায় আমাদের যথেষ্ট খাটিয়ে