পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩১৭.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

© ት © পেক্ষ বড় ; আর তোকিও সহরে দৈনিক তাড়িতের খরচ লণ্ডন অপেক্ষা ও অধিক । ঘুরিয়া ফিরিয়া সহরের কুলকিনারা ঠিক পাওয়াও মুস্কিল। কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত একতাল বাড়ীর সংখ্যা অত্যন্ত অধিক ; সহরের ভিতর কয়েকটি বড় বড় পার্ক আছে এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কয়েকটি পাহাড় আছে । এই সকল কারণে সহরটি অনেক জায়গা জুড়িয়া আছে । সহরের ভিতর দিয়া হুগলী নদীর চেয়ে কিঞ্চিং অল্প পরিসর বিশিষ্ট ছুমিদানদী প্রবাহিত । নদীর দুই তীরেই সহর । চারিটি সেতুর উপর দিয় লোকজন গাড়ী ঘোড়া এবং ট,াম নদীর অপর তীরে যাতায়াত করিতেছে । ছুমিদীনদীর ছোট ছোট শাখা সহরের ভিতরে চলিয়া যাওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যের বিশেষ সুবিধা হইয়াছে। একখানি গ্রন্থে দেখিয়াছি এই সকল থালের উপর দিয়া চলাচলের সুবিধার জন্ত তোকিও সহরে ছোট বড় অনুন তিন সহস্র সেতু (bridgcs and culverts ) isotto প্রতিদিনই সহরের চতুষ্পাtশ্বর আয়তন বৃদ্ধি পাইতেছে । গত আদম মুমারীর পর লোকংখ্যা বিস্তর বাড়িয়া গিয়াছে। কেহ কেছ বলেন এখন লোকসংখ্যা একুশ লক্ষের উপর, অামার মনে হয় বিশ লক্ষের কম নহে । হিরিয়া, শিবা, উয়েনো, আছাকুছ এবং কুদান এই পাচটী পার্ক বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সম্রাটের বাড়ী এবং হিরিয়া পার্কের মধ্যে কেবল পরিখা মাত্র ব্যবধান । এই পার্ক সহরের মধ্যস্থলে অবস্থিত । ইহার পাশেই মিকাদোর বাড়ী, পাৰ্লিয়ামেণ্ট মহাসভার হাউস অব লর্ডস এবং হাউস অব কমন্স, ভারতী । কাৰ্ত্তিক, ১৩১৭ এবং তোকি ও সহরের গবর্ণরের অফিস । নিকটেই সমরবিভাগের অফিষ, চেম্বার অল কমাস, শিক্ষাবিভাগের অফিষ, বড় বড় ংবাদপত্র অফিষ, পিয়াস ক্লাব ; ইম্পিরিয়াল হোটেল, নিষ্টল ইউমেন কাইমা অপিস, সেণ্টাল ও শিম্বামী রেলওয়ে ষ্টেশন এবং বিখ্যাত গিঞ্জ ষ্ট্রীট । পার্কের ভিতবে স্থানে স্থানে বিশ্রামাগার এবং ভোজনালয় রহিয়াছে । রাস্তাগুলি ধবধবে ; কোন যায়গায় ফুলের বাগান আবার কোথাও বা সুন্দর সুন্দর বৃক্ষশ্রেণী ও কুঞ্জবন । কোথাও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলাশয়ে নানা রঙের মৎস্ত ক্রীড়া করিতেছে । ফেtয়ারায় জল উঠিতেছে, কোথাও তালে তালে ব্যাও বাজিতেছে । স্থানে স্থানে যুবকের দল জিমখানাতে ব্যায়াম করিতেছে । কোথাও ব্যাটবল থেলিতেছে। ব্যাটবল জাপানের প্রধান খেলা ৷ ইহার আমেরিকা হইতে এই খেলার প্রবর্তন করিয়াছে । মার্কিন যুক্তরাজ্যে ইহা প্রধান খেলা বলিয়া বিবেচিত ইইয়া থাকে । আবার স্থানে স্থানে ছোট কৃত্রিম পাহাড়ের উপর বসিবার আসন রহিয়াছে, রাত্রিবেলায় তাড়িতালোকে উদ্ভাসিত পার্কট নন্দনকানন বলিয়া মনে হয় । পরিষ্কার দিনে সন্ধ্যাবেলায় বিশেষতঃ বসন্তের সন্ধ্যায় বহু লোকের সমাগম হইয়া থাকে। রুষ জাপান যুদ্ধের সময় যখন প্রায় প্রতিদিনই নুতন নুতন জয়ের সংবাদ আসিতেছিল, পার্কে দিন রাত সমভাবে আনন্দের ছড়াছড়ি চলিত। আমরাও কোন কোন দিন সে আনন্দে যোগ দিতাম । পার্কের চারিধারেই প্রাতে ৫টা হইতে রাত্রি ১২টা পৰ্য্যন্ত ট্রাম চলিয়া থাকে ।