পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা । না—বিচ্ছিন্ন বিখণ্ডিত বিভক্ত যেমন এই একের মধ্যে মিশ: এক অবিচ্ছিন্ন অথগু ও অবিভক্ত ভাবে পরিণত হইয়া গেল তেমনি করিয়া ণ জ। সঙ্কোচ সব সেই এক কৰ্ত্তব্যের মধ্যে ডুবাইয় ফেলতে হইবে। অন্ধকারে কষ্টে পথ চিনিয়; সে সহরের দিকে ফিরিয়া চলিল । সুর্য্য পৃথিবীকে ও গ্রন্থগণকে, আকর্ষণ করিতেছেন, সেক্ট আকর্ষণেব বলে হুর্যের পালে গ্ৰহগণেব সকল তাঙ্কাদের অবিরাম গতি, অfবার দ্বারা আকৃষ্ট তাহাদেব চারদিকে ঘুৰিতেছে। একরূপে কত কোটি স্থৰ্য্য, কত গ্রহ, উপগ্রহকে ३झम्न] छ%i3|श् অ৭িশ্রাস্ত আকর্ষণ করিয়া রাখিয়াছে, তাহ। কে বণিতে পারে। আবার সেই সমুদয় সেীবজগংহ যে কোন এক অতীন্দ্রিয় মহাশক্তির পাশ্বে ক্ষুদ্র নক্ষত্রবিন্দুরই মতন আকৃষ্ট হইয় অহোরই: ভ্ৰমণ করিতেছে না তাহারই প্রমাণ কোথায় । আকষণই স্বষ্টির ধৰ্ম্ম, তাই দৃষ্ট পদাৰ্থমত্রেই আকর্ষণধৰ্ম্মী, পরস্পব পরস্পরের আকর্ষণে আকৃষ্ট । নীরদ কল্পনানেত্ৰে দেখিতে লাগিল যমুনাতাবের সেহ ক্ষুদ্র বাতায়নটি। যমুনার জল স্থিৰ হইয়া রহি মুছে আকাশ আগ্রাস্তনক্ষত্র খচিত, বাতাস গাছের পাতার মধ্য দিয়া থামিয়া থামিয়া বহিতেছিল, আর সেই স্তব্ধ নিজ্জনগৃহে দূর আকাশের দিকে অচঞ্চল নিনিমেষ দৃষ্টি স্থাপন করিয়া একজন এক বসিয়া । কোথাও কোন মমুষ্যের সাড়াশব্ব নাচ, বিশ্রাম শয়নে সকলেই শাস্তি উপভোগ করিতেছে, শাস্তির অধিষ্ঠাত্রী দেবতা সকলকেই তাহার মেহাঞ্চলের ছায়ায় ঢাকিয়৷ পোধ্যপুত্র । సe : রাখিয়াছেন । শুধু সেই এক জাগিয়া ! নীরদ নিজেরও অজ্ঞাতে ঈষৎ কঁাপিয়া উঠিল, ওই যে ছুটি নিদ্রাহীননেত্র তাহাদের সুদীর্ঘ কৃষ্ণ পল্লবের মধ্য হইতে ঘুগল তারকার মত রাত্রির পর রাত্রি অনিমেযে চাহিয়া আছে, ওই যে হৃদয়খানি তাহার বাfহরের সকল ঝটিকা, বজ্ৰ নাদ উপেক্ষা করিয়া মৌন দৃঢ়তায় আপনাতে আপনি নিমগ্ন থাকিয়া সদ্যজাগ্রত রহিয়াছে, উহাদের মধ্যে কি একটা অাকর্ষণশক্তি নিহত নাই ? জগতে কোন শক্তি ব্যর্থ যায় না, চুম্বক লোহাকে বুঝি এমনি করিয়াই টানিয়া আনে ? গভীর রাত্রে বন্ধগৃহের দ্বার ঠেলয়। স্পদিত বক্ষে “রুদ্ধপ্রায় নীরদ ডাকিল “শিবানী ! শীতের রাত্রে রুদ্ধদ্বার প্রতিবাসীগণ সকলেই নিদ্রামগ্ন, গলির মধ্যে অন্ধকার নিবিড় হইয়া জমিয়া রহিয়াছে, সম্মুখেই জল কল কল শব্দ করিয়া বহিয়া চলিয়াছে, ঘুমন্তরাত্রে কেবলমাত্র পল্লার প্রাস্তবত্তী কোন স্থান হইতে এসরাজী ও তবলার চাটির সঙ্গে একটা সঙ্গীতের সাড়া আসিতোছগ ও প্রমত্তকণ্ঠে হাহাহাঃ, অথবা ‘হায় হায়’ ইত্যাদি সঙ্গত শোনা যাইতেছে । নারদের আহবান তাহারি বক্ষে কম্পিত হইয়া উঠিল, কেহই উত্তর দিল না । গৃহে কেহ বাস করিতেছে এমন কোন চিহ্নই পাওয়া গেল না, কোথাও আলোকের রেখাটি পর্য্যস্ত নাই । হঠাৎ সে দেখিতে পাইল দ্বারে বাহির হইতেই তালা বন্ধ । নীরদের হৃদয় স্তম্ভিত বেদনায় নিশ্চল হইয়া পড়িল । অবশিষ্ট রাতটুকু— যে দ্বারে সে একদিন আশ্রয়হীন, নিঃাত্মীয় ও রোগাক্লষ্ট আসিয়া দাড়াইয়াছিল, এবং সেই নিতাস্ত সকল