পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

٠ پيلموئe गश्रब्रव्र चनमङ्कणा झहे८व न इंश३ श्राभब्रां কল্পনা করিয়াছিলাম । যখন আমাদের জাহাজ ইয়োকোহাম বন্দরে পৌছিল এবং সিঙাপুর ছাড়িয়া আমরা ঠিক দুই সপ্তাহ পরে লোকালয়ের দর্শন লাভ করিলাম তখনও জাপানের সহর সম্বন্ধে একেবারে নৈরাপ্তে নিমজ্জিত হই নাই। প্রকাও ইয়োকোহামা সন্থর দেখিয়া মনে করিলাম রাজধানী তোকিও সহর নিশ্চয়ই ইহার চেয়ে অধিক জঁাকাল এবং জাতীয় ঐশ্বৰ্য্য-জ্ঞাপক । কিন্তু যখন তোকিও সহরে গিয়া পৌছিলাম,তখন পুৰ্ব্বকল্পনা লোপ পাইতে লাগিল । কয়েকদিন সহরের আদ্যন্ত খুজিয়াও চৌরঙ্গী, গড়ের মাঠ, ডালহৌসীঙ্কোয়ার প্রভৃতির সাক্ষাৎ পাইলাম না, আর সে মাড়োয়ারীদের অত্যুচ্চ আকাশম্পর্শী হৰ্ম্ম্যরাজিও দেখিতে পাইলাম না । পক্ষান্তরে দেখিতে পাইলাম বাড়ী ঘর ছোট হইলেও বেশ পরিস্কার ঝকৃঝকে , রাস্ত ঘাট তুলিতে অঙ্কিত চিত্রপটের দ্যায় । দিনাস্তে সন্ধ্যাবেলায় পালিয়ামেন্টের মেম্বর, লর্ড, রাজমন্ত্রী, ক্রোরপতি প্রভৃতি উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সহিত দীনদরিদ্র মুটে মজুরও সমভাবে ইডেন গার্ডেনে আনন্দ উপভোগ করিতেছে। সেখানে ইডেনগার্ডেন নামে কোন গার্ডেন না থাকিলেও সেইরূপ গার্ডেন এবং পার্ক অনেক আছে । সকলেই এক আসনে উপবেশন করিয়া আলাপ করিতেছে ; এবং একই মঞ্চে দাড়াইয়া দেশের কথা, দশের কথা এবং প্রকৃতির কথা আলোচনা করিতেছে। অার এক বৈশিষ্ট্য, সহরের ভিতর ছোট বড় অধিকাংশ বাড়ীতে এবং দোকানে ছোটখাট ধরণের কোন জিনিষ প্রস্তুতের কারখানা ; আর ভারতী । কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ দেখিলাম সহরতলীর চারিধারেই সারি সারি বড় বড় ফ্যাক্টরীর অসংখ্য চিম্নির ধূম মেঘের স্কায় স্বৰ্য্যরশ্মি-বিকাশ প্রতিবন্ধক জন্মাইতেছে। রাস্তাঘাটে লোকজন কলের মত দৌড়াদৌড়ি ছুটাছুটি করিয়া কাজ করিতেছে। নিভূত পল্লীগ্রামের লোক কলিকাতায় গিয়া রাস্তায় লোকজনের দ্রুততা দেখিয়া যেমন অবাক হয় তেমনি কলিকাতার লোক জাপানের এই অতিস্ফূৰ্ত্তিময় ভাব দেখিয়া অবাক না হইয়া থাকিতে পারে না। কলিকাতার রাস্তায় দলে দলে লোক ছোটে সত্য, কিন্তু অধিকাংশ লোকের বদনমগুলে যেন বিধাদের ছায়া প্রকটিত । যাহারা ভদ্রসস্তান এবং যাহাঁদের উদরাক্সের কথঞ্চিৎ সংস্থান আছে তাছারাও উপরওয়ালার তাড়না ও গঞ্জনার ভয়ে বিষঃ স্মৃত্তিহীন মনে আফিলপানে ছুটিতেছে। স্কুল কলেজের ছেলেরাও যেন গারদে বা মসানে যাইবার পথে থরথর করিয়া চলিতেছে । এই স্থলে কবিবর নবীনচন্দ্রের একটি কথা মনে পড়িল । তিনি এক জায়গায় লিথিয়াছেন “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় করালবদনী নৃমুণ্ডমালিনী কালিকাদেবীর দ্যায় পরীক্ষারূপ তরবারি দ্বারা সহস্ৰ সহস্ৰ সবলপ্রকৃতি তরুণ যুবকদের মস্তক ছেদন করিতেছে।” তারপর অপর সাধারণ উদ্বরান্নচিন্তাভারগ্রস্ত হইয়া যেন চক্ষে সরিষাকুল নিরীক্ষণ করিতে করিতে চলিয়াছে। ভাবনায় সকলেরই স্বাস্থ্য বসিয়া গিয়াছে, হৃদয় দমিয়া পড়িয়াছে। আর জাপানের রাস্তায় সকলকেই যেন রামমূৰ্ত্তিবৎ দেখিতে পাইলাম। যেমন হৃষ্টপুষ্ট শরীর, তেমনি বদনমগুলে ঘূৰ্ত্তি সংজ্ঞাপক